আগ্নেয়গিরির ওপর দিয়ে হাঁটবেন নিক

দড়ির সাহায্যে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ওপর দিয়ে হাঁটেন নিক ওয়ালেন্ডা।  ছবি: সংগৃহীত
দড়ির সাহায্যে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ওপর দিয়ে হাঁটেন নিক ওয়ালেন্ডা। ছবি: সংগৃহীত

যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে মার্কিন নাগরিক নিক ওয়ালেন্ডাকে চিনে থাকবেন। এর আগে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ওপর দিয়ে দড়িতে হেঁটে নজর কেড়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের বিভিন্ন ভবনের মধ্যে দড়ি টাঙিয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটার অন্তত ২৫টি ঘটনা আছে তাঁর। এবার আরেকটি অবিশ্বাস্য পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তিনি। নিক ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি এবার দড়িতে হাঁটবেন নিকারাগুয়ার জ্বলন্ত একটি আগ্নেয়গিরির ওপর দিয়ে।

নিক এই দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নেবেন আগামী ৪ মার্চ। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন এবিসি এই অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করবে।

নিকারাগুয়ার যে আগ্নেয়গিরির ওপর দিয়ে নিক হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটির নাম মাসায়া ভলকানো। এটি প্রায় সাত মাইল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। গত ৩০ বছরে অন্তত ১৩ বার লাভা নির্গত হয়েছে এ আগ্নেয়গিরি থেকে। সর্বশেষ গত বছরের ১৫ অক্টোবর লাভা নির্গত হয়েছে এটি থেকে। ফলে এই আগ্নেয়গিরিকে এক আতঙ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আগে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফির প্রামাণ্যচিত্রে এই মাসায়া ভলকানোকে ‘টিকিং টাইমবোমা’ এবং ‘জ্বলন্ত নরক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। নিকও এ কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে যাচ্ছেন তিনি।

এক টুইট বার্তায় নিক আরও লিখেছেন, মাসায়া ভলকানোয় দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটা সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জিং। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণে একটি দল সেখানে ইতিমধ্যে গেছে।

এই কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন নিক। তিনি বলেন, ‘দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটার ক্ষেত্রে এটা হবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় পথ। উচ্চতার দিক থেকেও এটা হবে সবচেয়ে উঁচু। ১ হাজার ৮০ ফুট ওপর দিয়ে হাঁটতে হবে।’ তিনি বলেন, তিনি যখন এই প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস। কারণ, ওই আগ্নেয়গিরি থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়াচ্ছে।

নিক বলেন, ‘আমি এ জন্য মাস্ক পরব, যাতে এই বিষাক্ত গ্যাস ফিল্টার করে অক্সিজেন নিতে পারি। এ ছাড়া আরেকটি উদ্বেগের কারণ হলো অক্সিজেন-সংকট দেখা দিতে পারে। এই অক্সিজেন-সংকট মোকাবিলার জন্য ট্যাংক নিতে হবে।’

তবে ট্যাংক নিলেও সংকট রয়েই যাচ্ছে। তিনি যে অক্সিজেন ট্যাংকটি নেবেন, সেটি অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে ৪০ মিনিট। এ ছাড়া ওই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাঁর চোখও জ্বলে যেতে পারে। ফলে উদ্বেগ থাকছেই।

ইনডিপেনডেন্ট ও টেন নিউজ, সারাসোতা