প্রবাসে কমিউনিটির পাশে সবসময় গিয়াস

গিয়াস আহমেদ
গিয়াস আহমেদ

নিজের মেধা ও যোগ্যতায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আমেরিকায় অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমী ও স্বপ্নচারী এই মানুষটির নাম গিয়াস আহমেদ।
১৯৮৭ সালে ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আসেন আমেরিকায়। পরে যুক্তরাষ্ট্রেই থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে সময়ে বাঙালির বসবাস তেমন একটা ছিল না। তখন বাংলাদেশি সংস্কৃতির বিকাশে ফোবানা সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগসূত্র এবং দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। একই সঙ্গে যুক্ত হন বাংলাদেশ কংগ্রেসনাল অর্গানাইজেশনের (ককাস) সঙ্গে। এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আমেরিকার মূলধারার রাজনৈতিক নেতাদের যুক্ত করে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেন (এইউডব্লিও) এশিয়ান উইমেন বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৪ সালে তিনি ও কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলিসহ পাঁচ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক হাজার ছাত্রী অধ্যয়ন করেছেন।
এ ছাড়া ভিসা জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে একাধিক চিঠি পাঠান। পরে ওপি–ওয়ান এবং ডিভি লটারিতে অনেক লোক বাংলাদেশ থেকে আসেন। দেশের লোকজন এখানে এসে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন দেশে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এখানকার মূলধারার রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হন গিয়াস। ২০০২ সালে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাচন করেন। তার সামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে ২০০০ সালে হিলারি ও বিল ক্লিনটন সম্মাননায় ভূষিত হন।
গিয়াস আহমেদ একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকা তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে আন্দোলন করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এসেও একই ধারায় রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গিয়াস আহমেদ প্রবাসে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। দেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর নেন এবং সহযোগিতা করেন। গরিব–দুঃখীদের মাঝেও সার্বিক সহযোগিতা দেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রান্ট এলডার কেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে গিয়াস আহমেদ বলেন, আমি একজন সামাজিক ও রাজনীতিবিদ মানুষ। সমাজ কর্মেই আমার প্রধান লক্ষ্য।
গিয়াস আহমেদ প্রবাসে সমাজকর্মের কারণে একাধিক সম্মাননা ভূষিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বর্তমানে ছেলে মেয়েরা আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন।