করোনা নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যটিতে করোনাভাইরাসে প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা এল। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১১ ব্যক্তি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনই ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের।

দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ১৫০।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডার কর্তৃপক্ষ আগেই জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ গতকাল বুধবার ৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন জরুরি অর্থ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৭১ বছর। তিনি অঙ্গরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্যগত অবস্থা অবনতির দিকে ছিল। তিনি গত মাসে একটি প্রমোদতরিতে ছিলেন।

করোনাভাইরাসে বিশ্বে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। তাঁদের বেশির ভাগই চীনা। আর আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯২ হাজারের বেশি। তাঁদের বেশির ভাগই চীনের নাগরিক।

ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন। তবে ইতিমধ্যে তার সংক্রমণ কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে ইরান ও ইতালি হয়েছে।

প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত চীনসহ ৭৫টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।

কোনো সাধারণ নিয়ম মেনে নতুন এই ভাইরাস দেশ থেকে দেশে ছড়াচ্ছে না। প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ধরন আলাদা বলেই মনে হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতিকে দিকচিহ্নহীন বলে বর্ণনা করেছে।