করোনা নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

করোনা বৈশ্বিক মহামারি ধারণ করতে পারে বলে আগে থেকেই মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে করোনাভাইরাস বিস্তার এবং এর বিশ্বব্যাপী মহামারি হওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কে গোপন সতর্কবার্তা মার্কিন সরকারকে দেওয়া হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গত জানুয়ারি মাস থেকেই সতর্ক করে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পাশাপাশি কংগ্রেসের সদস্যদের কাছেও এসব বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

ওই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো এ অবস্থা প্রত্যাশা করেননি। কিন্তু সরকারের অনেক ব্যক্তিও তাঁকে এ বিষয়ে কিছু করতে দেননি।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক টুইটে ট্রাম্প প্রশাসন করোনাভাইরাস হুমকিকে জনসম্মুখেই খাটো করে দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রণেই আছে। শেয়ারবাজার আমার কাছে খুব ভালো বলে বোধ হচ্ছে।’

গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ জনের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া দেশটির প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনা–আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যারিজোনা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দেশজুড়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন শুরু করছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ন্যাশনাল গার্ড দ্রুত মোতায়েন করা হচ্ছে।

তিন মাস আগে সতর্ক করে দেওয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় এর মধ্যে দেরি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে রাজ্য ও নগর সরকারে ত্রাহি অবস্থা চলছে। প্রতিমুহূর্তে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠেছে। নিউইয়র্কসহ সব বড় নগরীতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজন নাগরিকের একজনকে বাধ্যতামূলক ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নিউইয়র্কে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে জানানো হচ্ছে।