নিউইয়র্কে করোনায় ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। ছবি: রয়টার্স

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার চারজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন পুরুষ। এ নিয়ে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে মোট আটজন বাংলাদেশি মারা গেলেন।

এলমহার্স্ট হসপিটালে ৬০ বছরের আবদুল বাতেন, ৭০ বছরের নুরজাহান বেগম এবং ৪২ বছরের এক বাংলাদেশি প্রবাসী নারী মারা যান। প্লেইনভিউ হসপিটাল নর্থওয়েলে মারা গেছেন ৫৯ বছরের এ টি এম সালাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। সেখানে প্রতিদিন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে করোনা বুলেটের গতিতে ছড়াচ্ছে, বলেছেন রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় কমপক্ষে ২১০ জন মারা গেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বাড়ছে মৃত মানুষের সংখ্যাও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল বাতেনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী। তিনি ব্রুকলিনে বসবাস করতেন। ৪২ বছরের ওই নারীর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। তিনি অ্যাস্টোরিয়ায় বাস করতেন। রংপুরের এ টি এম সালাম থাকতেন ওয়েস্ট বে লং আইল্যান্ড এলাকায়। ঢাকার মোহাম্মদপুরের নুরজাহান বাস করতেন এলমহার্স্ট এলাকায়। মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা আগে এক দিনে লাশ হাতে পেতেন। এখন হাসপাতালগুলোর ব্যস্ততার জন্য দুদিন সময় লাগছে।

বোর্ড অব ইলেকশনের সদস্য মাজেদা আক্তার বলেন, ‘মেয়র অফিস থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ট্যাক্সিচালক এবং ডেলিভারির কাজে নিয়োজিত মানুষ। তাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন।’

মাজেদা আক্তার আরও বলেন, ‘আমরা যারা বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য কাজ করি, তাদের মেয়র অফিস থেকে বাংলাদেশি মানুষের মৃত্যুর সংবাদগুলো জানানো হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, আমরা বাংলাদেশিদের যেন এই ভাইরাস সম্পর্কে আরও সতর্ক করি। বাইরে অযথা ঘোরাফেরা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে প্রত্যেককে।’

২৩ মার্চ মারা গেছেন ৩৮ বছরের আমিনা ইন্দ্রালিব তৃষা এবং ৬৯ বছরের মোহাম্মদ ইসমত। আগের সপ্তাহে মারা গেছেন মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজন বাংলাদেশি।