ট্রাম্পের উল্টো কথা বলছে পেন্টাগন

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ এপ্রিলের পর সব কিছু খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তর পেন্টাগন বলছে ভিন্ন কথা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। তারা সতর্ক করে বলেছে, আগামী তিন সপ্তাহে করোনাভাইরাসের বিস্তার স্তিমিত হবে বলে পেন্টাগন মনে করে না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, তিনি ১২ এপ্রিল থেকে সবকিছু খুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন। রাজ্যের গভর্নররা বলছেন, ওয়াশিংটনের নির্দেশ যাই হোক, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তারা লকডাউন অব্যাহত রাখবেন। আমেরিকার ২০টি অঙ্গরাজ্যের নাগরিকেরা লকডাউনে আছেন।
মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে নিউইয়র্কের গভর্নর বলেছেন, জীবন আগে। আমেরিকার কোন লোকজন অর্থনীতিকে মানুষের জীবনের আগে স্থান দেবে না।
আমেরিকার মধ্যে নিউইয়র্ক নগরের অবস্থা–ই সবচেয়ে নাজুক। ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত নিউইয়র্কে ২৮০ জন করোনায় মারা গেছেন। ২৫ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুইন্সের এলমহার্স্ট হাসপাতালে ১৩ জন মারা গেছেন। ইমার্জেন্সি রুম, এমনকি ফ্লোরেও জায়গা নেই। নিউইয়র্কের কুইন্সে ৬ হাজার রোগী করোনায় আক্রান্ত। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। নগেরর পুলিশ বিভাগের ২০০ জনের বেশি ভাইরাসে আক্রান্ত।
এ অবস্থায় নিউইয়র্ক থেকে অন্য কোন অঙ্গরাজ্যে গেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিটি মেয়র ব্লাজিও ২৫ মার্চ বিকেলে বলেছেন, শহরের অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
পেন্টাগন থেকে এয়ারফোর্সের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. পল ফ্রেড্রিকস ২৫ মার্চ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। এ মুহূর্তে জনচলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া ভালো হবে না। এর আগে ২৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, গাড়ি দুর্ঘটনায়, ফ্লুতে প্রতিবছর আমেরিকায় এর চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। ফক্স নিউজ একই সংবাদে বলেছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আগাম জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি আমেরিকায় কমপক্ষে আরও তিন মাস দীর্ঘায়িত হবে।