করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পিপলএনটেকের বিশেষ কোর্স

বাসায় বসে অনলাইনে কোর্স করার সুযোগ নিয়ে এসেছে পিপলএনটেক
বাসায় বসে অনলাইনে কোর্স করার সুযোগ নিয়ে এসেছে পিপলএনটেক

করোনাভাইরাস আতঙ্কে আমেরিকাজুড়ে জরুরি অবস্থা চলছে। বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না অনেকে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, রেস্তোরাঁসহ সবকিছু বন্ধ। এ অবস্থায় দৈনন্দিন কাজ ফেলে বাড়িতে অবস্থান করছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ভালো বেতনের চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশি আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক। প্রতিষ্ঠানটি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইনে বিশেষ কোর্স অফার করেছে। ১৪ মার্চ ভার্জিনিয়ায় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে এ কোর্স ঘোষণা করা হয়। অনলাইনে লাইভ ইন্টারেকটিভ এই কোর্সের নেতৃত্ব দেবেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা।


অনুষ্ঠানে পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ, পরিচালক সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন ছাড়াও অনলাইনে নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া ও আটলান্টিক সিটি ক্যাম্পাসের কর্মকর্তা, শিক্ষক, কাউন্সিলর ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অনলাইনে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নেন। আগামী ৪ এপ্রিল থেকে এ কোর্স শুরু হবে। ওরিয়েন্টেশনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ৩১ মার্চের মধ্যে এককালীন ফি জমা দিলে আরও ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন শিক্ষার্থীরা।


কিউএ সফটওয়্যার টেস্টিংয়ের সেলেনিয়াম অটোমেশন কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোর্সের যাবতীয় বিবরণ ও পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী চার মাসে কীভাবে তারা ক্লাস করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। পিপলএনটেকের চারটি ক্যাম্পাস ছাড়াও আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্য থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নেন। তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পিপলএনটেকের কর্মকর্তা ও শিক্ষক, কাউন্সিলররা। প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন পেশায় সাফল্য অর্জনকারী অনেকেও বক্তব্য রাখেন।
পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বলেন, ‘আমরা সবাই একটা ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছি। এ অবস্থায় আমরা অনলাইনে বিশেষ কোর্স অফার করছি। এতে করে যারা বাড়িতে বসে থাকবেন, তারা অনায়াসে অনলাইনে এই কোর্স করতে পারবেন। এখনই সময় নিজেকে প্রস্তুত করার।’


পিপলএনটেকের পরিচালক সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন জানান, ‘আমরা অনলাইন কোর্সের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে আমরা প্রতিটি ক্যাম্পাসে ফিজিক্যাল ক্লাস বন্ধ রেখেছি। কিন্তু পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি, যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা না হয়। যারা বাসায় বসে আছেন, তারা এ সময়টায় প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নত জীবন গড়ে তুলতে পারেন।’


প্রসঙ্গত, হাজার হাজার বাংলাদেশি প্রতি বছর স্বপ্নের জীবন গড়তে আমেরিকায় পাড়ি দিলেও সেই স্বপ্নের দেখা পান না। পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আবুবকর হানিপ বলেন, সোনার হরিণ এখন আর স্বপ্ন নয়। পিপলএনটেক সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং বা আইটি ডিগ্রি ছাড়াও মেধা, যোগ্যতা ও অধ্যবসায় থাকলে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমেরিকায় যে আইটিতে জব পাওয়া সম্ভব, সেটাই প্রমাণ করেছে পিপলএনটেক। আইটিতে পিপলএনটেক পুরোনো ধ্যানধারণা পাল্টে দিয়েছে। মাত্র চার মাসের প্রশিক্ষণ শেষে একজন বাংলাদেশি বছরে ৮০ হাজার থেকে দেড়-দুই লাখ ডলার বেতনে চাকরি পাচ্ছেন। পিপলএনটেক গত ১৫ বছরে ৬ হাজার বাংলাদেশিকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছে।