করোনায় নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে

নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। ছবি: সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ মার্চ রাত থেকে ২৯ মার্চ সকাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক নগরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পুরো রাজ্যে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেল। এ ছাড়া নগরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথমবারের মতো ১৮ বছর বয়সের নিচে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে অন্য আরও রোগ ছিল।

নিউইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্টে (এফডিএনওয়াই) প্রথম অটোমেকানিক জেমস ভিলাচ্চো নামে এক কর্মীর করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। ৫৫ বছর বয়সী এই কর্মী ২০১৪ সাল থেকে এই বিভাগে কাজ করছেন। তিনি স্ট্যাটান আইল্যান্ডে বসবাস করতেন।

নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ২৯ মার্চ বলেছেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৯ মার্চ সকাল পর্যন্ত নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা ছিল ৯৬৫ জন। একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ২০০ বেড়ে মোট হয়েছে ৫৯ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার ৭৬৮ জনই নিউইয়র্ক নগরের। এখনো প্রায় ৮ হাজার ৫০০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই হাজার ৩৭ জন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ভেন্টিলেটরে আছে।

গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিউইয়র্কবাসীকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া নগরীর ১১টি সরকারি হাসপাতাল কীভাবে চিকিৎসা উপকরণ ব্যবহার করবে তা মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর কাছে জানতে চেয়েছেন কুমো। এ ছাড়া তিনি চান রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল এক সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করুক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিউইয়র্কে ৭৬ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই অবসরে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মী। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জরুরি প্রয়োজনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মেলিন্ডা কাটজ করোনায় আক্রান্ত
এদিকে নিউইয়র্কের কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা কাটজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তাঁর অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

মেলিন্ডা কাটজের অফিসের মুখপাত্র কিম লিভিংস্টোন বলেন, ২৮ মার্চ পরীক্ষায় মেলিন্ডা কাটজের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাঁর জ্বরসহ খুব সামান্য উপসর্গ রয়েছে। তিনি সেলফ-আইসোলেশনে থেকে বাসা থেকে কাজ করছেন।