নিউইয়র্কে আমাজনে করোনাভাইরাস

আমাজন
আমাজন

নিউইয়র্কে স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের ব্লুমফিল্ডভিত্তিক আমাজন ফুলফিলমেন্ট সেন্টারে বেশ কয়েকজন কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

আমেরিকায় লকডাউন জারি হওয়ার পর মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়ে। লোকজন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমাজনের মাধ্যমেই অর্ডার করে আসছিল। এখন এই আমাজনের কর্মীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের মাধ্যমে তা কী পরিমাণে ছড়িয়েছে, এ নিয়ে আমাজনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আমাজনের ফ্যাসিলিটিজের একজন মুখপাত্র বলেন, এই সেন্টারে ৪ হাজার ৫০০ কর্মী নিয়মিত কাজ করছেন। এর মধ্যে অনেকেই এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ণয় করা যায়নি।

আমাজন কর্তৃপক্ষ বলেছে, কর্মীদের তাঁরা সহায়তা করছে। তাঁদের অনেকেই সেরে উঠছেন। তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা অনুসরণ করছে এবং কর্মীদের জন্য কর্মস্থলে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে কোম্পানি বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ, আমাজন এই মহামারির সময় মানুষের পাশে থাকতে চায়, তাই তারা আরও ১০ লাখ কর্মী নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

আমাজন কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার করার জন্য বিল্ডিং ক্লোজার কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।

আমাজন ব্লুমফিল্ড ফ্যাসিলিটি কর্মীদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা বলেছেন, আমাজনের কর্মীরা অতিরিক্ত কাজের চাপে সামাজিক দূরত্ব নীতি অনুসরণ করতে পারছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে গিয়েছিলেন, যখন তিনি ব্লুমফিল্ড ফ্যাসিলিটির অন্যদের মধ্যে এ রোগের লক্ষণ দেখেন।

ব্লুমফিল্ডভিত্তিক আমাজন ফুলফিলমেন্ট সেন্টারে কাজ করছেন কর্মীরা। ছবি: এএফপি
ব্লুমফিল্ডভিত্তিক আমাজন ফুলফিলমেন্ট সেন্টারে কাজ করছেন কর্মীরা। ছবি: এএফপি

এই সপ্তাহের শুরুতে আমাজন নিশ্চিত করেছে, স্ট্যাটেন আইল্যান্ড আমাজন ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের একজন কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে পরীক্ষায় জানা গেছে। ওই ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

কোম্পানি জানিয়েছে, ১১ মার্চ প্রথমে একজন কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তখন পর্যন্ত ব্লুমফিল্ড ফুলফিলমেন্ট সেন্টার ফুলটাইম খোলা ছিল। সেই ব্যক্তি কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন। যেসব কর্মচারীর দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বা যাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা কোম্পানির নীতি অনুযায়ী দুই সপ্তাহের বেতন পাবেন।

বর্তমানে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে আমাজন শিফটভিত্তিক কাজ চালু রেখেছে।