যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্যাকেজের চেক এ সপ্তাহ থেকেই যাবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বে বর্তমানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বে বর্তমানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক ল্যারি কুডলোর জানিয়েছেন, এ সপ্তাহ থেকেই করোনার প্রথম অনুদান নাগরিকেরা পেতে শুরু করবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ১৭৫ মিলিয়ন আমেরিকান প্রণোদনা প্যাকেজের চেক পাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নাগরিকদের জন্য এমন রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা আগে কখনো করা হয়নি।

প্রতি করদাতা বা অনুদানের যোগ্য লোকজন এককভাবে ১ হাজার ২০০ ডলার, দম্পতি হিসেবে ২ হাজার ৪০০ ডলার ও প্রতিটি শিশুর জন্য অতিরিক্ত ৫০০ ডলার করে দেওয়া হবে।

ইতিমধ্যে করোনার কারণে অনেকে কর্মহীন হয়েছেন। অনেকের কাজ থাকলেও কর্মঘণ্টা হ্রাস পেয়েছে। এই চেক প্রদানের উদ্দেশ্য হলো, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের জন্য সহায়তা করা।

কুডলো বলেছেন, ট্রেজারি, আইআরএসের চেকগুলো সম্ভবত এই সপ্তাহের প্রথম দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে সবাই পেতে শুরু করবেন।

কুডলো বলেছেন, ত্রাণ কর্মসূচির আবেদনের সময় ছোট্ট ব্যবসায়ীরা যে সমস্যায় পড়েছিলেন, তা দ্রুত সমাধান হবে। সরকার তারল্যসংকট কাটিয়ে নগদ অর্থ প্রদান করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের করোনার ক্ষতি থেকে উদ্ধার করবে। শ্রমশক্তিকে প্রকৃত ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত রাখার চেষ্টা করবে।

অনেক আমেরিকান শিগগিরই তাঁদের চেক নেওয়া শুরু করবেন। তবে উদ্দীপনা চেক কখন আসবে? কিছু মানুষের জন্য কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। কারণ, তাঁদের নিজস্ব বার্ষিক আয়কর ফাইল ও ব্যাংকিং তথ্যের ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে।

অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যেসব আমেরিকান সরাসরি আমানতের জন্য সাইনআপ করেছেন, তাঁরা দুই সপ্তাহের মধ্যে বেতন পাবেন। আমাদের কাছে যদি আপনার তথ্য না থাকে, তবে আপনার কাছে একটি সাধারণ ওয়েবপোর্টাল রয়েছে, আপনি সেটি আপলোড করবেন।’

ব্যাংকিংয়ের তথ্য না থাকলে অন্যথায় চেক মেইল করা হবে। এই চেক পেতে বেশি সময় লাগতে পারে।
২০১৮ সালের ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৬ শতাংশ বা প্রায় ১২ মিলিয়নের একটি চেকিং বা অন্য কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।

হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের দুই কক্ষে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নাগরিক সহযোগিতার সমঝোতা হয়। গত ২৫ মার্চ সিনেটে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিল পাস হওয়ায় এই নাগরিক সহযোগিতা মানুষের হাতে শিগগির পৌঁছে যাবে। কর্মহীন মানুষ, কোম্পানি ও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য সরকার এই সহযোগিতা তহবিল থেকে অর্থ পাবে।