করোনায় আমেরিকায় ১৬৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় মৃত্যু হওয়া ১০ বাংলাদেশির পাঁচজন। ছবি: সংগৃহীত
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় মৃত্যু হওয়া ১০ বাংলাদেশির পাঁচজন। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৮ এপ্রিল সর্বনিম্ন সংখ্যার মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে নিউইয়র্কে। এই সংখ্যাটি হলো ৫৪০। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় আরও ১০ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৩২ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার পাঁচটি রাজ্যে ১৬৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্কে মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন-রাইয়ান আহমেদ, শাহজালাল সরকার, ফিরোজ কবীর, আবদুল হামিদ, বিদ্যাচরণ দত্ত, সাগর নন্দী, গৌরাঙ্গ চন্দ্র, আবদুল গনি, নিরঞ্জন বণিক ও দেওয়ান সিদরাতুল মুনতাহানা।

নিউইয়র্ক রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্ব নিম্ন মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়ে বলেছেন, এখনও হাসপাতালে দৈনিক প্রায় দুই হাজার করে করোনা আক্রান্ত রোগীর আগমন ঘটছে। রাজ্যে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ৫০৪টি হাসপাতালে ও ৩৬টি নার্সিং হোমে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ এখন চিহ্নিত করোনা আক্রান্ত। গভর্নর বলেছেন, সুখের দিনে আমরা এখনও পৌঁছাতে পারিনি।

এদিকে নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও আবারও ঘোষণা করেছেন, কাউকে অভুক্ত থাকতে দেওয়া হবে না। লকডাউনে আটকে পড়া নগরীর অভুক্ত লোকজনকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ১৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ লাখ প্লেট খাবার দেওয়া হয়েছে। নগরীর স্কুল বোর্ড প্রতিদিন আড়াই লাখ খাবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করছে। নগরী ছাড়াও নানা চ্যারিটি সংগঠন লোকজনের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশীদের জন্য নগরীর সুবিধা পাওয়া ছাড়াও কমিউনিটি সংগঠনগুলো এগিয়ে এসেছে।

করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে আমেরিকায়। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই রাষ্ট্রটি করোনার কাছে এখন সবচেয়ে বেশি নাজেহালের শিকার। আর দেশটিতে নিউইয়র্ক রাজ্যের অবস্থা শোচনীয়। দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ হাজারের বেশি মানুষের।