টরন্টোতে করোনায় আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু

মোহাম্মদ শওকত আলী।
মোহাম্মদ শওকত আলী।

কানাডায় ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে করোনাভাইরাসে মারা গেলেন আরও এক টরন্টোপ্রবাসী বাংলাদেশি।তার নাম মোহাম্মদ শওকত আলী (৫৭) । এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় ছয়জন বাংলাদেশি কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যু হল। এঁদের মধ্যে পাঁচজনই টরন্টো শহরে বসবাস করতেন। আরেকজন ছিলেন অটোয়া শহরে।

গতকাল শনিবার দুপুরে টরন্টো ইস্ট জেনারেল হাসপাতালে মারা যান শওকত আলী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। করোনার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতা তাকে কাবু করে ফেলেছিল, এমনটিই জানিয়েছেন পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে টরন্টোতে বসবাস করতেন।

জানা যায়, শওকত আলী সিলেট এমসি কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। পেশাগত জীবনে সিলেটের তাজপুর ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনা ও সেই প্রতিষ্ঠানেই অধ্যক্ষ হিসেবে অবসরে যান।

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামের সন্তান শওকত আলী শিক্ষক হিসেবে তার শিক্ষার্থীদের কাছে ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। তিনি জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব টরোন্টোর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন।

শওকতের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত সংগঠনের সভাপতি দেবব্রত দে তমাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শওকত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী। শুধু এটুকু বলবো, টরন্টো বাংলাদেশি কমিউনিটি একজন ভালো মানুষকে হারাল। আমাদের অ্যাসোসিয়েশনে তাঁর শূন্যতা অপূরণীয়।’

সাবেক অধ্যক্ষ শওকত আলীর মুত্যুতে দেশে–বিদেশে থাকা তার ছাত্রছাত্রীসহ প্রবাসীদের মধ্যে শােকের ছায়া নেমে আসে।

এদিকে কানাডায় এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ২১৮ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৪৬৯ জন আর সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ১৬৮ জন।

কানাডায় করোনায় আক্রান্ত হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা শতাধিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সেরে উঠেছেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টরন্টোর স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা সালাম শরীফ (৬৭)।