মিশিগানে জরুরি অবস্থা ২৮ মে পর্যন্ত বর্ধিত

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার। ছবি: রয়টার্স
মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২৮ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিশিগানের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।

যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা–সংক্রান্ত গভর্নর অ্যাক্ট ১৯৪৫–এর কথা উল্লেখ করে এ–সম্পর্কিত ঘোষণায় গ্রিচেন হুইটমার বলেন, ‘আইনসভার কিছু সদস্য মনে করছেন, এ সংকট শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তা বলছে, আমরা এখনো বিপদমুক্ত নই।’

এদিকে একই দিনে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন মিশিগান হাউস রাজ্যের করোনাভাইরাস–সম্পর্কিত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা অস্বীকার করেছে এবং গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও ডেমোক্রেটিক গভর্নমেন্টকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

অন্যদিকে ‘স্টে হোম’ আদেশের বিরুদ্ধে শত শত মানুষ রাজ্যের রাজধানী ল্যান্সিংয়ের ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করছিল। কয়েকজনকে আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করতে দেখা যায়।

মিশিগান অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, মিশিগানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যান ১১৯ জন, আর আক্রান্ত হন ৯৮০ জন। আগের দিন অর্থাৎ, গত ২৯ এপ্রিল এখানে মারা যান ১০৩ জন, আর আক্রান্ত হন ১ হাজার ১৩৭ জন। মিশিগানে এখন পর্যন্ত কোভিড–১৯ রোগে মারা গেছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর দিক থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সির পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মিশিগান।

এ অবস্থাতেও রিপাবলিকানদের দিক থেকে অর্থনীতি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে ২৯ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার বলেন, ‘রিপাবলিকানরা অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টর খুলে দেওয়ার কথা বলে যে আচরণ করছেন, তাতে মনে হয় আমরা যেন একটা রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছি। এটা কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নয়। এটি জনস্বাস্থ্য সংকট ও একটি বৈশ্বিক মহামারি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের জীবন রক্ষায় মনোনিবেশ করতে চাই। কারও সঙ্গে রাজনীতি করার বা এ নিয়ে খেলার সময় আমার নেই।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে গভর্নর ‘ফিউচারস ফর ফ্রন্টলাইনারস’ নামে একটি প্রোগ্রামের ঘোষণা দেন। এতে হাসপাতাল, নার্সিং হোম, মুদি দোকানের কর্মীসহ জরুরি সেবাকর্মীরা কলেজ টিউশন ফি সুবিধা পাবেন। ২৮ মের পর অন্য খাতগুলো কবে নাগাদ খোলা হবে, তা সম্পর্কে জানা না গেলেও ৭ মে থেকে নির্মাণ খাত খুলে দেওয়া হবে বলে খবর পাওয়া গেছে গভর্নর কার্যালয় সূত্রে।