করোনায় নিউইয়র্কে অপরাধ কমেছে

লকডাউনের কারণে সবাই ঘরবন্দী থাকায় নিউইয়র্কের পথঘাটসহ ব্যস্ততম টাইমস স্কয়ার এলাকা এখনো ফাঁকা। ছবি: রয়টার্স
লকডাউনের কারণে সবাই ঘরবন্দী থাকায় নিউইয়র্কের পথঘাটসহ ব্যস্ততম টাইমস স্কয়ার এলাকা এখনো ফাঁকা। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের এই গৃহবন্দী সময়ে নিউইয়র্ক শহরে গুরুতর অপরাধের মাত্রা কমে এসেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো গত ২০ মার্চ থেকে নিউইয়র্কে লকডাউন ঘোষণা করেন। তখন থেকেই নিউইয়র্কবাসী গৃহবন্দী।

নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) থেকে ৪ মে প্রকাশিত এক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গুরুতর অপরাধ কমেছে প্রায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে যেখানে ৭ হাজার ১৬২ টি অপরাধের অভিযোগ করা হয়, সেখানে এ বছর এপ্রিল মাসে এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২১ টিতে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক শহরে এপ্রিল মাসে বন্দুক হামলা গত বছরের একই সময়ে সংগঠিত ৬২টি থেকে কমে ৫৬টিতে দাঁড়িয়েছে, এতে তা কমেছে প্রায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ধর্ষণের অভিযোগ কমেছে প্রায় ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ।

এনওয়াইপিডির তথ্য বলছে, নিউইয়র্ক শহরের পাঁচটি বরোতেই এ সময় সামগ্রিক গুরুতর অপরাধের সংখ্যা কমেছে। তবে হত্যা, ডাকাতি ও চুরি বেড়েছে। এই সময়ে রাজ্যে হত্যার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট ও বাসা-বাড়িতে ডাকাতির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৬৯ শতাংশ।

এনওয়াইপিডির কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের কারণে সবাই ঘরবন্দী থাকায় গুরুতর অপরাধের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকের মধ্যে চুরি করার প্রবণতা বেড়েছে।