এমআইটি স্লোন নেতৃত্ব পুরস্কার পাচ্ছেন শামীম

শামীম মোহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত
শামীম মোহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক মাস্যাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) স্লোন সিআইও নেতৃত্ব পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীম মোহাম্মদ। সম্প্রতি এমআইটি স্লোন সিআইও সিম্পোজিয়াম এবারের সম্মানজনক ২০২০ এমআইটি স্লোন সিআইও নেতৃত্ব পুরস্কারে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে।

১৩ বছর ধরে এ পুরস্কারটি তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায় দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার জন্য প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের (সিআইও) স্বীকৃতি দিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের এই সম্মানজনক পুরস্কার পাবেন রিচমন্ড-ভিত্তিক কারম্যাক্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, চিফ ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার শামীম মোহাম্মদ। কারম্যাক্স আমেরিকায় ব্যবহৃত গাড়ির সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা। শামীম কারম্যাক্সের প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করেন। তিনি সরাসরি কারম্যাক্সের সিইওর সঙ্গে কাজ করেন এবং কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দলের মূল সদস্য।

পুরস্কার কমিটির সহসভাপতি এবং এমআইটির অধ্যাপক জর্জ ওয়েস্টারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এমআইটি স্লোন সিআইও সিম্পোজিয়াম অ্যাওয়ার্ডস কমিটি শামীম মোহাম্মদকে ২০২০ সিআইও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে গর্বিত। আমরা এই বছর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পর্যালোচনা করার সময়, শামীম মোহাম্মদকে তাঁর দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য নির্বাচন করি। তিনি কারম্যাক্সে প্রযুক্তির কৌশলগত ব্যবহারে দুর্দান্ত নেতৃত্ব প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।’

৫১ বছর বয়সী শামীম মোহাম্মদের বাড়ি গাজীপুর জেলায় পিরুজালী ইউনিয়নের ভাওয়াল মির্জাপুরে। তিনি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নেন। ২০১২ সালে কারম্যাক্স কোম্পানিতে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

শামীম মোহাম্মদ প্রথম আলো উত্তর আমেরিকাকে বলেন, ‘কারম্যাক্স একটি ফরচুন ২০০ সংস্থা। আমি সরাসরি সিইওর পক্ষে এসভিপি এবং প্রধান তথ্য ও প্রযুক্তি অফিসার হিসেবে কাজ করছি। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি যে পুরস্কারটি আমি পাচ্ছি। কারণ, এ পুরস্কারটি বিশ্বের সেরা সিআইওকে দেওয়া হয়। এমআইটি স্লোন সিআইও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আসলেই সম্মানের এবং আমার ক্যারিয়ারের একটি সেরা প্রাপ্তি। আমি এ স্বীকৃতিটি আমাদের অসাধারণ কারম্যাক্স প্রযুক্তি টিম এবং ডেডিকেটেড সহযোগীদের—যাঁরা প্রতিদিন গ্রাহকের ভালো অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের উৎসর্গ করছি। এই পুরস্কারের কৃতিত্ব আসলে তাঁদেরই।