আমেরিকায় মৃত্যুর স্মৃতি নিয়ে ঈদ করছেন প্রবাসীরা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলে লকডাউন তুলে নিউইয়র্কসহ বেশ কিছু নগরী ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হচ্ছে। ম্যানহাটনে রেস্টুরেন্ট খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় কর্মীরা। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলে লকডাউন তুলে নিউইয়র্কসহ বেশ কিছু নগরী ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হচ্ছে। ম্যানহাটনে রেস্টুরেন্ট খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় কর্মীরা। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আমেরিকায় ২৬৪ বাংলাদেশির মৃত্যুর বেদনাবহ স্মৃতি নিয়ে ২৪ মে দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২৩ মে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মুজিব নামে ৭২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। 

মুজিব সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইলাশপুরের বাসিন্দা। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্সে ইস্ট এল্মহার্স্টের ২২ অ্যাভিনিউ, ৯৮ স্ট্রিটে বাস করতেন। ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন ইউএসএর প্রচার সম্পাদক মুজিবের ছেলে নুরুজ্জামান লিপন বলেন, তাঁর বাবা করোনায় সংক্রমিত হলে ৩ মে তাঁকে ফ্লাশিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাবা ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
১৯৮৭ সালে মুজিব আমেরিকায় আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন রেখে গেছেন।
এদিকে ২৩ মে আমেরিকায় এক দিনে করোনায় সংক্রমিত ৪৩ হাজার মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এটি এক দিনে সর্বোচ্চ সুস্থ হওয়ার রেকর্ড। এর আগে ১২ মে এক দিনে সুস্থ হয়েছিলেন ৩৪ হাজার। আমেরিকায় করোনাভাইরাস মধ্য মার্চ থেকে নাজুক পরিস্থিতিতে চলে আসে, এরপর সুস্থ হওয়ার চিত্র ছিল খুবই হতাশাজনক। নিউইয়র্কে শনাক্ত প্রায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জনের।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ম্যাসাচুসেটস, ইলিনয়, ক্যালিফোর্নিয়া,পেনসিলভানিয়া, টেক্সাস ও মিশিগানে শনাক্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। এর পরও অধিকাংশ নগরী ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে নিউইয়র্কে শুধু ধর্মীয় নয়, অন্যান্য জমায়েতের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও শর্ত সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে আমেরিকায় বাড়ির মালিকেরা বিপাকে পড়েছেন। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ১৬ লাখ বাড়ির মালিক তাঁদের মর্টগেজ প্রদান করতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতে না পারায় মর্টগেজ দিতে পারছেন না তাঁরা।
কংগ্রেসে উত্থাপিত আরেক দফা নাগরিক প্রণোদনায় বাড়ির মালিক ও ভাড়াটেদের জন্য সুখবর আসবে, এ নিয়ে প্রত্যাশা সর্বত্র। যদিও রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের ঐক্য ছাড়া এমন প্রণোদনা আইন পাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আশার কথা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে এ ধরনের একটা সমঝোতা আলাপ শুরু করার জন্য রিপাবলিকান কিছু আইনপ্রণেতারও উদ্যোগ দেখা গেছে।