মিশিগানে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ, ভাঙচুর

জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: রয়টার্স
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: রয়টার্স

জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট ও গ্র্যান্ড রেপিডস শহরে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করেছে অসংখ্য জনতা। গভর্নর অফিসেও ভাঙচুর করেছে তাঁরা। এ ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ডেট্রয়েট শহরের মেয়র মাইক ডুগান গত ৩১ মে রাত আটটা থেকে ১ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি করেছেন। ডেট্রয়েট শহরে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ডুগান ও ডেট্রয়েট পুলিশ বিভাগের প্রধান জেমস ক্রেগ বলেছেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে মানুষ কাজে আসা-যাওয়া করতে পারবে, শহরে বাস চলাচল অব্যাহত থাকবে।
ডেট্রয়েটে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে ৩১ মে সন্ধ্যায় কয়েক শ মানুষ মানববন্ধন করে ‘নো জাস্টিস নো পিস’ স্লোগান দেয়। কারফিউ অমান্য করে রাত আটটার পর ডেট্রয়েট ডাউন টাউনে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে ৩০ মে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডেট্রয়েট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ডেট্রয়েট মেয়র মাইক ডুগান শহরের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিক্ষোভে আসা বহিরাগতদের দায়ী করেছেন। এই সহিংসতা রাজ্যের রাজধানী ল্যান্সিং শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ৩১ মে রাতে বিক্ষোভকারীরা গভর্নর অফিসের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করে, একটি গাড়িতে আগুন দেয় ও একটি ব্যাংকে ভাঙচুর চালায়।
এদিকে রাজ্যের গ্র্যান্ড রেপিডস শহরের মেয়র রোসালিন ব্লিস গত দুদিনের সহিংসতায় শহরে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও কারফিউ জারি করেছেন। কারফিউ সন্ধ্যা সাতটা থেকে ২ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বিক্ষোভকারীদের অগ্নিসংযোগের কারণে সাতটি গাড়ি ও তিনটি ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে গ্র্যান্ড রেপিডস আর্ট মিউজিয়াম রয়েছে বলে জানা গেছে। কারফিউ ভঙ্গ করার দায়ে রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে গ্র্যান্ড রেপিডস পুলিশ।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ফ্লয়েড নামের আফ্রিকান-আমেরিকান এক ব্যক্তিকে ২৫ মে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নির্যতন করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন। এতে সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এই হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।