বয়স্কদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে 'অদৃশ্য হাত'

‘ইনভিজিবল হ্যান্ডস’ বা ‘অদৃশ্য হাত’ সংস্থার সমন্বয় পরিচালক মেরিসা মজিনা। ছবি: সংগৃহীত
‘ইনভিজিবল হ্যান্ডস’ বা ‘অদৃশ্য হাত’ সংস্থার সমন্বয় পরিচালক মেরিসা মজিনা। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কসহ অন্যান্য রাজ্যের অভিজাত দোকান বা স্টোরে যখন চলছে লুটপাট, ঠিক তখনই পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ‘অদৃশ্য হাত’। ‘অদৃশ্য হাত’ ইউনিভার্সিটি অব ফিলাডেলফিয়ার কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গড়ে ওঠা একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।

ফিলাডেলফিয়ায় যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছিল, ঠিক তখন স্বেচ্ছাসেবী এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। তখন ইউনিভার্সিটি অব ফিলাডেলফিয়ার কয়েকজন শিক্ষার্থী পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত বয়স্ক মানুষের জন্য বাড়িয়ে দেন সহায়তার হাত। তাঁরা সেই উদ্যোগের নাম দেন ‘ইনভিজিবল হ্যান্ডস’ বা ‘অদৃশ্য হাত’।

পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে কেনাকাটা করছেন ‘ইনভিজিবল হ্যান্ডস’ বা ‘অদৃশ্য হাত’ সংস্থার একজন স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে কেনাকাটা করছেন ‘ইনভিজিবল হ্যান্ডস’ বা ‘অদৃশ্য হাত’ সংস্থার একজন স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সংস্থার সমন্বয় পরিচালক মেরিসা মজিনা বলেন, শুরুতে তিনি নিজের বাড়ি থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেন। লকডাউনে তাঁর দাদি গৃহবন্দী হয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য ও জরুরি ওষুধের অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় মজিনা বন্ধুদের নিয়ে এই উদ্যোগের কথা ভাবেন। পরে নিজ উদ্যোগে ২০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বয়স্ক পেনশনারদের পুষ্টিকর খাদ্যসহ জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া শুরু করেন। বর্তমানে নগরীর স্বল্প আয়ের পরিবার ও বয়স্কদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সহায়তার কাজে স্থানীয় অভিভাবক এবং খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে।