'আই ক্যান্ট ব্রিদ!'

এই মুমূর্ষু বাক্যটি এখন বারবার, লক্ষ্য–কোটিবার ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমেরিকার আকাশে-বাতাসে, পোস্টারে–ফেস্টুনে—“আই ক্যান্ট ব্রিদ!’ আই’ম অ্যাবাউট টু ডাই”। এই বাক্যটি বলে একটু বাতাসের জন্য, একটু প্রশ্বাসের জন্য গোঙাচ্ছিল একজন মানুষ। তার সেই অন্তিম আর্তনাদ হাহাকার হয়ে আজ ছড়িয়ে গেছে অজস্র কণ্ঠে।
না, জর্জ ফ্লয়েড নামের সেই কালো মানুষটি বিধাতার দেওয়া অক্সিজেনটুকুও পায়নি। কারণ, একটি জানোয়ার তার শরীরের সবটুকু ওজন দিয়ে রাস্তার কংক্রিটের ওপর পায়ের তলায় ঠেঁশে ধরেছিল মানুষটির কণ্ঠনালী। তবে জানোয়ারটি দেখতে অবিকল মানুষের মতোই। তার গায়ের রং ছিল সাদা।
এই ঘটনটি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকা আমেরিকার চাপা বর্ণবাদকে নতুন করে উসকে দিয়েছে। প্রতিবাদের উত্তাল আন্দোলনে চাপা পড়ে গেছে করোনার ভীতি। মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ারে, বিক্ষোভে উত্তাল, রক্তাক্ত আজ আমেরিকা। করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর ভয়াবহ স্মৃতি বুকে নিয়ে মৃত্যুপুরী আমেরিকার আরেকটি কুৎসিত ক্ষত যেন নতুন করে দগদগে হয়ে উঠেছে। একদিকে করোনার মৃত্যু মিছিল, পাশাপাশি চলছে ক্ষুব্ধ মানুষের দ্রোহের মিছিল।
দুই হাজার বিশ; বিশ্বে এমন বিষাক্ত বাষ্প ছড়াবে, জানুয়ারিতে নতুন বর্ষ উদ্যাপনের সময় আমরা কেউ তা জানতাম না। আসুন, সবাই মিলে সর্বান্তকরণে বছরের বাকি দিনগুলোর জন্য শান্তি কামনা করি। শান্ত হোক, সুস্থ হোক পৃথিবী। মানবতা ফিরে আসুক মানুষের মাঝে—শেলী জামান খান