'প্রশিক্ষণ স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে'

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ‘অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে কার্যকর প্রশিক্ষণ হতে হবে স্থানীয় বাস্তবতা ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’ ১ জুন ‘অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনসমূহ নির্ণয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন রাবাব ফাতিমা।
আলোচনা অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস্, রুয়ান্ডা ও উরুগুয়ে মিশন। এতে সহযোগিতা প্রদান করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডাচ গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাক্স।
অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টি শান্তিরক্ষীদের প্রাক-মোতায়েন প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ প্রসঙ্গে তিনি চাহিদামাফিক প্রশিক্ষণ, যৌথ অনুশীলন এবং কারগরী সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ের (বিপসট) সঙ্গে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সেনা/পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করেন। সক্ষমতা ও সম্পদের ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদ, সৈন্য/পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলো ও জাতিসংঘ সচিবালয়ের মধ্যকার অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন তিনি। কোভিড-১৯-জনিত সংকটের কারণে সৃষ্ট সুনির্দিষ্ট কিছু চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে বাড়তি সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ সুবিধা, পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা এবং শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ সচিবালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর শতাধিক প্রতিনিধি ইভেন্টটিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠাটিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ক্যারেল জে জি ভ্যান ওসতারোম ও উরুগুয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি কার্লোস অ্যামোরিন। বিজ্ঞপ্তি