নদীতে আসা তিমিটি গেল কোথায়

মন্ট্রিলের স্বচ্ছ ও নীল আকাশের নিচে তিমিটির সাঁতার কাটার অসাধারণ দৃশ্য ধরা পড়ে ক্যামেরায়। ছবি: এএফপি
মন্ট্রিলের স্বচ্ছ ও নীল আকাশের নিচে তিমিটির সাঁতার কাটার অসাধারণ দৃশ্য ধরা পড়ে ক্যামেরায়। ছবি: এএফপি

কানাডার মানুষের হৃদয় জয় করা তিমিটি আর নেই বলে মনে করছে ওয়াইল্ডলাইফ কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে একটি বাণিজ্যিক জাহাজের পাইলট কানাডার মন্ট্রিলের থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে মন্টেরেগি অঞ্চলের ভারেনেসের কাছে একটি তিমির মৃতদেহ দেখতে পান। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কানাডার স্তন্যপায়ী প্রাণী নিয়ে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম কুইবেক ইমারজেন্সি নেটওয়ার্ক ফর মেরিন ম্যামালসের (আরকিউইউএমএম) সংগঠক ম্যারি–ইভ মুলার বলেন, ‘কানাডার মৎস্য দপ্তর মন্ট্রিলের ৮০ কিলোমিটার পূর্বে সোরেলে এই তিমির দেহটি বেঁধে রেখেছিল। বিশালাকৃতির একটি ক্রেনের সাহায্যে এটিকে এই উপকূলে তোলা হয়েছিল। খুব সম্ভবত কিছু দিন আগে মন্ট্রিলের নদীতে এই তিমি দেখা গিয়েছিল।’

গত সপ্তাহে মন্ট্রিলের সেন্ট লরেন্স নদীতে দেখা মেলে অতিকায় এক তিমির। হাম্পব্যাক তিমিটি নদীতে সাঁতার কাটছিল আর ক্রীড়াকৌতুকে মগ্ন ছিল। মন্ট্রিলের স্বচ্ছ নীল আকাশের নিচে তিমিটির সাঁতার কাটার অসাধারণ দৃশ্য ধরা পড়ে ক্যামেরায়। মন্ট্রিলবাসীর মন জয় করে ফেলে তিমিটি। দুই থেকে তিন বছর বয়সী তিমিটিকে দূর থেকে বেশ সুস্থ মনে হচ্ছিল। ধারণা করা হয়, শিকার খুঁজতে খুঁজতে বা পথ ভুলে তিমিটি মন্ট্রিলের নদীতে চলে এসেছে। বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, এটি ৪০০ কিলোমিটারেরও দূরে সেন্ট লরেন্স উপসাগরে ফিরে যাবে।

কীভাবে তিমিটি মারা গেল, এ নিয়ে তদন্ত চলছে। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, তিমিটি হয়তো কোনো কার্গো জাহাজ দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল অথবা অগভীর জলে চলে এসেছিল।

হ্যাম্পব্যাক তিমির মূলত উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি গভীর সাগরে দেখা যায়। এই প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক তিমি লম্বায় ১৭ মিটার ও ওজনে প্রায় ৪০ টন পর্যন্ত হতে পারে।