মিশিগানে বার থেকে করোনায় সংক্রমিত ৭৬ জন

করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মিশিগানের মিলফোর্ডে ওয়াইএমসিএ সামার ক্যাম্পে আবার প্রশিক্ষণ শুরু করেছে শিশুরা। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে আবারও রাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত সবাই। ছবি: রয়টার্স
করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মিশিগানের মিলফোর্ডে ওয়াইএমসিএ সামার ক্যাম্পে আবার প্রশিক্ষণ শুরু করেছে শিশুরা। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে আবারও রাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত সবাই। ছবি: রয়টার্স

মিশিগান অঙ্গরাজ্যে পাঁচ দিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমে বেড়েই চলেছে। মিশিগানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮৯ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে, যা গত ৩১ মের পর এক দিনে শনাক্ত হওয়া সর্বোচ্চ সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এদিকে পূর্ব ল্যান্সিংয়ে বার থেকে অন্তত ৭৬ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে ইঙ্গহাম কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

মিশিগান স্টেট সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৬৯৫ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৮৮ জনের। এক মাস ধরে মিশিগানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু ও আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে আসছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে তা আবার বাড়ছে। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির ট্র্যাকিং অনুসারে, আমেরিকার মধ্যে মিশিগান অঙ্গরাজ্য করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার দিক দিয়ে নবম অবস্থানে এবং মৃত্যুর দিক দিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

২৬ জুন মিশিগানের সেন্ট ক্লেয়ার লেকে বার্ষিক নৌকা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম হয়েছিল। অটো ওয়ার্কাররা ১৯৭৪ সাল থেকে এ নৌকা উৎসব করে আসছেন। নৌকা নিয়ে সারা দেশে যে উৎসব হয়, মিশিগানের এ উৎসব ইতিমধ্যে দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারির সময়ে এ উৎসব হওয়ায় অনেকেই আতঙ্কিত যে এখান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। কারণ, অনেকেই সেখানে মাস্ক পরেননি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেননি। এ ব্যাপারে মিশিগানের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার বলেন, নিয়ম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে এবং আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা আবার পেছাতে হবে।

এদিকে মিশিগানের পূর্ব ল্যান্সিংয়ের বার থেকে অন্তত ৭৬ জন ব্যক্তি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে ইঙ্গহাম কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। ১২ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত হার্পার রেস্টুরেন্ট ও ব্রু পাবে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৭৬ জন এই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

২৫ জুন সিডিসি করোনাভাইরাসসংক্রান্ত নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। সিডিসির নতুন সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সাধারণ একজন নারীর চেয়ে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর করোনাভাইরাস থেকে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি আছে। গবেষকেরা করোনায় সংক্রমিত ৩ লাখ ২৬ হাজার নারীর ডেটা দেখে এই তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আট হাজার নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, একজন সাধারণ নারীর চেয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা পাঁচ গুণ বেশি। অন্তঃসত্ত্বা নারীর আইসিইউতে ভর্তি এবং ভেন্টিলেটর স্থাপনের আশঙ্কাও অনেক বেশি। তবে দুটি গ্রুপের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কোনো তফাত ছিল না। সিডিসি ও বিশেজ্ঞরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক রাখাসহ নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হবে।