ট্যালেন্ট আইডেনটিফিকেশন প্রোগ্রামে রাঈনের সাফল্য

আসিফ রাঈন
আসিফ রাঈন

ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ট্যালেন্ট আইডেনটিফিকেশন প্রোগ্রাম ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ প্রোগ্রামে সাধারণত সপ্তম শ্রেণি থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের এসএটি এবং এসিটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। এ পরীক্ষাগুলো সাধারণত কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের দিতে হয়।

তবে এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সপ্তম শ্রেণি থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিজেদের নাম নিবন্ধন করে এসএটি এবং এসিটি পরীক্ষা দেওয়ার সামর্থ্য অর্জন করতে পারে। এ দুটি প্রোগ্রাম একাডেমিকভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের বুদ্ধি ও সামাজিক বিকাশকে উৎসাহিত করার জন্য উন্নত শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে।

সপ্তম শ্রেণি থেকে কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে থাকে। আমেরিকায় বসবাসরত অনেক বাংলাদেশিই এ দুটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে অবগত নন। অথচ এ দুটি প্রোগ্রামের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই সঠিক পথে চলার নির্দেশনা পেয়ে থাকে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে। এ ছাড়া এ দুটি প্রোগ্রামে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল এবং পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম—এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যায়। আমেরিকা ছাড়াও বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। এ দুটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে https://cty.jhu.edu এবং tip.duke.edu এ দুটি ওয়েবসাইট থেকে।

গত বছরের ডিসেম্বরে রাঈন ইসলাম সপ্তম শ্রেণি থেকে এসএটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং নির্ধারিত নম্বরের চেয়েও অনেক নম্বর বেশি পেয়ে এই প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হয়। রাঈন ইসলামের বাবা নিউজার্সিতে লিগ্যাসি ট্রিটমেন্ট সার্ভিসেসে কর্মরত ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিভাবকদের নিজেদের সন্তানদের এসব প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দেওয়া উচিত। এতে করে শিক্ষার্থীরা আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে।