প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হবে: ফাউসি

অ্যান্টনি ফাউসি। ছবি: রয়টার্স
অ্যান্টনি ফাউসি। ছবি: রয়টার্স

ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে করোনার কবল থেকে মার্কিন জনতা মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি। গতকাল সোমবার এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের শুরুর দিকে করোনারোধী ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর হবে কি না, এর উত্তর পেয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ঠেকাতে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ফাউসি বলেন, ‘এখন যেভাবে সবকিছু চলছে, তা ঠিকমতো চললে পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি এ মাসের শেষেই তৃতীয় ধাপে চলে যাবে। অন্য ভ্যাকসিনগুলো জুলাইয়ের পর তৃতীয় ধাপে পৌঁছাবে। এসব ভ্যাকসিন নিরাপদ বা কার্যকর কি না, তা এ বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের শুরুতে জানা যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন সংক্রমণ বাড়তে থাকার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের পরিচালক ড. ফ্রান্সিস কলিন্সের সঙ্গে গতকাল সোমবার ফেসবুক লাইভে আলাপচারিতায় অংশ নেন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক ফাউসি।

ফাউসি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর পরিস্থিতি বিশেষ ভালো নয়। দুদিন আগেই দেশে নতুন সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা দিনে ৫৭ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। আমরা এখনো প্রথম তরঙ্গের গভীরেই রয়েছি। আমরা পরিস্থিতিকে যেখানে নিতে চাই, এটা এখনো তার ধারেকাছেও যায়নি।’

ফাউসি বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই যাতে ভ্যাকসিন হাতে থাকে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন কাজ করবে কি না, তা না জেনেই ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। ভ্যাকসিন যদি কাজ না করে, তবে তা ফেলে দিতে হবে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, ‘আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে নিরপত্তা ও কার্যকারিতার মূলনীতিতে কোনোরূপ ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো ভ্যাকসিন যদি পাওয়া যায় তাকে কঠোর পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে।’

৩০ হাজার মানুষকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিগুলোর পরীক্ষা চালানো হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও এর পরীক্ষা হতে পারে। ভ্যাকসিন কত দিন পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারবে—এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ফাউসি। তবে তিনি বলেছেন,‘ আমরা ধারণা করছি নির্দিষ্ট মাত্রার ও নির্দিষ্ট সীমার সুরক্ষা মিলতে পারে। কখন রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বুস্টার লাগবে, তা জানার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন হবে। এটি আরএনএ ভাইরাস এবং তা রূপ পরিবর্তন করে। তবে রূপ পরিবর্তনের বিষয়টি খুব বেশি ইতিবাচক মনে করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাই বেশি জরুরি।’

ফাউসি আশা করছেন, ‘এটা শেষ হবে। আমরা এ থেকে বের হতে পারব। অপেক্ষা করুন। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এটা শেষ হবে।’