নিউইয়র্কের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ক নগরীর এক-তৃতীয়াংশ ভাড়াটে গত মার্চ থেকে বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। আমেরিকার সবচেয়ে বড় হাউজিংয়ের নগরীতে এই অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বা বাড়িভাড়া অনেক নাগরিকেরই আয়ের মূল উৎস।

গত ৩০ জুন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ‘নিউইয়র্ক টেনেন্ট সেফ হার্বার’ নামে একটি আইন পাস করেন। এ আইনে গত মার্চের ৭ তারিখের পর বাসা ভাড়া পরিশোধ না করার কারণে কোনো ভাড়াটেকে উচ্ছেদ না করার কথা বলা আছে।

নিউইয়র্কের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকেন। কমিউনিটি হাউজিং প্রোগ্রাম বিভাগের তথ্যমতে, ভাড়াটেদের এক-তৃতীয়াংশই মার্চ মাস থেকে বাড়ির মালিকদের কোনো ভাড়া প্রদান করেননি।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ফোরামের তথ্যমতে, নিউইয়র্কে লকডাউন জারির সময় প্রায় ৭ লাখ ভাড়াটে তাঁদের কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। করোনা বিপর্যয় ও কর্মহীনতার কারণে লোকজন বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। এদিকে ভাড়া পরিশোধ না করে মাসের পর মাস থাকলেও তাঁদের উচ্ছেদ না করার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে ক্ষুদ্র আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টের মালিকেরা বিপাকে পড়েছেন। বেকার ভাতা ও সরকারি প্রণোদনা মিলিয়ে অনেকে নিয়মিত আয়ের চেয়ে বেশি আয় করলেও ভাড়া পরিশোধ না করার নজিরও রয়েছে।

ব্লুমবার্গ ফিসক্যাল পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ জোন্স সেনডে বলেছেন, বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করছে। এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো পক্ষেরই পরিকল্পনা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।