ডিমের খোসা, বাসি পাউরুটি ফেলা যাবে না

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

কোনো খাদ্য বর্জ্যই আর নষ্ট করতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বিভাগ, তা সেটা ডিম বা ফলের খোসাই হোক, বাসি রুটিই হোক। ভাগাড় ব্যবস্থার ইতি টানতে চায় তারা।

'খাদ্য বর্জ্য নিষিদ্ধ' নামে নতুন একটি আইন পাস হয়েছে এই অঙ্গরাজ্যে। ডিমের খোসা, ফলের খোসা, বাসি রুটির মতো ফেলনা জিনিস, যা মিশ্রসারে পরিণত করা যায়—এমন বর্জ্য নিষ্কাশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই আইনের মাধ্যমে। গুড নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা অবশ্য কঠিন। ভারমন্ট হলো প্রথম অঙ্গরাজ্য, যারা এ ধরনের আইন কার্যকর করেছে। অঙ্গরাজ্যের নীতি নির্ধারকেরা এটিকে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা ভারমন্টের সচেতন নাগরিকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্বেচ্ছামূলক সহযোগিতা আশা করছেন।

মূল লক্ষ্য হলো, ভাগাড়ের ৫০ শতাংশ আবর্জনা কমিয়ে আনা। যেহেতু এসব বর্জ্যপুনরায় ব্যবহারযোগ্য, তাই ভাগাড়ে নষ্ট না করে এই পন্থা অবলম্বন করায় ঠিক মনে করছে অঙ্গরাজ্য সরকার। লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ শতাংশ পূর্ণ হলেই আইন সফল হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়।

কী কী ফেলে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতি পাঁচ বছরে ভারমন্টের কর্মকর্তারা একটি জরিপ চালান। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে যে প্রায় ২০ শতাংশ হলো খাদ্য বর্জ্য, যা দিয়ে ক্ষেত এবং খামারগুলোর জন্য সার বানানো যায়।

ভারমন্ট এজেন্সি ন্যাচারাল রিসোর্সের উপকরণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান জস কেলি বলেন, মানুষ জানতে চায়, খাদ্য বর্জ্য নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী? কেলি বলেন, পুলিশ মানুষের বাসার সামনের রাস্তার ময়লা ফেলার ঝুড়ি পরীক্ষা করবে না। কী পুনর্ব্যবহারযোগ্য, সে সম্পর্কে বিস্তারিত গাইড এবং তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে মানুষকে সহায়তা করা হবে। কেলি বিশ্বাস করেন, এটি একদম যথার্থ কোনো পদক্ষেপ না হলেও ভালো উদ্যোগ।