ড্রিমার্সদের মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ খুলছে

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছোটবেলা মা–বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া তরুণ-তরুণীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এসব অভিবাসীর নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ খুলে দিতে তিনি শিগগিরই একটি নির্দেশে সই করতে যাচ্ছেন।

অবৈধভাবে অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সঙ্গে থাকে তাঁদের শিশু সন্তানেরাও। ছোটবেলায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো এসব অভিবাসীকে ‘ড্রিমার্স’ বলা হয়। ২০১২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই রকম অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিবর্তে তাঁদের কাজ ও থাকার সুযোগ নিশ্চিত করতে ‘ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস’ (ডিএসিএ) নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। এর আওতায় প্রায় সাড়ে ছয় লাখ তরুণ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়।

অভিবাসীদের নীতিতে প্রথম থেকেই কঠোর ওবামার উত্তরসূরি ট্রাম্প। তাই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিএসিএ প্রকল্পটি বাতিলের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। ২০১৭ সালে তাঁর প্রশাসন প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটির নিম্ন আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে অনেক আগেই ‘বেআইনি’ বলে রায় দেন। গত মাসে ওই রায় বহাল রাখেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরাও।

>

মা–বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিশুদের ড্রিমার্স বলা হয়। তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।

ড্রিমার্স প্রশ্ন একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার স্প্যানিশ ভাষার টিভি চ্যানেল টেলেমুন্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড্রিমার্সদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি একটি বড় ধরনের নির্বাহী আদেশ দিতে যাচ্ছি। ডিএসিএকে আমি সেটার একটি অংশ করতে যাচ্ছি। আমরা নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ প্রস্তুত করতে যাচ্ছি।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শতভাগ অনলাইন ক্লাসে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, তার সমালোচনা করেছেন ১২টি খ্রিষ্টান সংগঠনের নেতারা। তঁারা বলেছেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের জন্য যে অবদান রাখছেন, এই নীতিমালা তা ক্ষতি করবে।