পুলিশের জন্য গাড়ি বিক্রি বন্ধের চাপ ফোর্ড কর্মীদের

ফোর্ড মোটর কোম্পানি ৭০ বছর থেকে পুলিশের জন্য গাড়ি তৈরি করে আসছে। ছবি: রয়টার্স
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ৭০ বছর থেকে পুলিশের জন্য গাড়ি তৈরি করে আসছে। ছবি: রয়টার্স

আমেরিকায় সাম্প্রতিক সময়ের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ফোর্ড মোটর কোম্পানিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সংস্থাটির কর্মীরা চাপ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা ফোর্ড কোম্পানিকে পুলিশের জন্য গাড়ি নির্মাণ ও বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

৮ জুলাই মোটর গাড়ির নিউজ পোর্টাল জালোপনিক-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ফোর্ড মোটর কোম্পানির শতাধিক কর্মী ফোর্ড কোম্পানিকে পুলিশ বিভাগের জন্য যানবাহন তৈরি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা গত মাসে 'চেঞ্জ ডট অর্গ' নামে একটি পাবলিক পিটিশনে ১২ হাজারের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ফোর্ড মোটর কোম্পানিকে পুলিশ বিভাগকে গাড়ি বিক্রয় ও পরিষেবা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান। ফোর্ড মোটর কোম্পানির সিইও জিম হাকেট সম্প্রতি কর্মীদের একটি মেমো দিয়েছেন। সেই মেমো থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে।

ফোর্ড মোটর কোম্পানি ৭০ বছর থেকে অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে পুলিশের জন্য গাড়ি তৈরি করে আসছে। ফোর্ড মোটর কোম্পানির সিইও জিম হাকেট কর্মীদের 'পুলিশের জন্য গাড়ি তৈরি ও বিক্রয় বন্ধের' দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, গাড়ি তৈরি ও বিক্রি অব্যাহত থাকবে। অটো মেকাররা 'ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস' আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারে। ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারসের ব্যাপারে আমাদের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর সব সময় অব্যাহত থাকবে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মিশিগানে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৩৯০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আগের দিন অর্থাৎ ১১ জুলাই এখানে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৫৩ জনের। মিশিগানে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৬৮ জনের এবং সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৩৮ জনের।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১৩ জুলাই থেকে মিশিগানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে ৫০০ ডলার জরিমানা গুনতে হবে। মিশিগানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার ১০ জুলাই একটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ঘরের ভেতর বা বাইরে যেখানে লোকসমাগম হয়, সেখানে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না, সেখানেও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবে কেউ কেউ এর আওতামুক্ত থাকবেন, যেমন যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচের শিশু ও অসুস্থতার জন্য যাদের মাস্ক পরতে অসুবিধা হয়। ইচ্ছাকৃত কেউ এ আদেশ অমান্য করলে তাকে ফৌজদারি শাস্তি হিসিবে ৫০০ ডলার জরিমানা দিতে হবে।