দরকার সমন্বয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাই একসঙ্গে অনেক বড় শক্তি। এ শক্তি যেকোনো প্রতিকূল অবস্থা ও অবস্থানকে আমাদের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারে। এ জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, বাজেটের অপ্রতুলতা, অব্যবস্থাপনা, নেতৃত্বের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা দরকার। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবার মনে এসব মৌলিক বিষয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে। বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এসবের সমন্বয় করে করণীয় নির্ধারণের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও শুধু আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষার ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা, নেতৃত্বের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা এ তিন বিষয়ের মধ্যে নিবিড় আন্তঃসম্পর্ক বিদ্যমান। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক ধরনের নিষ্ক্রিয়তা নেতৃত্বের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অনলাইন ক্লাস নিয়েও মতদ্বৈধতা আছে। তথাপি, ইউজিসি সেসব পর্যালোচনা করে একটা গাইডলাইন তৈরি করেছে। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে পিছিয়ে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট, ডিভাইস ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করার শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করছে। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোভিড-পরবর্তী সময়ে অনলাইন শিক্ষা চালু রাখার ব্যাপারেও মত প্রকাশ করেছে। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত ছিল ইউজিসি/শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো ও করণীয় উপস্থাপন করা।

তাই প্রশ্ন জাগে, সমস্যায় জর্জরিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা কতটা? এর উত্তরে বলতে হয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত সুবিধা ন্যূনতম। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, ভালো লাইব্রেরি ও অনলাইন এক্সেস, বিনোদনের জায়গা, ভালো ক্যানটিন, উদ্বৃত্ত টাকা-পয়সা, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, এমনকি ক্লাসরুমে ফ্যান পর্যন্ত নেই কোথাও কোথাও। অধিকাংশ ক্লাসরুমের অবস্থা চলনসই, কোথাও দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে, কোনো কোনোটিতে শিক্ষার্থীদের বসার পর্যাপ্ত বেঞ্চ পর্যন্ত নেই। আধুনিক ক্লাসরুম বা ডিজিটাল ক্লাসরুমের কথা বাদই থাকল। ঠিকমতো চক-ডাস্টার থাকে না, ভালো বোর্ড নেই। প্রজেক্টরের কথা বাতুলতা। বিভাগগুলোতে প্রিন্টার, স্ক্যানার, ফটোকপিয়ার নেই। ফ্যাক্স, টেলিফোন করার সুযোগ নেই। চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত বাস ও লাইব্রেরিতে মানসম্মত বই নেই। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষাগারগুলোতে ৫০ বছরের পুরোনো যন্ত্রপাতি ছাড়া বলার মতো কিছু নেই। ভালো জার্নালের এক্সেস ও সময়োপযোগী সিলেবাস নেই। ভালো শিক্ষক অপ্রতুল। ভালো কর্মকর্তা শুধু স্বপ্নেই মিলে। এই সবকিছু অস্বীকারের সুযোগ নেই। এসব দেখার মতো কেউ আছে বলেও মনে হয় না। অকার্যকর নেতৃত্ব স্বায়ত্তশাসন বিসর্জন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারি কলেজের রূপ দিয়েছে।

কিন্তু সবকিছু দূরে ঠেলে বর্তমানে কোনো রকমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার বিকল্প নেই। এটা ঠিক যে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মিথস্ক্রিয়া ব্যতীত শিক্ষা পূর্ণতা পায় না। তাই নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান ও পদার্থবিজ্ঞানের জনপ্রিয় অধ্যাপক মিশিও কাকুর মতো শিক্ষকদের লেকচার অনলাইনে থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসে। কোনো রকমে শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখাটাই যখন চ্যালেঞ্জ, তখন অন্য বিষয় সামনে এনে বিতর্ক করার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।

বিভিন্ন ফোরামে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয় বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বিপক্ষে আসা মতামতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অনলাইন এক্সেস সীমিত বা নাই বললেই চলে। মোদ্দাকথা আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয় জড়িত। এ সমস্যার সমাধান কী? এসবের জন্য অর্থের সংকুলান কোথা থেকে হবে? হয় সরকার নয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে? কথায় আছে সাত মন ঘি আসবে না, রাধাও নাচবে না। রাধাকে নাচাতে কি আসলে সাত মণ ঘি দরকার? আরও কমে কি রাধা নাচবে? তাহলে সে ফর্মুলা কী? বিদ্যমান বাজেটে ভালো ব্যবস্থাপনা ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার গুণগত পরিবর্তন কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব নয়।

বাংলাদেশের পাবলিক-প্রাইভেট মিলে প্রায় ১৫০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আরও পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনাধীন। এত বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষিত এ মুহূর্তে দরকার নেই। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা দেওয়ার মতো শিক্ষক/সুযোগ-সুবিধা কোনোটাই আমাদের নেই। আমরা উচ্চশিক্ষার নামে অপচয় ও অপব্যয় করছি। সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবহার আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেটের অপ্রতুলতার কথা বলা হয়। বাস্তবতা হলো অল্প বাজেট দিয়েও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা অনেক দূর যেতে পারি।

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনাতিরিক্ত শিক্ষক আছেন। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু বিভাগে ৪৫-৫০ জন পর্যন্ত শিক্ষক আছেন, অথচ বিভাগটি মাত্র ২০-২৫ জন শিক্ষক দিয়ে চলবে। চলুন দেখি কীভাবে সম্ভব? বাংলাদেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের উন্নয়শীল দেশ তাই আমাদের প্রতিটি পয়সা হিসাব কষে খরচ করা উচিত। বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক ও প্রাইভেট) নিয়ে একটা ক্লাস্টার করা উচিত। ধরি এমন একটি ক্লাস্টারের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ান্টাম মেকানিকসের বেসিক কোর্স পড়ানো হয়। মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে খুব ভালো একজন কোয়ান্টাম মেকানিকসের শিক্ষক আছেন। তিনি কোনো এক সেমিস্টারে কোর্সটি অফার করলেন। ক্লাস্টারের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ওই সেমিস্টারে কোর্সটি নিতে পারবে। ঢাবির শিক্ষার্থীরা সরাসরি ও বাকিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে অংশ নেবে। এতে শিক্ষার্থীরা একজন উচ্চমানের শিক্ষকের সঙ্গে কোর্সটি নিয়ে অনেক কিছু শিখতে পারবে? এমন অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে কোয়ান্টাম মেকানিকস পড়ানোর মতো ভালো শিক্ষক নেই।

প্রশ্ন হলো এত শিক্ষার্থীকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নির্দিষ্ট রুমে ক্লাস শুরু হওয়ার পর লক করে দেওয়া হবে। ক্লাসে সিসি ক্যামেরা, মাইক, রেকর্ডিং ও ব্রডকাস্টিং সুবিধা থাকবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে প্রশ্ন করতে পারবে অর্থাৎ শিক্ষকের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল ইন্টারেকশন সম্ভব। এটাকে আমরা ডিজিটাল ক্লাসরুম বলতে পারি। যুক্তরাজ্যসহ অনেক উন্নত দেশে এমন পদ্ধতি আছে।

আরেকটা উদাহরণ হতে পারে সংযুক্ত অধ্যাপক, যা উত্তর আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। একজন দক্ষ/অভিজ্ঞ শিক্ষক দু-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও শিক্ষকতায় জড়িত থাকেন। এ ব্যবস্থা চালু করলে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমে আসবে। আমাদের দেশে অনেক আগেও তা ছিল। ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ একসঙ্গে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটের বেশির ভাগ ব্যয় হয় শিক্ষক ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ। শিক্ষকের সংখ্যা কমে গেলে অনেক টাকার সাশ্রয় হবে, যা উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা যাবে। শিক্ষকদের যথাযথ সম্মানী নিশ্চিত করা যাবে ও মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।

প্রশ্ন থাকে পরীক্ষা, খাতা মূল্যায়ন, মিডটার্ম, ক্লাস টেস্ট, কুইজ এসবের কী হবে? এসব কাজ করবে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। বিনিময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সুবিধা পাবে ও শিক্ষকতার প্রশিক্ষণও পেয়ে যাবে। মূল্যায়ন হলো শিক্ষণের সর্বশেষ ধাপ। এটা কেবল শিক্ষার্থীদের ভালোমন্দের একটা তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করে। শিক্ষণই মূল উদ্দেশ্য, মূল্যায়ন নিয়ে খুব বাড়াবাড়ির কিছু নেই। চাইলে অনলাইনেও মূল্যায়ন সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পুল, কুইজ, অনলাইন ডেমনস্ট্রেশন ইত্যাদির কথা। তা ছাড়া মূল্যায়নের নানা রকমের পদ্ধতি আছে। তবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে ওপেন বুক এক্সাম, টেক হোম এক্সাম চালু করা যেতে পারে। মান্ধাতার আমলের মুখস্থ করে পরীক্ষা দেওয়ার বদলে এসব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ওয়াইফাই কানেকশন আছে। না থাকলে সে ব্যবস্থা করা কঠিন নয়। বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খালি পড়ে আছে। সেখানে কেবল দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত, ইন্টারনেট কানেকশনবিহীন শিক্ষার্থীদের (বিভিন্ন জরিপ বলছে ৩০%) থাকার ব্যবস্থা করলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আপত্কালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি করা যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাদেরকে অলস পড়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের মাধ্যমেই হলে নিয়ে আসা সম্ভব। খাবার ব্যবস্থা তারা করতে পারবে। গ্রামে তারা না খেয়ে নেই। চাইলে ও সম্ভব হলে অনেকে অনলাইনে টিউশনি করতে পারবে। অথবা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ঘরে বসে করা যায়, এমন কোনো উৎপাদনশীল কাজে নিয়োগ করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে পারে। এতে উভয়ের লাভ।

ব্যবহারিক ক্লাস কীভাবে করবে? শিক্ষক পরীক্ষাগারে পরীক্ষণ করবেন, যার অডিও ও ভিডিও ধারণ করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। অতঃপর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষণের ওপর অনলাইনে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া যায়। ভাইবা পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া সম্ভব। এখন বিশ্বের অনেক দেশে অনলাইনে (স্কাইপ, জুম, গো মিটিং, ক্লাউড বেজ ভিডিও কনফারেন্সিং সার্ভিস) ইত্যাদি মাধ্যমে চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাক্ষাৎকার নেয়। যদিও ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য এটি কোনো কার্যকর পদ্ধতি নয়, তবু করোনাকালে আপৎকালীন ব্যবস্থা হতে পারে।

স্বতন্ত্র ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিটি বিভাগে অন্তত একটি ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু করা দরকার। এতে অডিও, ভিডিও ও মাইক্রোফোন, প্রজেক্টর, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ফ্যাক্স, ফোন, দ্রুত গতির ইন্টারনেট কানেকশন, কুইজ, পুল ও ভিডিও কনফারেন্স এবং ব্রডকাস্টিং করার মতো সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক নবীন ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষক দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষারত। কিছু কোর্স অনলাইনে চালু করলে তাঁরা কোর্স অফার করতে পারবেন। এতে শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ বন্ধ করা যাবে ও অর্থের সাশ্রয় হবে। সরকারের বিদেশি শিক্ষক নিয়োগের দরকার হবে না। বিদেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথিতযশা শিক্ষকেরা সুবিধামতো অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবেন।

প্রতিটি সমস্যা এক একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়। করোনাকালে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমকে একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বিবেচনা করে আমরা করোনা-পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে অনলাইন শিক্ষার জন্য পরিকল্পনা করতে পারি। এতে উচ্চশিক্ষা-সংক্রান্ত কিছু সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। এই সবকিছুর জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কার্যকর নেতৃত্ব, সঠিক ব্যবস্থাপনা, সদিচ্ছা ও সমন্বয়।

লেখক: পোস্টডক্টোরাল অ্যাসোসিয়েট, ডিপার্টমেন্ট অব রেডিওলজি অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল ইমেজিং, ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন