চতুর্থ ধাপে খুলছে নিউইয়র্ক, ভয় সহিংসতার

নিউইয়র্কের অনেক কিছু খুলে যাওয়ায় তীব্র গরমে সেন্ট্রাল পার্কে ভিড় জমিয়েছেন নগরবাসী। ১৯ জুলাই, সেন্ট্রাল পার্ক। ছবি: রয়টার্স
নিউইয়র্কের অনেক কিছু খুলে যাওয়ায় তীব্র গরমে সেন্ট্রাল পার্কে ভিড় জমিয়েছেন নগরবাসী। ১৯ জুলাই, সেন্ট্রাল পার্ক। ছবি: রয়টার্স

করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে চতুর্থ ধাপে খুলছে নিউইয়র্ক। ২০ জুলাই থেকে চতুর্থ ধাপে খোলার ক্ষেত্রে অনেকটাই তৃতীয় ধাপের সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। তবে এবার আর করোনার ভয় নয়, নিউইয়র্কের লোকজনকে এখন তাড়া করছে সহিংসতার ভয়।

নিউইয়র্কের মানুষকে করোনা সতর্কতায় এখন মাস্ক পরে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। অপরাধীরা মাস্ক পরেই অপরাধ করছে। এ কারণে সহিংসতা থেকে নিজেকে রক্ষার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না এ নগরীর লোকজন। আর নিরীহ লোকজন মাস্ক ও গ্লাভস পরে বাঁচার চেষ্টা করছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে।

১৩ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত নগরীতে ৫৩টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নয়জন নিহত হয়েছে। নিউইয়র্ক নগরকেন্দ্রের কাছেই নিউজার্সির নর্থ ব্রান্সউইকে একজন ফেডারেল বিচারকের ছেলেকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

জানা গেছে, ১৯ জুলাই নর্থ ব্রান্সউইকের শান্ত শহরে ফেডারেল বিচারক এসটার সালাসের বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ফেডেক্স ডেলিভারির পোশাকে আসা লোক ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে। বিচারকের ছেলে দরজা খুলে দিতে গেলে তাঁকে সরাসরি গুলি করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিচারকের স্বামী আইনজীবী মার্ক অ্যান্ড্রেল দরজার দিকে এগিয়ে গেলে তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। বিচারক সালাস ঘরের ভেতর ছিলেন। তাঁর স্বামীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

আমেরিকার প্রায় দুই ডজন রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। তবে নিয়ন্ত্রিত রয়েছে ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠা নগরী নিউইয়র্ক। হোয়াইট হাউসের করোনা সংক্রমণসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউসি পর্যন্ত নিউইয়র্কের প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন। ফাউসি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিউইয়র্ক ভালো কাজ করেছে।

চতুর্থ ধাপেও নিউইয়র্কে তৃতীয় ধাপের সতর্কতা চালু আছে। করোনা সংক্রমিত রাজ্যগুলো থেকে নিউইয়র্কে প্রবেশ করলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা দিতে হবে।