রহমান মাহবুবের ছেলের দাফন সম্পন্ন

ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল গোরস্থানে দাফনের পর মোনাজাত করছেন স্বজনেরা। ছবি: গোপাল সন্যাল
ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল গোরস্থানে দাফনের পর মোনাজাত করছেন স্বজনেরা। ছবি: গোপাল সন্যাল

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সাংবাদিক ও লেখক রহমান মাহবুবের ছেলে মারযান রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ৭ আগস্ট জুমার নামাজের পর নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে মরহুমের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন শমশের আলী। পরে নিউইয়র্কের নগরকেন্দ্র থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

কোভিড-১৯–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার এলাকায় জানায় অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়। লেখক, সাংবাদিক ও কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মসজিদের বাইরে সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়। মারযান রহমানের সহপাঠী ও সহকর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সাংবাদিক রহমান মাহবুব জানাজার আগে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর পরিবারের এ কঠিন সময়ে যাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এদিকে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে রহমান মাহবুবের উডহ্যাভেন এলাকার বাড়িতেও অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হন। লেখক, সাংবাদিক এবং কমিউনিটির লোকজন পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইব্রাহীম চৌধুরী, আবু তাহের, মেরী জোবাইদা, শেলী জামান খান, মনিজা রহমান, রওশন হক, জাহিদা রহমান, ভায়লা সালিনা, এইচ বি রিতা, রোকেয়া দীপা, বিলকিস রহমান, মনজুরুল হক, আবদুস শহীদ, জুয়েল চৌধুরী, দুরুদ মিয়া, রাজীব আহমেদ, মামুন আহমেদ, রব্বানী চৌধুরী, আবদুল মালিক, লুতফুর রহমান, শাহ আহমদ, শাহ শিরিল, নাসিম চৌধুরী, সায়ান সিদ্দিকী প্রমুখ।

রহমান মাহবুব ও উষা রহমান দম্পতির চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে মারযান রহমান (২৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কুইন্স এলাকার একটি সুইমিং পুল থেকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগের কর্মীরা তাঁকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই মধ্যরাতে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।