বোস্টনে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি তরুণ কোমায়, গ্রেপ্তার ১

গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি তরুণ তানজিম সিয়াম (বাঁয়ে) ও গ্রেপ্তার স্যামুয়েল স্টিফেন। ছবি: সংগৃহীত
গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি তরুণ তানজিম সিয়াম (বাঁয়ে) ও গ্রেপ্তার স্যামুয়েল স্টিফেন। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে একটি গ্রোসারি দোকানে ডাকাতির সময় বাংলাদেশি তরুণ তানজিম সিয়ামকে (২০) গুলি করার তিন সপ্তাহ পর ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম স্যামুয়েল স্টিফেন (২৫)। বোস্টন পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম জি গ্রস এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে কোমায় থাকা সিয়ামের আশা চিকিৎসকেরা ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বোস্টনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে তিন সপ্তাহ পর ৭ আগস্ট বোস্টন পুলিশ স্যামুয়েল স্টিফেনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সশস্ত্র ডাকাতি ও খুনের অভিপ্রায় নিয়ে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বোস্টনের কাছে রক্সবারির একটি মুদিদোকানে গত ১৪ জুলাই ডাকাতির সময় গুলিবিদ্ধ হন ওই দোকানের বাংলাদেশি তরুণ কর্মচারী তানজিম সিয়াম। ওই দিন রাত ৯টার দিকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশি আবদুল মতিনের মালিকানাধীন গ্রোসারি দোকানে ঢুকে সিয়ামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালপত্র ও অর্থ হাতিয়ে নেয়। দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা সিয়ামের মাথায় গুলি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত সিয়ামকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সিয়াম বর্তমানে হাসপাতালে কোমায় আছেন।

শিক্ষার্থী ভিসায় চলতি বছরে আমেরিকায় আসেন সিয়াম। পড়াশোনা শুরুর আগে পরিবারকে সহায়তার উদ্দেশে চার মাস আগে বোস্টনের একটি দোকানে কাজ শুরু করেন। এম অ্যান্ড আর কনভেনিয়েন্স স্টোর নামে ওই দোকানে গত ১৪ জুলাই ডাকাতির সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

গুরুতর আহত সিয়ামকে দেখতে বাংলাদেশ থেকে ছুটে গেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বোস্টনে পৌঁছান তানজিমের মা-বাবাসহ দুই ভাই। বোস্টনের সুবিধা দোকান মালিক সমিতির (বিসিএসওএ) প্রতিনিধিরা তাঁদের বিমানবন্দর থেকে বোস্টনে নিয়ে যান। পরিবারটিকে আমেরিকা নিয়ে আসার পুরো ব্যবস্থা করে বাংলাদেশি সংগঠন বেইন।

বেইনের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, চিকিৎসক ইতিমধ্যে সিয়ামের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেকোনো সময় তাঁর মৃত্যুর সংবাদের জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।