আমেরিকায় তিন লাখের বেশি শিশু করোনায় সংক্রমিত

লকডাউন শেষে স্কুল খুলে দেওয়ার পর জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে আমেরিকায় প্রায় এক লাখ শিশু করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি
লকডাউন শেষে স্কুল খুলে দেওয়ার পর জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে আমেরিকায় প্রায় এক লাখ শিশু করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি

আমেরিকায় এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশি শিশু করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। লকডাউন শেষে স্কুল খুলে দেওয়ার পর জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে প্রায় এক লাখ শিশু করোনায় সংক্রমিত হয়েছে বলে আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক জানিয়েছে।

আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসের শেষের দিকে আমেরিকায় ৯৭ হাজারের বেশি শিশু করোনায় সংক্রমিত হয়েছে।

সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় এ পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৮ হাজার শিশু রয়েছে। কেবল জুলাই মাসে আমেরিকায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক টিনা হার্টার বলেছেন, শিশুদের মধ্যে করোনার অতিরিক্ত টেস্টিং একটি জরুরি বিষয়। এ–সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেশ কিছু পরিবারের কাছে টেস্টিং কিট পাঠানো হচ্ছে। কীভাবে শিশুদের কাছ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে, সে নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে।

নিউইয়র্কের স্কুল ডিস্ট্রিক্ট আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বড়। সবচেয়ে বেশি শিশু শিক্ষার্থী এ নগরীতে। নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, ‘হেমন্তে স্কুল খোলার আগে আমাদের সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নগরীর বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে সারা বিশ্বের দিকে নজর রাখছেন। নগরীর পক্ষ থেকে অভিভাবকদের কাছে ফরম পাঠানো হয়েছে। যেখানে অভিভাবকদের শিক্ষার্থীদের ইন পারসন, রিমোট লার্নিং বা হাইব্রিড শিক্ষণের জন্য নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।’

১৩ হাজারের বেশি স্কুল ডিস্ট্রিক্টে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ইন পারসন শিক্ষা প্রদানসহ নানা পদ্ধতিতে শিক্ষাদান পুরোদমে চালু করার চাপ রয়েছে। স্কুল ভবন পরিচ্ছন্ন রাখা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, শিক্ষার্থী পরিবহন নিরাপদ রাখাসহ প্রতিটি রাজ্যে এ নিয়ে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকেরাও স্কুল খুলে দেওয়ার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উৎকণ্ঠায় পড়ছেন। শিশুদের সংক্রমণ নিয়ে এবং শিশুদের মাধ্যমে নিজেদের সংক্রমিত হওয়া নিয়ে এ উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।