নিউইয়র্কের স্কুল খুলছে, তবে...

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আবার নিউইয়র্ক সিটির স্কুল খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরে যেতে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

এই পদ্ধতি দুটির একটি হলো শতভাগ রিমোট লার্নিং, আরেকটি ব্লেন্ডেড রিমোট লার্নিং। এর যেকোনো একটি পদ্ধতি বাছাই করে ৭ আগস্টের মধ্যে ফরম পূরণ করে অভিভাবকদের পাঠানোর কথা ছিল। যারা ফরম পূরণ করে পাঠাননি, তাঁদের সন্তানদের ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ে সংযুক্ত করা হবে। এতে অনেক অভিভাবক বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
রিমোট লার্নিং পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবেন না। শিক্ষক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে (গুগল ক্লাস) শিক্ষার্থীদের তথ্য আদান-প্রদান করবেন। শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের সঙ্গে ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট শেয়ার করবে। সেটা হতে পারে সিনক্রোনাস লার্নিং মেথডে বা অ্যাসিনক্রোনাস লার্নিং মেথডে। তবে তা নির্ভর করবে শিক্ষকের নির্দেশনার ওপর।
সিনক্রোনাস লার্নিং মেথড হলো সামনাসামনি নির্দেশনা। যেখানে একজন শিক্ষক ক্লাস চলাকালীন অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রিমোট লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষামূলক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। অ্যাসিনক্রোনাস লার্নিং মেথড সামনাসামনি নয়, বরং শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কোনো সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এবং পূর্ব নির্ধারিত ভিডিও বা রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
ব্লেন্ডেড লার্নিং হলো স্কুলে শারীরিক উপস্থিতি এবং রিমোট লার্নিং দুটির সংমিশ্রণ। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে উপস্থিতি থাকবে। আর শিক্ষক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য আদান-প্রদান করবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টে জমা করতে একই দিনে সময় নির্ধারণ করা হয় না। এখানে অ্যাসিনক্রোনাস লার্নিং মেথড প্রয়োগ করা হয়।
বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে আরেকটি পদ্ধতি হলো হাইব্রিড লার্নিং পদ্ধতি। যদিও এই পদ্ধতিটি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ডিওই এখনো ঘোষণা করেননি, তবে প্রয়োজনে করতেও পারেন।
হাইব্রিড লার্নিং অনেকটা রিমোট লার্নিংয়ের মতোই। তবে হাইব্রিড এবং রিমোট লার্নিংয়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। হাইব্রিড লার্নিং এমন একটি শিক্ষণ পদ্ধতি যেখানে শিক্ষক একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে এবং দূরবর্তী (যারা ঘরে থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন) শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। হাইব্রিড লার্নিং পদ্ধতিতে সিনক্রোনাস লার্নিং মেথড ব্যবহার করা হয়। অ্যাসিনক্রোনাস শিক্ষণ পদ্ধতি কেবল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সামনাসামনি নির্দেশের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পদ্ধতি উত্থাপন করা হলেও এখনো ডিওই শিক্ষকেরা নিশ্চিত নন, সেপ্টেম্বরে ঠিক কী হতে যাচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনে যেকোনো পদ্ধতি বা নির্দেশনায় পরিবর্তন আনতে পারে ডিওই ও স্কুলের অধ্যক্ষ।