আমি মূলধারার শিল্পী নই : বব ডিলান

বব ডিলানের পরিচিত ভঙ্গি
বব ডিলানের পরিচিত ভঙ্গি
অজস্র সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বব ডিলান। সে সবের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে। প্রথমটি নিয়েছেন রক-ক্রিস্টিক ও এমটিভির প্রযোজক বিল ফ্ল্যানাগান, ২০০৯ সালে তাঁর ৩৩তম অ্যালবাম টুগেদার থ্রু লাইফ প্রকাশের সময়। আর দ্বিতীয়টি নিয়েছেন রবার্ট লাভ—২০১৫ সালে। এ সময় প্রকাশিত হয়েছিল ডিলানের ৩৬তম স্টুডিও অ্যালবাম শ্যাডোজ ইন দ্য নাইট। অনুবাদ করেছেন মোজাফ্ফর হোসেন

প্রথম পর্ব

প্রশ্ন: বব, আপনি তো আশির দশকে আটকে আছেন!

বব ডিলান: জানি। বের হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: আপনি কি সত্যিই মনে করেন, রোলিং স্টোন্‌স-এর দিন শেষ?

ডিলান: সেই অর্থে নিশ্চয় না। এরা তার অনেক ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। রোলিং স্টোন্‌স হলো সত্যিকার অর্থে বিশ্বের বড়মাপের রক এন রোল ব্যান্ড। এটা সব সময়ের জন্য। তাদের পর যা কিছু এসেছে—মেটাল, র‍্যাপ, প্যাংক, নিউওয়েভ, পপ-রক—আপনি দেখবেন, এসবের উৎস বা অনুপ্রেরণা হলো রোলিং স্টোন্স। তারাই প্রথম এবং তারাই শেষ—আর কেউ এত ভালো করে পারেনি।

প্রশ্ন: আপনার নতুন অ্যালবাম টুগেদার থ্রু লাইফ-এর ‘দিস ড্রিম অব ইউ’ গানটিতে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের রেকর্ডগুলোর প্রভাব আছে। আপনি কি সচেতনভাবেই সেই সময়ের একটা অনুরণন এই অ্যালবামে ধরতে চেয়েছেন?

ডিলান: পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের রেকর্ডগুলো অবশ্য অনেক গুরুত্ব বহন করে; এখনো। খুব সম্ভবত ওইটাই প্রকৃত মহৎ সংগীতের শেষ সময়কাল। এরপর থেকে সবাই কম্পিউটার নিয়ে পড়ে রইলেন। সাম কক, দ্য কোয়স্টার্স, ফিল স্পেক্টর—এসব মিউজিক নিশ্চয় অসাধারণ। কিন্তু এগুলো আমার চৈতন্যে ঝড় তুলতে পারেনি।

গান লেখার বিষয়ে আমি সব সময় উডি গুথরি ও রবার্ট জনসনের মতো লিখতে চেয়েছি—চিরন্তন এবং অনন্ত। ডক পমাসের এখনো কিছু রেডিও ব্যালেড টিকে আছে। যদি আপনি বলেন, টুগেদার থ্রো লাইফ-এ তাঁর কিছুটা প্রভাব পড়েছে, তাহলে সেটি আমি স্তুতি-মন্তব্য হিসেবে গ্রহণ করব।

প্রশ্ন: রবার্ট হ্যান্টারের সঙ্গে সহলেখক হয়ে বেশ কিছু গান লিখেছেন আপনি। এটি কীভাবে সম্ভব হলো?

ডিলান: ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। এটা হয়ে গেছে একভাবে। আপনি আপনার গাড়ি থেকে বের হয়ে এলেন, অন্য কেউ আপনার গাড়িতে গ্যাস ভরে দিল—বিষয়টা অনেকটা সেই রকম।

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় গীতিকার কারা?

ডিলান: বাফেট হবেন। লাইটফুট, ওয়ারেন জিভন, র‍্যান্ডি, জন প্রাইন, গে ক্লার্ক—এঁদের মতো গীতিকাররা।

প্রশ্ন: আপনার প্রজন্মের অনেক শিল্পীকে দেখে মনে হয়, নস্টালজিয়াকে ব্যবহার করে এখনো টিকে আছেন। ত্রিশ বছর ধরে একই গান একই রকম করে গাইছেন তাঁরা। আপনি কখনো সেটা করলেন না। কেন?

ডিলান: আমি চেষ্টা করলেও পারতাম না। আপনি যাঁদের কথা বলছেন, তাঁরা দৃশ্যত টানা হিট গান উপহার দিয়ে গেছেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠা-বিরোধিতার কথা বলে শুরু করলেও প্রতিষ্ঠার শীর্ষে অবস্থান করেছেন। উদ্‌যানমুখর গান, ডিনার পার্টির জন্য মিউজিক—এসব তাঁরা করেছেন। আমার কাজ তাঁদের থেকে ভিন্ন। এটা আরও বেশি উন্মত্ত। ডাল্টের, টাউনশেন্ড, ম্যাককার্টনি, দি বিচ বয়েজ, এলটন, বিলি জোয়েল—এঁরা নিখুঁত সংগীত তৈরি করেছেন। তাই তাঁদের নিখুঁতভাবে পরিবেশনও করতে হয়েছে। সেভাবেই লোকজন তাঁদের মনে রেখেছে। আমার রেকর্ড কখনোই নিখুঁত ছিল না। কাজেই তা নকল করে পরিবেশন করে যাওয়ারও কোনো প্রয়োজন পড়েনি। মোটের ওপর, আমি মূলধারার শিল্পী নই।

প্রশ্ন: আপনি তাহলে কোন ধারার শিল্পী?

ডিলান: ঠিক করে বলতে পারব না। রোমান্টিক কবি লর্ডবাইরোনীয় ধারার মতো হতে পারে। দেখুন, আমি যখন শুরু করেছি মূলধারার সংস্কৃতিতে ছিল সিনাত্রা, পেরি কমো, অ্যান্ডি উইলিয়ামস, সাউন্ড অব মিউজিক—এসব। তার সঙ্গে আমাকে ঠিক মানাত না, এখনো মানায় না। আমার কিছু কিছু গান উতরে গেছে, জনপ্রিয় হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সবই অন্য শিল্পীদের কণ্ঠে।

প্রশ্ন: কখনো মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেননি?

ডিলান: না, ঠিক সেভাবে কখনোই নয়। আমি ফোক গানের ঐতিহ্য থেকে এসেছি। চেষ্টা করলেও ব্রিল বিল্ডিংয়ের জন্য গান লিখতে পারতাম না আমি। পপ মিউজিকের জন্য জুতসই কিছু সেদিনও আমি করতে পারিনি, আজও পারব না।

প্রশ্ন: কিন্তু আপনি এক শ মিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড গড়েছেন?

ডিলান: জানি। এটা আমার কাছে রহস্যই বটে।

বব ডিলানের অাঁকা চিত্রকর্ম: ‘গবেষণা দল’
বব ডিলানের অাঁকা চিত্রকর্ম: ‘গবেষণা দল’

দ্বিতীয় পর্ব
প্রশ্ন: বেশ কিছু মৌলিক গানের রেকর্ড সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করার পরও আপনি এই অ্যালবাম—শ্যাডোজ ইন দ্য নাইট কেন বের করলেন?
ডিলান: এখনই সেই সময়। সত্তর দশকের শেষের দিকে উইলির স্টারডাস্ট রেকর্ড শোনার পর থেকেই ভাবছিলাম। মনে হয়েছিল, আমিও এমন মানসম্মত একটা রের্কড করতে পারি। সেই ভাবনা থেকেই কলাম্বিয়া রেকর্ডসের প্রেসিডেন্ট ওয়াল্টার ইয়েটনিকফের কাছে যাই। তিনি বলেন, আপনি চাইলেই অ্যালবামটা করতে পারেন, তবে আমরা এটা বাজারজাতকরণের দায়িত্ব নেব না; আপনাকে কোনো সম্মানীও দিতে পারব না। এটা শুনে আমি স্ট্রিট লিগাল স্টুডিওতে গেলাম। পরে মনে হলো, ওয়াল্টার মন্দ বলেননি। এটা বোধ হয় একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেল।...
প্রশ্ন: অ্যালবামটি আপনার এত দিনের ভক্তদের বিস্ময়ের কারণ হতে পারে। আপনি কি বলেন?
ডিলান: তাঁদের বিস্মিত হওয়ার কারণ দেখছি না। বিগত বছরগুলোতে আমি বিভিন্ন ধরনের গানই তো গেয়েছি এবং তাঁরা নিশ্চয় আমাকে আদর্শ-ঢঙে গাইতে শুনেছেন।
প্রশ্ন: আপনার গান করার প্রক্রিয়াটি কেমন ছিল?
ডিলান: যখন আপনার মনে হবে, গানটি আপনি জানেন, তখন অন্যরা কীভাবে গেয়েছেন সেটি আপনাকে ধরতে হবে। একটা ভার্সন সব সময় অন্য ভার্সনের দিকে চালিত করে।...

প্রশ্ন: একটি গানের অনেকগুলো ভার্সন শোনার পর সেগুলো ছুড়ে ফেলে আপনি কি নিজের ভার্সনটি গড়ে নেন?

ডিলান: এসব গান তো দীর্ঘ সময় ধরে গাওয়া হয়েছে। এতগুলো বছরে বেশির ভাগ গানই মানুষের মনে গেঁথে গেছে। আমি এমন কিছু গান নির্বাচন করতে চেয়েছি, যেগুলোর কথা-সুর সবার মুখস্থ। আমি তাদের এর অন্য একটা রূপ দেখাতে চেয়েছি।

প্রশ্ন: এই অ্যালবামকে কি ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখছেন আপনি—ভক্তরা যদি বলেন আপনি ফ্র্যাংক সিনাত্রার ভাষ্যকে ছুঁতে পারেননি?

ডিলান: ঝুঁকিপূর্ণ? মাইন পোঁতা জমির ওপর দিয়ে হেঁটে চলার মতো? নাকি বিষাক্ত গ্যাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করার ঝুঁকি? রেকর্ড তৈরির ভেতর ঝুঁকির কিছু নেই। সিনাত্রার সঙ্গে আমার তুলনা? নিশ্চয় আপনি মশকরা করছেন? তাঁর সঙ্গে আমার তুলনা করা মানে আমার জন্য অনেক বড় প্রশংসা। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমি বলব, কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াতে পারবে না—আমি কিংবা অন্য কেউও না।

প্রশ্ন: বেড়ে ওঠার সময় কী ধরনের সংগীত শুনেছেন আপনি?

ডিলান: রক-এন-রোলের আগে রেডিওতে কিংবা হোটেলে গিয়ে যেকোনো ধরনের ব্যান্ড মিউজিক হলে আমি তন্ময় হয়ে শুনতাম। আমাদের বাসায় বড়সড় আকৃতির একটা রেডিও ছিল, ওটার সঙ্গে একটা রেকর্ড প্লেয়ারও ছিল। আগের বাড়িওয়ালা বাড়ি বদলানোর সময় সব আসবাব রেখে গিয়েছিলেন, একটা পিয়ানোও ছিল সঙ্গে। একটা লাল রঙের লেবেল আঁটা রেকর্ডও পেয়েছিলাম—কলাম্বিয়া রেকর্ড ছিল বলে আমার ধারণা। সম্ভবত বিল মনরোর গান ছিল, কিংবা স্ট্যানলি ভ্রাতৃদ্বয়ের গাওয়াও হতে পারে। ‘ড্রিফিং টু ফার ফ্রম শোর’—এমন ভালো লাগার মতো গান আমি এর আগে কখনো শুনিনি। আর সব গতানুগতিক সংগীত থেকে এটা আমাকে সরিয়ে আনল ভিন্ন এক জগতে। বিষয়টা বুঝতে হলে আমি কোথা থেকে এসেছি, সেটা আপনাকে জানতে হবে। আমি একেবারে উত্তরের মানুষ। আমরা সব সময় রেডিও শুনতাম। আমার ধারণা, আমরাই শেষ পর্যন্ত বা শেষ প্রজন্মের খুব কাছাকাছি প্রজন্ম, যারা টেলিভিশন ছাড়াই বড় হয়েছি। তখন রেডিওই ছিল আমাদের কাছে টেলিভিশনের মতো—যা কিছু শুনতাম দৃশ্য হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠত। আমি মনে মনে কল্পনা করে নিতাম, যিনি গাইছেন তাঁর অবয়ব, পোশাক, গাওয়ার সময় শরীরের অঙ্গভঙ্গি—সবকিছু।

প্রশ্ন: এই কারণে কি আপনি ভালো শ্রোতায় পরিণত হন?

ডিলান: হ্যাঁ, এই কারণেই আজ আমি যে শ্রোতা, তা হতে পেরেছি। ফলে খুব সামান্য শব্দও শুনতে শিখেছি আমি—দরজা আঁটার শব্দ, গাড়ির চাবির ঠোকাঠুকি। গাছের পাতা সরিয়ে বাতাস চলে যাওয়ার শব্দ, পাখির গান, লোকজনের হাঁটাচলার শব্দ, গরুর হাম্বা—এসব নিত্যদিনের শব্দ। আমি এসব শব্দ এক করে একটি গান বেঁধে দিতে পারতাম। ফলে জীবনকে বিভিন্ন দিক থেকে শুনতে পেয়েছি আমি।

প্রশ্ন: যখন ছোট ছিলেন আপনি সে সময় পাগলের মতো উডি গুথরির রেকর্ডের পেছনে ছুটেছেন। কিংবা মিক (জ্যাগার) ও কিথ (রিচার্ডস) সমস্ত লন্ডন শহর চষে বেড়াতেন ব্লুজ রেকর্ডের জন্য। কিন্তু এখন ইন্টারনেটে সব আছে। বাটন চেপেই সংগীত ইতিহাসে ধারণকৃত যা ইচ্ছে শুনতে পারছেন। এটা কি সংগীতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, নাকি আরও সুবিধা করে দিয়েছে?

ডিলান: আপনি যদি সাধারণ সংগীতপ্রেমী হন, তাহলে আপনার হাতের কাছেই সব ধরনের সংগীত আছে, এখন আপনি কোনটা শুনবেন? একসঙ্গে এই সংগীত-সমুদ্রের কতটুকুই-বা আপনি উপভোগ করতে পারবেন? আপনার মনোযোগ খুব দ্রুতই সরে যাবে। এত সস্তা হলে হবে না।

প্রশ্ন: আপনার লেখা সবচেয়ে হৃদয়ভাঙা বা ক্ষত-সৃষ্টিকরা গান কোনটি?

ডিলান: খুব সম্ভবত ‘লাভ সিক’ (অ্যালবাম: টাইম আউট অব মাইন্ড, ১৯৯৭)।

প্রশ্ন: একবার বলেছিলেন, ফোকশিল্পী হিসেবে আপনি গানের ব্যবসায় এসেছেন পার্শ্বদরজা দিয়ে?

ডিলান: তাই! বলেছিলাম কি?

প্রশ্ন: বলেছিলেন। আমার ধারণা, আপনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, ওই সময় কেউ ভাবেনি সংগীতের বাজারে ফোক গানের এতটা কাটতি হবে। আর আজ আপনি আমেরিকার সংগীতে আইকনে পরিণত হয়েছেন। তবে এখন কি আপনি সামনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন বলে ধরে নিতে পারি?

ডিলান: সেটা ধরা যেতে পারে। আপনি যদি সত্যি সত্যিই ওই দরজার ভেতর দিয়ে যেতে চান, তবে তার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন তার পেছনে ছুটতে হবে আগে। জীবনে কখনো কখনো সেই প্রাপ্তি যখন ঘটে, আপনার হাতে যখন সেই কাঙ্ক্ষিত চাবিটি তুলে দেওয়া হয়, আপনি তা ব্যবহার না করেই ছুড়ে ফেলে দেন। শিগগিরই আবিষ্কার করেন, আপনি সারা জীবন যা খুঁজছেন—যেখানে সেটি আছে বলে মনে করেন, একদিন দেখলেন সেখানে তা নেই। ফোক গান আমার জীবনে একদম ঠিক সময়ে এসেছিল। ১০ বছর আগে-পরে হলে আমি এই ‘আমি’ হতাম না। ফোক গান জনপ্রিয় ধারার সংগীতের চেয়ে একদম আলাদা কিছু। আমার কাছে যথাসময়ে এসেছে আর আমি সাদরে তা গ্রহণ করেছি। এখনো এটা সংগীতের জীবন্তধারা। এখন অনেকেই আমাদের চেয়েও এটা ভালো গান এবং বাজান। কিন্তু এমন একটা সময়ে আমি এটা পেয়েছিলাম, যখন কেউ হয়তো জানতই না এমন কিছু কোথাও আদৌ আছে! তাই আমার মনের ভেতর পুরো ভূ-দৃশ্যটা ছিল। আমি লিখে গেছি। বুঝে গেছি, আমি হয়তো তুখোড় রক-এন-রোলার হতে পারব না, কিন্তু তুখোড় গীতিকার হতে পারব।

প্রশ্ন: আপনার শেষের দিককার লেখা গানগুলো ভীষণ জীবনসঞ্চারী। আপনিই বলেছিলেন, কেউ অবসরে যায় না, আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়, হারিয়ে যায় স্রোতে। অথচ আপনি নিজেই ৭৩ বছর পার করছেন, দাদাও হয়েছেন...

ডিলান: দেখুন, বয়স আপনার বাড়বেই। আবেগ-আসক্তি তারুণ্যের বিষয় বটে। একজন তরুণ আবেগ-আক্রান্ত হবে, উদ্দীপনায় মাতবে। আর বয়স্ক ব্যক্তিদের আরও জ্ঞানী হতে হবে। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনি কিছু কিছু বিষয় তরুদের ওপর ছেড়ে দিয়ে এসেছেন। এখন তরুণদের মতো ভাণ করে তো লাভ নেই। সেটা করলে আঘাতই পেতে হবে।

(ঈষৎ সংক্ষেপিত)