'মানুষের প্রতি যে কর্তব্য, সেগুলো এখন লেখকেরা করছেন না'

সদ্য প্রয়াত কথাসাহিত্যিক শওকত আলীর এ সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল দুই দফায়, ২০১৭ সালের ৬ ও ৯ ফেব্রুয়ারি। হাটখোলা রোডে লেখকের বাসায় নেওয়া এই কথোপকথনে উঠে এসেছে সাহিত্য, আধুনিকতা, জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁর শেষ জীবনের কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম

ইমাম: কথা শুরু করি আপনার বিখ্যাত উপন্যাস প্রদোষে প্রাকৃতজনদিয়ে। এই উপন্যাসে অন্ত্যজ মানুষদের বিদ্রোহ শুরুর প্রেক্ষাপট থাকলেও পুরোপুরি সংঘবদ্ধ হওয়ার চিত্র নেই। কেন?

শওকত আলী: প্রদোষে প্রাকৃতজন  পুরো একটা কাল নয়, একটি পর্ব। ‘প্রদোষ’ কালটা তো নিজেই পরিপূর্ণ নয়। এই ভূখণ্ডের রাজনৈতিক পর্বেরও তখন একটা পরিবর্তনের শুরু। অমন সময়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় না। তবে বিচ্ছিন্নভাবে হলেও এখানে প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে। প্রাকৃতজনরা সংঘবদ্ধ হবে আরও কিছুটা সময় পরে।

সাদিয়া: মুক্তিযুদ্ধভিত্তক উপন্যাস যাত্রা লেখারও কয়েক বছর পর লিখেছেন দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকের এই উপাখ্যান। দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকের ইতিহাস তো আপনি জানতেনই, কিন্তু যাত্রার আগে লেখেননি কেন?

শওকত: প্রদোষে প্রাকৃতজন-এর ভাবনা বহু আগে শুরু হয়েছিল। তবে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে সময় প্রয়োজন ছিল। আমার যখন ২৬ বা ২৭ বছর বয়স, তখন পড়ালেখা শেষ করে স্কুলে মাস্টারি শুরু করেছি। তার আগে থেকেই রাজনীতির খোঁজখবর রাখি, কিছুটা জড়িয়েও ছিলাম রাজনীতিতে। ওই সময়ে নতুন নতুন ভাবনা তৈরি হতো। খেয়াল করলাম, আমাদের এখানে মৌলভিরা যে ইসলাম শেখাচ্ছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। তখনই এ অঞ্চলে ইসলামের আগমনের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয় আমার।

আমি সংস্কৃত পড়তে-লিখতে পারতাম, কিন্তু আরবি অতটা না। তবুও মনে হতো মৌলভিদের একাংশ যে ইসলাম চর্চা করছেন, সেখানে ধর্মের চেয়ে ব্যবসায়িক দিকটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা মানুষের মধ্যে শ্রেণিভেদ করছেন; কিন্তু হজরত মুহম্মদ (সা.) কি মানুষের মধ্যে এমন বৈষম্য তৈরির কথা কোথাও বলেছিলেন? আমার জানামতে বলেননি। আমার বাবা চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ধর্মের বিষয়ে বেশি কথা বলতেন না। ধর্ম নিয়ে পড়তেন অনেক। তাঁকে বলতে শুনেছি, ধর্মটা হচ্ছে মানুষের চিন্তাশক্তি বিকাশের একটা আবিষ্কার। ধর্মভিত্তিক আলোচনা হবে, তবে ভিত্তি তৈরি করতে হবে একটা বাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে।

সাদিয়া: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সমকালীন সাহিত্য নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

শওকত: ইউরোপ থেকে শুরু করে বাংলা সাহিত্য—সবখানেই একটা পরিবর্তন এসেছে। মোটা দাগে বলতে গেলে এই সাহিত্য যত না মানুষের জীবননির্ভর, তার চেয়ে বেশি কল্পনানির্ভর। ইউরোপের সাহিত্যের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে সেখানকার সাহিত্য থেকে গণমানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে; এখানেও তাই।

সাদিয়া: এখন তো মধ্যযুগীয় রেনেসাঁকাল না বা সেনরাজাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে না, মুক্তিযুদ্ধও চলছেনা। সময়ের সঙ্গে এই পরিবর্তন কি স্বাভাবিক নয় সাহিত্যে?

শওকত: মানুষের সংগ্রাম থেমে গিয়েছে? সমাজের অবহেলিত অন্ত্যজ শ্রেণি মুছে গিয়েছে? কোন রাষ্ট্রে এখনো প্রাকৃতজন নেই? কেন তারা সাহিত্যে আসছে না? কারণ, সাহিত্যিকদের সঙ্গে সমাজের এই শ্রেণির বিচ্ছেদ ঘটছে, দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। আমার মনে হয়, সাহিত্যিকেরা এখন মানুষের কাছে গিয়ে জীবন দেখে তা নিয়ে লেখার চেয়ে আধুনিক কলাকৌশল রপ্ত করতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু কি জানো, সাহিত্যে সব থাকতে হবে। গণ-আন্দোলনের প্রয়োজন নেই বলে সাহিত্যে প্রাকৃতজনরা অনুপস্থিত হবে? তাহলে সেই সাহিত্যকর্ম কি সত্যি গোটা সমাজকে উপস্থাপন করে?

সাদিয়া: যতদূর জানি, আপনার বাবা ও মায়ের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শে পার্থক্য ছিল। বিষয়টি পরিবারের ভেতর কেমন প্রভাব ফেলেছে?

শওকত: আমার মা মুসলিম লীগ সমর্থন করতেন। বাবা ছিলেন কমিউনিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী। কিন্তু তখন কংগ্রেস ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। তাই তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করতেন। আর আমার মা ইংরেজি পড়তে পারতেন। ইংরেজিতে গল্প-উপন্যাস পড়েছেন অনেক। তবে তাঁর কাছে ওসব সাহেবি কেতা গণ্যমান্য মনে হয়নি কখনো। তবে মাকে কখনো বাবার ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে দেখিনি। আমার বড় ভাইও মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। আমি কিন্তু আবার রাজনীতি করে জেলে থেকেছি। সেখানে অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদ-শিক্ষক থেকে চাষি, কৃষক—এঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের জীবনের গল্প শুনেছি, যা আমার লেখাকে প্রভাবিত করেছে।

সাদিয়া: দেশভাগের কয়েক বছর পর আপনারা পূর্ব বাংলায় এসেছিলেন, তাইনা?

শওকত: বাবা প্রথমে আসতে চাননি। বলেছিলেন, চৌদ্দ পুরুষের ভিটে রেখে কেন যাব? তিনি জিন্নাহ (মুহম্মদ আলী জিন্নাহ) সাহেবকে সমর্থন করতেন না। কিন্তু রায়গঞ্জের স্থানীয় ধনী মুসলমানেরা চলে এলে একধরনের অনিশ্চয়তা শুরু হলো। ওখানকার হিন্দুরাও বলতে থাকল, কেন তোমার দেশে যাচ্ছ না। বাবা কিন্তু তখনো ছিলেন। এরপর একবার হামলা হলো। সে সময় তাঁকে তাঁর ডিসপেনসারিতেই বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এরও পরে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, চলে আসবেন। তবে আমরা আগে এসেছিলাম। বাবা এলেন তার কয়েক দিন পর।

সাদিয়া: দেশভাগের ফলে এখানকার প্রান্তিক মানুষের জীবনে পরিবর্তন হয়েছিল?

শওকত: না, কোথাও কিছু হয়নি। মধ্যবিত্ত মুসলমানের মধ্যে লেখাপড়া করে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে বটে, প্রান্তিক মানুষের জীবনের যে পরিবর্তন, তা হয়নি। বাংলা থেকে বিহার পর্যন্ত এসব অঞ্চলের মানুষ কোন সুফলটা পেয়েছে দেশভাগের ফলে? রাজনীতিবিদেরা কি সহায়ক হয়েছিলেন তাদের জন্য? হননি।

সাদিয়া: সমাজের ভেতর তখন তো আধুনিক একটি পরিবর্তন তৈরি হলো...

শওকত: আধুনিকতার নামে সমাজের মধ্যে উচ্চ শ্রেণির উদ্ভব ঘটল। এতে সাধারণ মানুষ আগে যেভাবে ক্ষুব্ধ হতো, ক্ষোভের সেই ধরনটা বদলে গেল। সাধারণ নিম্নবিত্তরা তখন নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবতে শুরু করল। আমার মতে, দখলদারত্ব মনোভাবের শুরু এখান থেকে, এটি আধুনিকতার হাত ধরে এসেছে। প্রায় একই রকম ভাবনা এখনকার তরুণদের মধ্যেও আছে—একটা দখলের বিষয়; আগে বিত্তবান হতে হবে, এরপর সাহিত্যকর্ম, তারও পরে সাহিত্যে প্রান্তিক মানুষের স্থান আছে না নেই—সেই ভাবনা। এখন মানুষের জীবন-ভাবনা বদলে যাচ্ছে। বস্তুর প্রতি মানুষ বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে, এতে নানাভাবে অতৃপ্তি তৈরি হচ্ছে।

সাদিয়া: কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আপনার বাড়িতে থাকতেন। আপনারা সমকালীন। লেখার বিষয়ও অনেকটা এক। তাঁর সম্পর্কে মূল্যায়ন করলে কী বলবেন?

শওকত: ইলিয়াস যে বছর জগন্নাথ কলেজে চাকরি নিলেন, সে সময় বা তার পরের বছর থেকে এখানে থাকতে শুরু করেছিলেন। ওর চিলেকোঠারসেপাইআর খোয়াবনামাকে আমি খুব ভালো কাজ মনে করি। পরবর্তীকালের লেখকেরা, মানে আধুনিক লেখকদের মধ্যেও যাঁরা মানুষের জীবন নিয়ে লিখতে চেয়েছেন, তাঁদের সে বিষয়টা ধরিয়ে দিয়ে গেছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।

সাদিয়া: গত শতকের ষাটের দশকে সমাজের নর-নারীর সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে আপনিও লিখেছেন। আপনার ছোট গল্পে নৈতিকতা ভেঙে পড়ার অনেক উদাহরণ উঠে এসেছে।

শওকত: একটা সমাজের ভেতর যখন পরিবর্তন শুরু হয়, তখন সবকিছুতে ছাপ পড়ে। নর-নারীর সম্পর্কও এর বাইরে নয়। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়। নৈতিকতায় পরিবর্তন আসে। যে সময়ের নর-নারীর সম্পর্ক নিয়ে বলছ, তখন তেমন পরিবর্তনই ঘটতে শুরু করেছিল—মানুষ অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। নারী পাচার হচ্ছে। এ বিষয়গুলো আমাকে ভাবাত, সেসবই লেখায় নানাভাবে উঠে এসেছে।

সাদিয়া: আপনার কথার মধ্যে আধুনিকতা নিয়ে খেদ টের পাওয়া যায়...

শওকত: না, খেদ নেই। কিন্তু অসংগতি আমাকে কষ্ট দেয়। আজকে স্কুল-কলেজে যে সিলেবাস তৈরি হয়েছে, তাতে কত ভালো লেখকদের পেছনে ফেলে দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। এটা দেখলেই তো সংগতির অভাবটা বোঝা যায়। মানুষের প্রতি যে কর্তব্য, সেগুলো এখন লেখকেরা করছেন না।

সাদিয়া: একজীবনে অনেক কিছু দেখেছেন আপনি—ভূখণ্ড ভাগ হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া, পূর্ব বাংলায় থিতু হওয়া এবং স্বাধীন বাংলাদেশের নানা রাজনৈতিক পরিবর্তন...এই ঘাত-প্রতিঘাতময় জীবনকে এখন কীভাবে দেখেন?

 শওকত: জীবন! জীবন মনে হয় যে মৌলিক বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনার জন্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ৮২ বছর বয়সে এসে আমার তাই মনে হয়। মনে হয়, নিজের জীবন দিয়ে, যাপন দিয়েই জীবনটা বুঝতে হয়। আরেকটা বিষয় আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সেটা হলো গার্হস্থ্য। পারিবারিক গার্হস্থ্য সম্পর্ক থেকেই মানুষের কৃতিত্বটা উঠে আসতে হবে। অধিকাংশ মানুষই জীবন কাটিয়ে দেয় তার পাশের মানুষের কোন বিষয়টি গ্রহণ করতে হবে, কোনটা উপেক্ষা করতে হবে, তা না বুঝেই।

সাদিয়া: দীর্ঘদিন ধরে একা আছেন। নিঃসঙ্গতা কষ্ট দেয়না?

শওকত: চলাফেরাটা সীমিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে নিঃসঙ্গতা বেশি পেয়ে বসেছে। অনেক কিছুই এখন আর ঠিকঠাক মনে থাকে না। ভুলে যাই। কত কিছু ভাবি লিখে রাখব, কিন্তু লিখতেও পারি না। চোখে সমস্যা আছে, তাই দীর্ঘ সময় পড়তে পারি না। পড়তে যে খুব বিশেষ ইচ্ছে করে তা-ও না; তবে আরও কিছু লিখতে ইচ্ছে করে।

আমার যখন ষাট বছর বয়স, তখন আমার স্ত্রী মারা গেলেন। তাঁর নাম লেখা আছে আমার বাড়ির বাইরে চিঠির বাক্সে। তো, যখন তিনি চলে গেলেন, তখনো আমি চলাফেরা করতে পারতাম। মানুষের সঙ্গে দেখা হতো। সংগঠন করতাম। আর লেখালেখি তো ছিলই। নিঃসঙ্গতা তখনো আমাকে এতটা পেয়ে বসেনি। পরে ধীরে ধীরে চলাফেরা সীমিত হয়ে গেল। নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করলাম। সেই সময় থেকে একাকিত্বটা বেশি।

সাদিয়া: শুধু চলাফেরার জন্যই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন?

শওকত: হ্যাঁ, চলাফেরা একটা বড় বিষয়। তবে মনে হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমেছে। একসময় নারী-পুরুষ অনেকের সঙ্গেই আমার পরিচয় ছিল—লেখালেখির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা। এখন এঁদের কেউ হয়তো চাকরি-টাকরি করছেন। তবে একটা পর্যায়ে মনে হয়েছে, এঁদের গার্হস্থ্য জীবন এঁরা নিজেরাই ভালো করে বুঝতে পারেন না। জীবন সম্পর্কে তাঁদের বোধটা অস্পষ্ট। আর ধরো, কোথাও একটু গিয়ে বসে থাকলাম, আমার মনে হতো, একই জিনিসের বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। একই রকম দোকান-রাস্তা। মানুষজনও একই নিয়মে জীবনযাপন করে চলেছে। ফলে আমার ক্লান্তি চলে আসল একসময়। তখন নিজেকে আরও সরিয়ে নিয়েছি।

সাদিয়া: পত্রপত্রিকা পড়েন? এখনকার তরুণ লেখকদের লেখাপড়েন?

শওকত: পত্রিকা পড়তে বিরক্ত লাগে। মনে হয়, পুরোনো খবরই বারবার ছাপছে। চোখেও ভালো দেখি না। তরুণদের কেউ বই দিয়ে গেলে পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকতে পারি না।

সাদিয়া: লেখক-সাহিত্যিক কারও সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে? আপনার ফোন তো মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকে।

শওকত: মোবাইল ফোন আমি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি না। আর এখন কেউ আমার বিশেষ খোঁজে-টোজেও না। কেউ এলে কথা হয়। তেমন নিয়মিত যোগাযোগ কাদের সঙ্গে আছে, এ মুহূর্তে তা মনে পড়ছে না।

সাদিয়া: সবশেষে একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে। জীবন নিয়ে আপনার কোনো আক্ষেপ আছে?

শওকত: না, আক্ষেপ নেই, কোনো খেদ নেই। তবে আমি যে জীবন যাপন করেছি, তার কিছুটা লিপিবদ্ধ হয়েছে। আবার অনেক কিছু লিপিবদ্ধ হয়নি। সবটা আমার লিখে যাওয়া উচিত ছিল। সেটা এখন পারব কি না, জানি না।