সাকিব-রহস্য

সাকিব আল হাসান। প্রতিকৃতি: তুলি
সাকিব আল হাসান। প্রতিকৃতি: তুলি
তাঁরা একেকজন বাংলাদেশের ক্রিকেটের একেকটি আলোচিত অধ্যায়। এমন ১১ ক্রিকেটারকে নিয়ে একটা বই লিখেছেন উৎপল শুভ্র, যেটি বইমেলায় প্রকাশিত হবে প্রথমা প্রকাশন থেকে। সেই বইয়ে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে লেখা অধ্যায়টির একটা অংশ ছাপা হলো এখানে। সাকিব যেখানে দেখা দিয়েছেন নতুন আলোয়।

সাকিব আল হাসান একজন অতিমানব। ক্রিকেট মাঠে যা চান, তা-ই করতে পারেন। কখন তা চাইবেন, সেটিই হলো প্রশ্ন।

নাটকীয় নয়, মহানাটকীয় শোনাচ্ছে। অতিশয়োক্তির চূড়ান্ত বললেও যেন কম বলা হয়! সাকিব সুপারম্যান নাকি!

বাংলাদেশ দলে তাঁর টিমমেটদের প্রশ্ন করুন, সবাই কিন্তু এমনই বলবেন। এই মতবাদের সবচেয়ে বড় প্রবক্তা তামিম ইকবাল। সেই অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে দুজন একসঙ্গে খেলেছেন। সাকিবের নাড়িনক্ষত্র তাঁর চেনা। তারপরও সাকিবকে নিয়ে তাঁর বিস্ময় কাটে না। বরং উত্তরোত্তর তা যেন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ দলের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ নামে পরিচিতি পেয়ে যাওয়া পাঁচজনের বাকি চারজনকে নিয়ে বলতে গিয়ে কিছুদিন আগেই আবারও যা প্রকাশ পেল। সাকিবকে নিয়েই সবচেয়ে কম বললেন। বলতে বলতে আর নতুন কিছু বলার খুঁজে পাচ্ছেন না বলেই হয়তো। সাকিবকে নিয়ে বলার ভারটা তাই সাকিবের ওপরই দিয়ে দিলেন। প্রশ্নটা আমি করেছি বলে মাধ্যম রাখলেন প্রথম আলোকে, ‘মিস্টার সাকিব আল হাসানের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে, মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশের হয়ে যা করে, তাতে ও নিজেই বিস্মিত হয় কি না! প্রথম আলোরমাধ্যমেই প্রশ্নটা ওকে করে রাখলাম।’

পরের দিন সকালেই সাকিবের সঙ্গে দেখা। তামিম যে দায়িত্বটা দিয়েছেন, তা পালন করা উচিত। প্রশ্নটা তাই করলাম।মন দিয়ে যা শুনে দুষ্টুমিমাখানো একটা হাসি দিলেন। আর কিছু বললেন না দেখে বুঝে ফেললাম, ওই হাসিতেই উত্তর দেওয়া গেছে। তাঁর ইকোনমিকাল বোলিংয়ের মতোই প্রতিক্রিয়াতেও অনেক সময় সাকিব খুব ‘ইকোনমিকাল’। মুখে কিছু না বলার আরেকটা কারণ হতে পারে, একটু ঘুরিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরটা যে তিনি আমাকে অনেক আগেই দিয়েছেন।

সেটি বোধ হয় বছর ছয়-সাত আগের কথা। চার বছরের মধ্যে তৃতীয়বার সাকিবের হাতে উঠেছে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের ট্রফি। তাঁকে নিয়ে বাড়তি কী করা যায়, ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা আইডিয়া এল। কদিন পরই মাগুরা যাচ্ছেন, তাঁর সফরসঙ্গী হয়ে মাগুরার সাকিবকে দেখে তা নিয়ে একটা স্টোরি করলে কেমন হয়!

সাকিব বলতেই রাজি। যদিও ‘মাগুরায় গিয়ে কী হবে! বাড়িতে গিয়ে আমি তো শুধু ঘুমাব’ কথাটাকে ছুটির মধ্যে ‘উটকো ঝামেলা’ এড়ানোর চেষ্টা বলে ক্ষীণ সন্দেহ হয়েছিল। মাগুরায় যাওয়ার পর যেটি দূর হতে সময় লাগেনি। ঢাকা থেকে একই ফ্লাইটে যশোর, সেখান থেকে সাকিবের গাড়িতেই মাগুরা যাওয়ার পথেই আসলে সেটির অবসান। ঘুমের সঙ্গে আপস করে অনেক সময় দিলেন। ঘুরিয়ে দেখালেন তাঁর শৈশব-কৈশোরের লীলাভূমি। বাড়ির পেছনে খেলার সেই আঙিনা, স্কুল, মাগুরা স্টেডিয়াম, নানিবাড়ি…আলোকদিয়ার সেই মাঠ, যেখানে টেনিস বলের এক ম্যাচ খেলতে গিয়ে তাঁর জীবন বদলে যাওয়ার শুরু। এখন যা সবারই জানা, সেই গল্পটাও ওই মাঠে দাঁড়িয়েই শোনা। সাকিবের খেলা দেখে সেই ম্যাচের এক আম্পায়ার সাদ্দাম হোসেন গোর্কির নিজের ক্লাবে খেলার আমন্ত্রণ জানানো, সে সময় পেস বোলার সাকিবকে প্র্যাকটিসের দ্বিতীয় দিনই শখের স্পিন করতে দেখে বলা ‘তুই স্পিন বোলিংই কর’, কদিন পরই স্থানীয় লিগে ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট। সাকিব এর আগে ক্রিকেট যা খেলেছেন, সবই টেপ টেনিসে, যার মানে ওই উইকেটটা ক্রিকেট বলে করা প্রথম বলেই! এমন গল্প হয়তো আরও অনেকেরই আছে। সাকিব সাকিব হয়েছেন বলেই এটি পেয়ে যাচ্ছে আলাদা তাৎপর্য। প্রমাণ হয়ে উঠেছে ‘প্রভাত দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয়’ প্রবাদেরও।

মাগুরার সাকিবকে নিয়ে বাড়তি লেখাটার মালমসলা জোগাড় করা শেষ। পরদিন ঢাকায় ফিরে আসব। এবার নিয়মমাফিক বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের বড় সাক্ষাৎকারটা নিতে হবে। রাতে যেটি নিলাম মাগুরায় আমার দুই দিনের ঠিকানা সার্কিট হাউসে বসে। সেই সাক্ষাৎকারেই প্রচণ্ড চাপেও মাঠে অমন নির্ভার থাকার ক্ষমতাটা নিয়ে সাকিব বলেছিলেন, ‘বেশি চাপ থাকলে আরও বেশি মজা লাগে। আর মাঠে নামলেই কীভাবে যেন আমার মাথা খুলে যায়। কীভাবে যেন সব ঠিকঠাক করে ফেলি।’

 ২০১৭ সালের অক্টোবরে বলতে গেলে একাই হারিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম ইনিংসে ৮৪ রানের পর দুই ইনিংসেই পাঁচ-পাঁচ দশ উইকেটের ছটায় প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে তামিমের দুটি দুর্দান্ত ইনিংস। কোথায় তামিমের দুঃখ হবে, উল্টো ওই টেস্টের পর প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন সাকিবকে। দুঃখ মনে বাসা বাঁধার সুযোগ পেলে তো, তিনি যে তখন সাকিবে আরও বিস্ময়াভূত, ‘সাকিব যেদিন চায়, সেদিন ও অদম্য। ও যদি নিয়মিত এমন চায়, তাহলে এমন সব পারফর্ম করতে পারবে, যা বিশ্বে কেউ দেখেনি।’

আমার চোখেমুখে প্রশ্ন ফুটে উঠতে দেখে যোগ করলেন, ‘জানি, আমি অনেক বড় কথা বলছি। কিন্তু আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, ও মন থেকে চাইলে নিজেকে আরও ওপরে নিয়ে যেতে পারে। সঙ্গে বাংলাদেশকেও নিয়ে যেতে পারে সেখানে। এমন প্লেয়ার আমি আর দেখিনি।’

সাকিবকে আবারও ধরলাম। তামিম যে বললেন, আপনি চাইলেই আরও অনেক কিছু করতে পারেন, করেন না কেন? সাকিব আবারও সেই হাসিটা দিলেন, ‘প্রতিদিন কি অমন খেলা যায় নাকি! ভেতর থেকে কি প্রতিদিন আসে!’

যেদিন মনেপ্রাণে চান, সেদিন কী করতে পারেন, সেই উদাহরণ দিতে গেলে এই লেখায় কুলোবে না। তার কয়েকটা অন্তত বলি।

মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই টেস্টটাতে এমনিতেই একটু বাড়তি প্রেরণা ছিল। সাত মাস আগে-পরে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পরও কীভাবে যেন মিলে গেছে দুই বন্ধু সাকিব-তামিমের ৫০তম টেস্ট। শততম টেস্ট নিয়ে তা-ও একটু কথাবার্তা হয়, ৫০তম টেস্ট কোন দিক দিয়ে এসে কোন দিক দিয়ে চলে যায়, অনেক সময় ক্রিকেটারের নিজেরও সেভাবে খেয়াল থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে সাকিব-তামিমের ৫০তম টেস্ট নিয়ে মহা হইচই। সেই টেস্টের তিন দিনের খেলা হয়ে যাওয়ার পর দুই দলই প্রায় সমানে সমান। পরের দিনই খেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে নিশ্চিত, জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার চাই ১৫৬ রান, বাংলাদেশের ৮ উইকেট। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের নাম ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ বলে অস্ট্রেলিয়াই বোধ হয় একটু এগিয়ে।

সেই রাতে সাকিবের স্ত্রী শিশির কী ভেবে যে তাঁকে ‘কালকের ম্যাচটা জিতিয়ে দাও না’ বলেছিলেন, কে জানে! সাকিব বউকে খুব ভালোবাসেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কথা রাখবেন বলে ‘সিদ্ধান্ত’ নিলেন। শিশিরের কথাটা পরে প্রকাশিত হয়েছে। তবে পরদিন তাঁকে মাঠে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, এটা সেই দিন, যেদিন সাকিব যা চাইবেন, তাই-ই হবে। এক ঘণ্টার মধ্যেই ফিরিয়ে দিলেন পথের দুই কাঁটা ওয়ার্নার ও স্মিথকে। লাঞ্চের পর প্রথম বলেই ইনিংসে ৫ উইকেট হয়ে গেল। সাকিবের বোলিং ফিগার তখন ২১-৫-৬৮-৫। শুধু সেই সকালের হিসাবটা আলাদা করে করলে টানা ১৩ ওভারে ৪০ রানে ৪ উইকেট। তিন ওভার পর কামিন্সের ক্যাচটা না পড়লে সাকিবের ৬ উইকেট হয়ে যায়। বাংলাদেশের জয়টাও ২০ রানের চেয়ে অনেক বড় হয়।

তারপরও যা হয়েছিল, সেটিই সাকিবকে বসিয়ে দেয় স্যার রিচার্ড হ্যাডলির পাশে। দ্বিতীয়বারের মতো সাকিবের একই টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান আর দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট। এর আগে শুধু হ্যাডলিই যা করতে পেরেছেন।

মনেপ্রাণে কিছু চাইলে বা অহমে লাগলে সাকিব কী করতে পারেন, সেটির আরেকটি উদাহরণ দিতে ওই ২০১৭ সালেরই কয়েক মাস পিছিয়ে যাই। ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব একেবারেই বিবর্ণ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১০ রান করার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯। প্রথম ম্যাচে এমন বোলিং (৮ ওভারে ৬২) করেছেন যে, বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার ১৬ ওভারের ইনিংসে তাঁকে বলই দেওয়া হয়নি। ইংল্যান্ডে উপস্থিত বোর্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ফিসফিসানি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান সেই ফিসফিসানিকে সিদ্ধান্তে রূপ দিয়ে কার্ডিফ রওনা হওয়ার আগে ঢাকা থেকেই জানিয়ে দিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবকে বাদ দিতে হবে।

ফিট সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশের ওয়ানডে দল! এমন কিছু এর আগে কখনো হয়নি। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের তিন বছরের ‘শাসনামলে’ তাঁর সঙ্গে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অনেক মতই মেলেনি। গুরুত্বপূর্ণ যে কবার মিলেছে, এটি তার একটি।

ঢাকা থেকে মেসেজ পাওয়ার পর হাথুরুসিংহে নিজেই মাশরাফির রুমে এসে বললেন, ‘ম্যাশ, বোর্ড প্রেসিডেন্ট এটা কী বলছেন! সাকিবকে কীভাবে বাদ দেওয়া সম্ভব!’

মাশরাফি বললেন, ‘আমিও শুনেছি। শোনার পরই তোমার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলাম। এটা কোনো কথা হলো!’

হাথুরুসিংহে একটু আশ্বস্ত হলেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি কথা বলব। আমার কথা না মানলে আমি রিজাইন করব। তুমি আমাকে সাপোর্ট করবে তো?’

মাশরাফি বললেন, ‘করব না মানে? সাকিবকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

কোচ-অধিনায়ক একজোট হওয়ায় সাকিব দলে টিকে গেলেন। এরপর যা করলেন, সেটি তো ইতিহাসের পাতাতেই লেখা। ২০০৫ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়া-বধ যদি কার্ডিফ-রূপকথার প্রথম অধ্যায় হয়, দ্বিতীয় অধ্যায়টা লেখা হলো সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। ৩৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ২২৪ রানের জুটিতে যে জয়টি এল, সেটি বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে।

সর্বশেষ উদাহরণটি একেবারে টাটকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিটিতে জঘন্য ব্যাটিং করে হেরেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। পুরস্কার বিতরণীতে ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্নে ব্যাটসম্যানদের একটু হলেও সমালোচনা করতেই হতো। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে সেটি এমন রংচং চড়িয়ে পরিবেশিত হলো যে, সাকিব মহা খেপে গেলেন। সর্বনাশটা হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মিরপুরে মোটামুটি হাই স্কোরিং দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এমন বোলিং করলেন যে, সাকিবের আর্মারগুলো শক্তিশেল হয়ে বিঁধল ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের বুকে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। সেটিও মাত্র ২০ রানে। এর আগে ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে অপরাজিত ৪৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো পুড়ল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়, রাগ-ক্ষোভের আসল লক্ষ্যবস্তু সামনে পেলেন সংবাদ সম্মেলনে। যথারীতি সব উগড়ে দিলেন।

শেষ অংশটাকে সাকিবের গুণ বলতে পারেন, আবার দোষও। সাকিবের জায়গায় মাশরাফি হলে অবশ্যই সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা আক্রমণ করে মিডিয়াকে ‘শত্রু’ বানানোর ঝুঁকি নিতেন না। সাকিব অবশ্যই তা নেবেন, এ কারণেই তিনি সাকিব। ভালো না মন্দ—এই বিচার আপনি করুন, কিন্তু সাকিব মনের কথা বলে দেওয়ায় বিশ্বাসী। তাঁকে দিয়ে আর যা-ই হোক, কূটনীতিকের চাকরি হবে বলে মনে হয় না। অতীতে সাকিবকে নিয়ে এত বিতর্কের মূল কারণও ছিল এটিই। মাশরাফির বিদায়ের পর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ওয়ানডেরও অধিনায়কত্ব পাওয়াটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। ধারণা করি, তখন সাংবাদিকদের অন্তত লেখার বিষয়ের অভাব হবে না। সাকিব নিয়মিতই তা সরবরাহ করবেন।