ঝড়ের পরের আলো

যত দূর পারে দেখে নিতে থাকে চোখ
কোথা থেকে কে সে অপেক্ষা করে ডাকের,
বিকেলের থেকে শোরগোল উঠে এলে
সাথে নিয়ে আসে নিজস্ব নদীটাকে।

হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে পরে
বেঞ্চিতে বসে নানান আলাপ তোলে—
কুয়াশায় মোড়া ব্যক্তিটা একা নখে
আস্তিনে লাগা দাগটাকে ঘষে ঝোলের।

যেন দাগ নয়—তুলে ফেলা চাই ভুল
মুছে ফেলা যত ক্ষয়ক্ষতি সঞ্চয়,
ভেতর যতটা প্রকাশ্য হয় তাতে
বাহির ততটা কেঁপে কেঁপে ওঠে ভয়ে।

লেকের পানিতে মাছেরা মাছের মতো
ঝাঁই মেরে দেখে সন্ধ্যা আসছে কি না
বাজছে বাতাস; ঝিঁঝি বাজে নিজ তালে
প্রেমের সহিত যুদ্ধ চলছে ঘৃণার।

গান ভেসে আসে সোহরাওয়ার্দী থেকে
ঘাসে বসে শোনা সুর নিলে বুকে তুলে;
ক্রমে দুলে ওঠা মন বড় নড়বড়ে,
মাশুল খুঁজছে কোথাকার কোন ভুলের!

বৃথা সংঘাতে প্রশ্ন তুললে ফণা
ফলে উঠে আসে বিষণ্ন মুখ জবার,
বিচ্ছেদ নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরা—
দুই দিকে হাঁটা যেন দুটো শোকসভা।

নিকট যতটা দূরে চলে যায় তাতে
দূরের সে মতে থাকে না ফেরার মানে
কথার ছোবলে যতটুকু রাখা বিষ
তাকে মুছে দেবে সাধ্য কি নেই টানের?

ফাল্গুন মানে ফেব্রুয়ারি মাসের
টালমাটাল এই দিনরাতসন্ধ্যারা—
কার দিকে যায়, কাকে ঠেলে দিয়ে দূরে
কাঙ্ক্ষিত ডাকে অপেক্ষা করে সাড়ার!

শেষে প্রাণপণে গুপ্ত ইশারা পেয়ে
ভিড়ে খুঁজে পায় বাবল ফোলানো তাকে—
ছোট্ট একটা ঝড়ের পরের আলো
ঘাম মুছে নেয় জমে ওঠা নিজ নাকের!