অমূল্য চরিত্রটি করে সোনার মেডেল পেয়েছিলাম

>
ফরিদা পারভীন বললেন, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। ছবি: খালেদ সরকার
ফরিদা পারভীন বললেন, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। ছবি: খালেদ সরকার
ফরিদা পারভীন। লালন সাঁইয়ের গানকে নতুনভাবে আলোয় এনেছেন। তিনি বলেছেন তাঁর প্রিয় ৫ বিষয় নিয়ে।

১. প্রিয় বই

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্পের বই

আমার ভালো লাগার তালিকায় অনেক বই-ই আছে। এখানে যেহেতু একটি বইয়ের কথা বলতে হবে, তাই এ মুহূর্তে মনে পড়ছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্পের বইয়ের কথা। শরৎচন্দ্রের ছোটগল্পের বইয়ে ‘বিন্দুর ছেলে’ নামে একটি গল্প পড়েছিলাম। পরে এ গল্প অবলম্বনে বিন্দুর ছেলে নাটকেও অভিনয় করেছি। আমাকে দেওয়া হলো ‘অমূল্য’ চরিত্রটি। চরিত্রটি এত হৃদয়গ্রাহী হয়েছিল যে এটি করে আমি সোনার মেডেল পেয়েছিলাম।

২. প্রিয় গান

ফেরদৌসী আপার সেই গান

‘আমি সাগরের নীল নয়নে মেখেছি এই চৈতালি রাতে’—ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া গানটি আমার খুব প্রিয়। এত মিষ্টি সুরের একটি গান। নিজেও কখনো কখনো গুনগুন করে গেয়ে উঠি এ গান।

৩. প্রিয় চলচ্চিত্র

‘সুতরাং’ দারুণভাবে আবেগাপ্লুত করেছিল

আমার প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় আছে সুভাষ দত্ত পরিচালিত সুতরাং ছবিটি। অনেক কারণে সুতরাং প্রিয় ছবির তালিকার এক নম্বরে রয়ে গেছে। প্রথমত, এ ছবির নায়িকা কবরী। এটি ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। কবরীর মুখটা এত মিষ্টি আর তাঁর সেই সরল অভিনয়, প্রথম দেখাতেই মন কেড়েছে। এরপর পরিচালক হিসেবে এটি সুভাষ দত্ত পরিচালিত প্রথম ছবি। ছবির নায়কও ছিলেন তিনি। তাঁর চেহারা নায়কোচিত নয়। কিন্তু অভিনয় ছিল অসাধারণ। সব মিলিয়ে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত ছবিটি আমাকে আবেগাপ্লুত করেছিল দারুণভাবে।

৪. প্রিয় নায়ক

স্বপ্নের নায়ক ছিলেন উত্তমকুমার

উত্তমকুমার পর্দায় এলেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম
উত্তমকুমার পর্দায় এলেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম

১৯৫৬-৫৭ ও ৫৮ সালের কথা। ওই সময়ের হিট জুটি ছিলেন উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন। এই জুটির প্রায় সব ছবিই দেখা। সে সময় আমার স্বপ্নের নায়ক ছিলেন উত্তমকুমার। এত সুদর্শন রোমান্টিক নায়ক, পর্দায় এলেই মুগ্ধ হয়ে যাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। তাঁর অভিনয় দেখতাম। এ জীবনে অনেক অভিনেতার ছবি দেখেছি, কিন্তু উত্তমকুমারকে ছাপিয়ে আর কেউ হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারেননি।

৫. প্রিয় রান্না

ইলিশ মাছের দোপেয়াজি

আমার প্রিয় রান্না ইলিশ মাছের দোপেয়াজি। রান্না আমি খুব একটা খারাপ করি বলে মনে হয় না। সব রান্নাই মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। বেশ কয়েকটি চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠানে গিয়েছি আমি। রান্নাও করেছি। একবার এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা এসে আমাকে বললেন, ‘আপা, আপনার “ইলিশ মাছের দোপেয়াজি” রেসিপিটি অনুসরণ করে আমি বাড়িতে রান্না করেছিলাম। বাড়ির সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করেছে।’ শেষে বলব, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে।