মহানায়িকাকে কার্পেটে বসতে বলে বিপাকে পূর্ণেন্দু পত্রী

পূর্ণেন্দু পত্রী। অলংকরণ: তুলি
পূর্ণেন্দু পত্রী। অলংকরণ: তুলি

তরুণ বয়স থেকেই কবি-চিত্রকর পূর্ণেন্দু পত্রীর আগ্রহের বিষয় ছিল চলচ্চিত্র। একসময় নিজে চলচ্চিত্র নির্মাণে হাতও দেন। তাঁর নির্মিত স্ত্রীর পত্র ছবিটি একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছিল। পূর্ণেন্দুর বিশেষ ইচ্ছা ছিল, কোনো একদিন রবীন্দ্রনাথের চতুরঙ্গ উপন্যাস অবলম্বন করে একটি সিনেমা বানাবেন আর মূল নায়িকা ‘দামিনী’র চরিত্রে অভিনয় করবেন সুচিত্রা সেন। একসময় সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার পর্যায়ে এসেছিল। সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য শুনে চতুরঙ্গ–তে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু বিপত্তি বাঁধল সিনেমাটির মহরতের দিনে। পূর্ণেন্দু পত্রী উদ্বেগ-উত্তেজনার চোটে যে দৃশ্যটা দিয়ে শুটিং শুরু হবে, তা সুচিত্রা সেনকে বোঝাতে গিয়ে বলে ফেললেন, ‘নায়িকাকে কার্পেটের ওপর বসতে হবে­, তা হলেই পরিচালক শট বুঝিয়ে দিতে পারবেন!’ সুচিত্রা সেন তখন সেই নির্দেশ পালন করলেও পরে হাসির ছলে বলেই ফেলেছিলেন, ‘আপনার অনেক সাহস আছে মশাই, আমাকে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পরিচালক এভাবে মাটিতে বসতে বলেননি।’ যতই হাসির মোড়কে বলুন, স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল যে বিষয়টি বাংলা ছায়াছবির মহানায়িকার একদম মনঃপূত হয়নি। কাকতালীয়ভাবে কয়েকটি দৃশ্য ধারণ করার পর ছবিটির শুটিং থেমে যায়। কখনো আর ফের শুরুও হয়নি।

সূত্র: পূণ্যব্রত পত্রীর অসমাপ্ত ছবির গল্প

গ্রন্থনা: মুহিত হাসান