একা এক পরিব্রাজক

নিজস্ব এক লিখনশৈলীর স্রষ্টা ৈসয়দ মুজতবা আলী। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব এক লিখনশৈলীর স্রষ্টা ৈসয়দ মুজতবা আলী। ছবি: সংগৃহীত

খোশগল্প, ভবঘুরে ও অন্যান্যতে সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর গল্পবলার প্রতিভা নিয়ে নিজেই কিছুটা রঙ্গ করেছেন, বলেছেন, ‘আমি স্বয়ং তো আদৌ কোনো প্রকারের গল্প বলতে পারিনে। প্লট ভুলে যাই, কী নিয়ে আরম্ভ করেছিলুম, কী দিয়ে শেষ করব তার খেই হারিয়ে ফেলি’, যদিও তিনি স্বীকার করেন, ‘গল্পবলার আর্ট, গল্প লেখার আর্টেরই মতো বিধিদত্ত প্রতিভা ও সাধনা সহযোগে শিখতে হয়।’ যাঁরা গল্প লেখেন, তাঁদের অনেক প্রতিভার একটি হচ্ছে গল্পের শুরু এবং শেষটাকে কাহিনিরেখার রশি দিয়ে ভালো করে বেঁধে ফেলতে পারা; গল্পের কোথাও, সাধারণত শেষে, একটা চমক হাজির করা, যা পাঠককে গল্পটা শুরু থেকে আবার পড়তে উৎসাহিত করবে। কিন্তু যাঁরা গল্প বলেন, যাঁরা সামনে বসা শ্রোতাদের বলার জাদুতে আবিষ্ট করে হাসান-কাঁদান, আবেগে বা উত্তেজনায় ভাসান, তাঁরা কীভাবে কাজটা করেন? তাঁরা কাহিনিরেখার মায়ায় পড়েন না, তাঁরা ভাষাকে ভাঙেন, প্রতিদিনের ব্যবহারের শব্দ দিয়ে সাজান, এবং আরব্যরজনীর কথক শেহেরজাদের মতো শেষটাকে ক্রমাগত মুলতবি রাখেন, অথবা মারিয়া বার্গাস য়োসার আব্লাদর অথবা গল্পকথকের মতো বিনোদনকে ছাড়িয়ে গল্পের আরও পেছনে আদিম কিছুর সন্ধানে গিয়ে আদি-অন্ত ভুলে যান। মুজতবা আলীর জন্মের শহরে পুঁথিপাঠক ছিলেন, গল্পকথক ছিলেন, তিনি তাঁদের শিল্পটাকে লিখিত সাহিত্যের পরিসরে নিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি গল্প বলতেন রাস্তার পাশে অথবা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে অথবা বাড়ির উঠানে মোড়ায় বসে নয়, বলতেন বৈঠকখানায় বসে, মজলিশি ভঙ্গিতে, আড্ডার মেজাজে। তাঁর শ্রোতারা ওই বৈঠকখানায় প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য, অর্থাৎ শিক্ষিত। তাঁর চারটি উপন্যাস এবং কুড়ি-পঁচিশটির মতো গল্প পড়ে আমার মনে হয়েছে যেন আমাকেই গল্পগুলো তিনি বলছেন। একটা তাৎক্ষণিকতার আমেজ থাকে তাঁর গল্পে, যেন একটা কথা পড়ে/শুনে পাঠক/শ্রোতার কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা ভেবে আরেকটা কথা সাজাচ্ছেন। চাচা কাহিনীর গল্পগুলোকে তিনি লেখেন চাচার বয়ানে, যিনি বাস্তবে ছিলেন, বার্লিনে, আবার গল্পকথক হিসেবে সর্বকালেই ছিলেন, এই বাংলাদেশেও। আমার মতে, আমাদের গল্পবলার ঐতিহ্যকে তিনি যে নতুন করে তৈরি করলেন এবং নিজের জবানিতে জানিয়েও দিলেন, যদিও খুব স্পষ্টভাবে নয়, যেহেতু বিনয়ী ছিলেন তিনি, নিজের কোনো কীর্তি জাহির করাকে অপছন্দ করতেন, এই ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণ ছিল তাঁর প্রথম কীর্তি। তাঁর পর তাঁর মতো গল্প বলতে আর কাউকে দেখি না, যেন যে ধারাটি তিনি সৃষ্টি করলেন, তাতে তাঁরই ছিল একমাত্র উপস্থিতি।

এর একটি কারণ, সৈয়দ মুজতবা আলীর মতো পাণ্ডিত্য, প্রজ্ঞা, তীক্ষ্ণ রসবোধ, জীবনকে দুরবিনের দুই প্রান্ত থেকে দেখার ক্ষমতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মানবতাবোধের যোগফল ঘটানোটা সহজ কাজ নয়। নিজেকে নিয়ে রঙ্গ করার, কথার পিঠে কথা সাজিয়ে পাঠককে পুলকে চমকে দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল তাঁর অসাধারণ। তাঁর সান্নিধ্যে আসার যাঁদের সুযোগ হয়েছে, তাঁরা তাঁর বাচনদক্ষতার, তাঁর উইট ও হিউমারের এবং গল্প সাজানোর কুশলতার সাক্ষ্য দেবেন। উইট ও হিউমার—দুটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে হলো দুই কারণে—এক. বাংলা ভাষায় এদের প্রতিশব্দ যা আছে, তা দিয়ে মুজতবা আলীর কথাবার্তায় এবং লেখালেখিতে এদের কার্যকর উপস্থিতির পুরোটা ব্যাখ্যা দেওয়া মুশকিল; দুই. এ দুটি অস্ত্র প্রথম শাণিত হয়েছে পশ্চিমে, আরও বিশেষ করে বললে ইল্যান্ডে এবং মুজতবা আলী অস্ত্র দুটি পশ্চিম থেকেই নিয়েছিলেন। যদিও তাতে সুযোগ পেলেই পুবের কারুকাজ লাগিয়ে দিতেন। বাংলা সাহিত্যে শুরুর দিকে উইট ও হিউমারের শক্তিশালী ব্যবহার ছিল, রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত অনেকে এর মনোগ্রাহী প্রয়োগ করেছেন। মুজতবা আলীর হাতে উইট ও হিউমার সত্যিকার যে মাত্রা পেল, তা একই সঙ্গে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক। স্থানীয়, অর্থাৎ বঙ্গদেশীয়, উপমহাদেশীও, যেহেতু মুজতবা বাংলার ভাঁড়দের আপন ভাবতেন, বাঙ্গালীর হাসির গল্প-এর (জসীমউদ্​দীনের দুই খণ্ডের সংকলন—১৯৬০ ও ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত, যার কিছু স্থান পেয়েছে) একটা ভান্ডার তাঁর কাছে ছিল এবং আন্তর্জাতিক, যেহেতু পাঁচ-সাতটি ইউরোপীয় ভাষায় তাঁর অধিকার থাকায় সেসব ভাষায় উইট আর হিউমারের অজস্র উদাহরণ তাঁর কাছেই ছিল। মুজতবার পর বাংলা ভাষায় এ দুইয়ের চর্চাকারীর সংখ্যা অতিশয় সামান্যই রয়ে গেল (যেমন তারাপদ রায়), কিন্তু তাঁর তুল্য আর কাউকে দেখা গেল না। এ ক্ষেত্রেও তাঁর অবস্থানটি অদ্বিতীয় বললে বাড়িয়ে বলা হবে না।

সৈয়দ মুজতবা আলীর তৃতীয় একটি কীর্তি ছিল তাঁর ভ্রমণসাহিত্য। এ ক্ষেত্রেও তিনি অনবদ্য। বাংলা ভাষায় ভ্রমণকাহিনি প্রচুর লেখা হয়েছে, এখনো তাতে কমতি পড়েনি। একসময় বিদেশে যাওয়াটা বাঙালির কাছে ছিল ভাগ্যের ব্যাপার, এখন ভাগ্য ফেরাতে প্রচুর বাঙালি বিদেশে যান। বিদেশের দর্শনীয় স্থান ও মানুষের বর্ণনা, ঘটনার-দুর্ঘটনার বিবরণ এবং ভ্রমণকারীর ভাব-অনুভূতির বয়ান ডায়েরিতে লিখে নিয়ে অনেকে ভ্রমণগল্প সাজান। কিন্তু লিখলেই কোনো কিছু সাহিত্য হয়ে যায় না, এ জন্য ভাষার সঙ্গে প্রয়োজন হয় দেখার ক্ষমতা (সব দেখাই দেখা নয়, দৃশ্যের ভেতরে দৃশ্য থাকে, মুখোশের পেছনে মুখ থাকে, এসব দেখার শক্তি লাগে) এবং দেখানোর কুশলতা। মুজতবা আলীর বর্ণনায় একটা জানা দৃশ্যও অজানার রূপ নেয়, অজানা কথাও জ্ঞানের ভেতরে চলে আসে। তাঁর দেশে-বিদেশে পড়ে দেখুন, মনে হবে আফগানিস্তানের ইতিহাসটাকে আমরা চোখের সামনে মূর্ত হতে দেখছি, অথবা জলেডাঙ্গায় পড়ুন, একজন কিশোরের আগ্রহ নিয়ে আমরা তার যাত্রাসঙ্গী হব, পোর্ট সাইদ বা জিবুতি অথবা ইংল্যান্ডের অনেক দৃশ্যপটে হারিয়ে যাব। মুজতবা আলীর বিশাল ক্ষমতা ছিল চরিত্র বর্ণনায়—কত অসংখ্য চরিত্র ভিড় করে আছে তাঁর ভ্রমণসাহিত্যের ক্যানভাসে! কিন্তু প্রতিটি চরিত্রের, এমনকি যারা বদ, তাদের সঙ্গেও আমাদের সখ্য তৈরি হয়। স্কুলে পড়ার সময় জলেডাঙ্গায় বইটি পেয়ে পড়তে বসে মনে হয়েছিল, আমি যেন বই পড়ছি না, একটা সিনেমা দেখছি। এর কিছুদিন আগে অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ সিনেমাটি দেখেছিলাম। দেশে-বিদেশে আরেকবার পড়তে গিয়ে, বছরখানেক আগেও, ওই অনুভূতিটা ফিরে এসেছিল। মুজতবা আলী তাঁর ভ্রমণগল্পে পাঠকদের সহযাত্রী করে নেন। সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলির ভূমিকায় অরুণ বসু লেখেন, মুজতবা আলীর বর্ণনার কল্যাণে তিনি তাঁর কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে নানা জায়গায় তাঁর ঘোরা হয়ে গেছে।

মুজতবা আলীর ভ্রমণকাহিনির বড় শক্তি এর ভাষা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, ‘তীর্থভ্রমণের ভাষা প্রকৃত প্রাণের ভাষা—হৃদয়ের অভিব্যক্তি, ইহা খোসপোষাকী ভাষা নহে, মনে মনে তর্জ্জমা করিয়া অপরের ভাব প্রকাশের চেষ্টা নহে, ভাবিয়া-চিন্তিয়া মাজিয়া-ঘষিয়া শব্দাড়ম্বর করিবার প্রয়োজন হয় নাই’; কথাগুলো তিনি লিখেছেন যদুনাথ সর্বাধিকারীর তীর্থ-ভ্রমণ-এর ভাষা সম্পর্কে (তীর্থ-ভ্রমণ, সম্পাদনা নগেন্দ্রনাথ বসু, মুখবন্ধ)। মুজতবা আলীর প্রতিটি ভ্রমণ তীর্থভ্রমণের মতোই। তিনি তাঁর ভ্রমণকে নিজেকে জানার একটা উপলক্ষ হিসেবেও নিতেন। এ জন্য নিজেকে বড় করে দেখার, আমিত্ব প্রকাশের এবং একটা একক দৃষ্টি বজায় রাখার কোনো আয়োজন তাঁর ভ্রমণগল্পে নেই। যা আছে, তা একটা কার্নিভ্যালে সবাইকে শামিল করার উদ্যোগ। কার্নিভ্যালের মতোই তাঁর ভ্রমণগল্পে তাঁর নিজের কণ্ঠ মিলিত হয় অসংখ্য কণ্ঠে, কুলীন থেকে নিয়ে নিম্নবর্গের মানুষজনের থাকে সমান অংশগ্রহণ। তিনি এই তথাকাথিত নিম্নবর্গীদেরই বেশি জায়গা দিতেন, তাদের মধ্যে তিনি স্বতঃস্ফূর্ততা পেতেন, প্রাণের প্রকাশ পেতেন। আমাকে যা আনন্দ দেয়, তা তাঁর হঠাৎ হঠাৎ বিদেশ–বিভুঁই থেকে দেশের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। কোনো চরিত্রের, ঘটনার অথবা অভিজ্ঞতার সমান্তরালে তিনি দেশকে স্থাপন করতেন। তাঁর সব ভ্রমণ-লেখাই সেই অর্থে দেশে-বিদেশে।

যদি মুজতবার অতুলনীয় রসবোধ এবং বর্ণনার স্বচ্ছতা তাঁর লেখার একটি গুণ হয়ে থাকে, আরেকটি গুণ তাহলে বিয়োগের, বেদনার ছবি আঁকার কুশলতা। তাঁর উপন্যাসগুলো যাঁরা পড়েননি, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারবেন না হাসি-কান্নার যুগলবন্দীটি তিনি কত অবলীলায় বাজাতে পারেন। অবিশ্বাস্য উপন্যাসটিতে তো কান্না আর বেদনাই প্রধান। এক তরুণ আইরিশ পুলিশকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক অথবা সম্পর্কহীনতা, এবং এক ‘ন্যাটিভ বাটলারের’ সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার পরিণতিতে এদের দুজনকে এবং স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া বাটলারের সন্তানকে মেরে ফেলার পর একসময় পুলিশকর্তা ধরা পড়ল। এরপর এই দীর্ঘ চিঠিতে সে তার অপরাধ স্বীকার করে নিজের ‘অভিশপ্ত জীবনের’ একটা বর্ণনাই লিখে ফেলল। এ রকম ভয়ানক একটা ঘটনা নিয়ে একেবারে ভিন্ন রেজিস্ট্রারে একটি উপন্যাসকে সাজানো একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপারই বটে। তবে কেন জানি, চারটি উপন্যাসেই মুজতবা আলী চেনা পথের বাইরে একটা যাত্রায় নেমেছিলেন। শবনম-এও অবিশ্বাস্য বিষয় আছে; তা শুধু আফগানিস্তানের প্রেক্ষাপটে এক ‘অপরূপা’ তুর্কি নারীর মজনুন নামের এক বাঙালি যুবকের তার কাব্যপ্রীতির কারণে প্রেমে পড়া নয়, অবিশ্বাস্য হচ্ছে ঘটনার নানা আকস্মিক বাঁক নেওয়া, শবনমের অপহৃত হওয়া এবং অপহরণকারীকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়া। তিন ভাগের এই উপন্যাসে প্রথম ভাগের পরই নায়িকা উধাও। তারপরও উপন্যাস পাঠককে ধরে রাখে, এর কাহিনিবিন্যাস, গীতিময়তা আর আকস্মিক কোনো পরিণতির আশায়। মজার বিষয় হলো, চার উপন্যাসেই মেয়েরা প্রধান, তাদের নামে বা গুণবিবেচনায় তারা উপন্যাসের শিরোনাম। শবনম নিয়ে মুজতবার পরিতৃপ্তি ছিল, যেন গল্পে যে জীবনকে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন, তা অনেক শক্তিশালী, অনেক আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মুজতবা আলীর বিশ্ববীক্ষণ ছিল আলোকপ্রাপ্তির যুগের, অন্তত আমার তা–ই মনে হয়েছে। তিনি শেক্​সপিয়ার, গ্যেটে, ওমর খৈয়ামকে আপন ভাবতেন, নিৎসে-হাইডেগারকেও দূরের ভাবতেন না, এ জন্য তাঁর সাহিত্যে দর্শনের, ইতিহাসের ছায়াপাত ছিল। কিন্তু মনেপ্রাণে বাঙালিও ছিলেন তিনি এবং বেশ গর্বিত সিলেটিও। বাংলা ভাষার মর্যাদার প্রশ্নে সেই ১৯৪৮ সালে তিনি ত্রৈমাসিক চতুরঙ্গ পত্রিকায় লিখেছিলেন, দাবি জানিয়েছিলেন বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার। ভাষা নিয়ে তাঁর কোনো আলাদা আবেগ ছিল না, যা ছিল, তা সহজাত ভালোবাসা। ভাষাকে তিনি অনেকটা লুডভিগ ভিটজেনস্টাইনের মতো জীবনের একটি প্রকাশ এবং স্বাভাবিক একটি সক্রিয়তা হিসেবে দেখতেন। এর ওপর ভিন্ন ভাষাভাষীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলে সেই ভাষার লীলা যে অন্তর্হিত হয়, সেই উদ্বেগ থেকে বাংলার নিজস্বতা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছিলেন তিনি।

সৈয়দ মুজতবা আলীর ১১৫তম জন্মদিবস আজ, তাঁর মৃত্যুরও ৪৫ বছর পার হয়ে গেছে। এখনো দুই বঙ্গে তাঁর বইয়ের কাটতি কমেনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে তেমন লেখালেখি চোখে পড়ে না। নূরুর রহমান খান মুজতবা-সাহিত্যের রূপবৈচিত্র্য ও রচনাশৈলী লিখেছিলেন ১৯৯০ সালে। অনেক বছর পেরিয়ে গেল, তাঁকে নিয়ে গবেষণার অনেক সুযোগ থাকলেও হয়নি। হয়তো হবে, কারণ, তিনি একজনই ছিলেন; যে পথেই পা রেখেছেন সে পথে একজনই পরিব্রাজক ছিলেন তিনি। 

জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা।