অবেলায়

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন রোগী আসার কথা। অথচ আমার কিছুতেই অফিসে থাকতে ইচ্ছা করছিল না। সকালে মাঝপথে বাস নষ্ট, দুপুরে খাবারের বাক্সে ভাজি নষ্ট, এরপর সবচেয়ে বিরক্তিকর রোগী মাসুম সাহেবের আকস্মিক উদয় হওয়া—এসব বিপদ দিনভর লেগেই ছিল। মাসুম সাহেব সামনে বসে কথা বললে ছিটে আসা থুতু আমার থুতনি আর গলায় এসে পড়ে। চেয়ার পেছনে সামান্য ঠেলে নিলে তিনি তাঁর চেয়ার ততটুকু এগিয়ে নেন। গোপন কথা বলার মতো করে মুখ সামনে বাড়িয়ে ফিসফিস করে সারা দিনের অনুভূতির বর্ণনা করেন। তাই তিনি চলে যাওয়ার পরে চারটার দিকে অফিসের অন্য সহকারীদের বলে বেরিয়ে পড়লাম। ডাক্তার মানা করলেও হয়তো চলে যেতাম, কারণ কিছুই ভালো লাগছিল না।

আজকাল বরাবর কিছু ভালো লাগে না। রাতে ঘুম নেই, সকালে ঝিমাই, তাই প্রায়ই অফিসে দেরি করে আসি, খেতেও ভালো লাগে না, রোগীদের বর্ণনা নোট করতে গিয়ে অন্যমনষ্ক হয়ে যাই। কিন্তু সমস্যাটা কাউকে বলতে পারছি না। আচ্ছা, যদি ক্যানসার হাসপাতালের সহকারী হতাম আর আমার ক্যানসার হতো, তবে কি তা লুকিয়ে রাখতাম? মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করি বলে আমার মানসিক অবস্থা খারাপ হতে নেই? ডিপ্রেশনের রোগীকে টুকটাক উপদেশ দিই দেখে কি আমার নিজের ডিপ্রেশন হতে পারে না? 

কয়েকটা রাস্তা পেরিয়ে ধানমন্ডি লেক এলাকায় ঢুকে পড়লাম। পায়ে চলার রাস্তার ওপরে বসে থাকলাম। গরম সামান্য কমেছে। হেমন্তের বিকেল গড়িয়ে যেতেই আকাশে মেঘের ভিড়। মেঘের ফাঁক গলে তীর্যক আলোর কয়েকটা ফলা লেকের এখানে–ওখানে পড়ে আছে। দ্রুত সন্ধ্যা হবে বলে তখনই মানুষের আনাগোনা। কেউ কেউ নানা কায়দায় ফোন ধরে একাধারে ছবি তুলছে। মানুষের মনে এত সুখ কেন? অসহ্য লাগল আমার। সেই স্কুলের দিনেও এমন লাগত; ক্লাসের ছেলেরা যখন হাসত, বেশির ভাগ হাসত আমাকে নিয়ে। খুবই অদ্ভুত ছিলাম আমি। বোকা বোকা কথা বলতাম, তেল দিয়ে পাট করে চুল আঁচড়াতাম, ইশারা–ইঙ্গিতের দুষ্টুমি ধরতে না পেরে স্যারকে বলে ফেলে বন্ধুদের নানা বিপদে ফেলতাম। তারপর যত দিন গেছে, একের পর এক ঘটনা ঘটেছে কেবল এটাই প্রমাণ করার জন্য যে আমি খুব বিরক্তিকর আর অকাজের একটা মানুষ। আমাকে কেউ পছন্দ করতে পারে না। গ্রামের বাড়ির পরিচিত বলে ডাক্তার আমাকে রোগীর সমস্যা লেখার কাজটা দিয়েছেন। না হলে এই প্রতিযোগিতাময় শহরে আমার মতো অপদার্থ লোকের থাকার কথা না। অবশ্য এমন একটা দিন যায় না যে কাজে ভুল করার জন্য ডাক্তারের ধমক খাই না।

কিন্তু এখানে আমি আছিইবা কেন! কাউকে চিনি না, রান্না করে খেতে পারি না, সাইরেনের মতো নাক ডাকা শুনে মাঝরাতে মেসের ঘরে নকীব সাহেবের বিশ্রী উদোম ভুঁড়িতে ছুরি বসিয়ে দিতে ইচ্ছা করে, সকালে খবরের কাগজ মেললে সূর্যের আলোকে আলোর বদলে অন্ধকার মনে হয়, তবু আমি এখানে পড়ে আছি কেন? খুন, দুর্ঘটনা, ধর্ষণ—এসবই তো বলে পত্রিকা। আমি বুঝি, কেউ পরিপাটি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘে কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আরাম করছে, এটা কোনো খবর হতে পারে না। আগে হারিয়ে যাওয়া মানুষের উদ্দেশে ‘নিরুদ্দেশ’ খবর হতো, এখন সেটা বদলে ‘গুম’ হয়ে গেছে। ‘কথিত ক্রসফায়ার’ দেখতে দেখতে এই দুই শব্দ এখন আর বাড়তি কোনো অনুভূতি জাগায় না। 

লেকের ওপরের সাদা আলো হলদে হয়ে এল। চারদিকের হই–হট্টগোল অসহ্য লাগতে থাকল। মানুষ স্বাস্থ্যের উদ্দেশ্যে হাঁটছে, দেখে বিরক্ত লাগল। কেন এত বাঁচতে চায় এরা? আমার কেবল মরতে ইচ্ছে করে। পায়ের কাছে ঘাসের খোঁচা লাগতেই মনে হলো, এই ঘাস শীত আসতেই শুকিয়ে যাবে। মাথার ওপরের গাছ একদিন কোনো অজুহাতে কাটা পড়বে। ভূমিকম্পে সামনের বিল্ডিংগুলো একদিন গুঁড়ো হয়ে পড়বে। তবু কেন এত কিছু করে যায় মানুষ? দুই মাস হলো আমি আত্মহত্যার কথা ভাবছি। অনেক উপায়ও ভেবে রেখেছি, নির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষা কেবল। এই যেমন এখানে পানি বরাবর নেমে গেলেই হলো, ছোটবেলায় এতই গাধা ছিলাম যে সাঁতারটাও শিখতে পারিনি। এখন সেই ব্যর্থতা কাজে লাগতে পারে। 

জবজবে চুলের সামান্য হাঁ করা মুখের একটা ছবি দেখলে আমার বোন, রিক্তার কেমন লাগবে? সে কি অনেক কাঁদবে? ভাবতে গিয়ে চমকে উঠলাম। সে কাঁদবে কোত্থেকে! আসলে রিক্তা নামে আমার কোনো বোনই নেই, আছে মাসুম সাহেবের। তাঁর বাড়িতেই থাকে, বিয়ে দিয়েছিলেন, ডিভোর্স নিয়ে ভাইয়ের কাছে ফিরে এসেছে। নাহ্, সত্যি বারবার নিজের মৃত মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে বলে অন্যের প্রতিক্রিয়া বুঝতে ইচ্ছা করছে। ঘাসের ওপরে ভেজা শরীরটা শুইয়ে রাখা হয়েছে, ছবিটা দেখে লাবণীর কি খুব কষ্ট হবে? সে তো আমাকে ভালোবাসে না। তার ভালোবাসা হারিয়েই আজকে আমার এই দশা। ভাবতেই কেঁপে উঠলাম। আরেক রোগী, ফয়সাল সাহেবের স্ত্রী লাবণীর কথা ভাবছি কেন! তিনি তো আমাকে চেনেনই না। ভাগ্যিস বিয়ে করিনি, ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের কাছের মানুষেরা কষ্ট বেশি পায়। কিন্তু আমি কাছের কারও কথা ভাবতে পারছি না, ভাবতে গেলেই অন্যের জীবনে ঢুকে যাচ্ছি, আশ্চর্য। সত্যি বলতে কি, আমার মতো অপদার্থের কাছের মানুষ বলে কেউ থাকবে কেন। 

ফুট সাতেক দূরে একটা মেয়ে এসে বসেছে। কখন বসেছে খেয়াল করিনি। কিন্তু নড়াচড়া করলেই চোখ সেদিকে চলে যাচ্ছে। মেয়েটা বিষণ্ন। ইদানীং চোখমুখ, এমনকি হাত নাড়ানো দেখলেও আমি মানুষের বিষণ্নতা ধরে ফেলতে পারি। মেয়েটা সম্ভবত কাঁদছেও, হাতের উল্টোপিঠ গালে ঠেকাচ্ছে। একা এসেছে হয়তো কাঁদতেই। ব্যাগের চেন খোলার আওয়াজ পেলাম। আড়চোখে দেখলাম ফোন বের করল। সামান্য শব্দ করে কেঁদে দুবার নাক টানল। তারপর ফোনের দিকে তাকাল। ডুকরে উঠে একই মেসেজে কান্নার বেগ বাড়তে থাকল। ওড়নায় মুখ চেপে ধরল। আমার অস্থির লাগল, আগ বাড়িয়ে কিছু কি বলব তাকে? পারলাম না। কে জানে কী ভাববে, তার সমস্যা তার। এটা আমার অফিস না যে অনুভূতির কারণসহ তালিকা করে ফাইল বানাব। তা ছাড়া মানুষের এসব ফালতু আবেগ-টাবেগ এখন আমাকে আর ছোঁয় না। আমি হয়তো আগের চেয়েও খারাপ মানুষ হয়ে গেছি। তাই বেঁচে থাকার উপলক্ষ পাচ্ছি না।  

লাল ইটের রাস্তায় চলতে গিয়ে দু–একজন কৌতূহলী হলো। একজন ইশারায় মেয়েটিকে দেখিয়ে আমার দিকে প্রশ্নবোধক মাথা দোলাল। মেয়েটা আমার এতই কাছে যে মানুষ ভাবতে পারে রাগারাগি করে খানিক সরে বসে কাঁদছে। তবে আমার আর সেসবে মনোযোগ দিতে ইচ্ছে করল না। তবে মেয়েটিকে পাশ থেকে দেখতে আমাদের রোগী, শ্রাবণীর মতো; অটিস্টিক মেয়েকে নিয়ে দিনের পর দিন অশান্তি হতে হতে যার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে। মহিলা চাকরি করেন, মেয়েকে দেখেন, সব পারেন, শুধু নিজের মন খারাপের অসুখ ভালো করতে পারেন না। শ্রাবণী যতক্ষণ ডাক্তারের ঘরে থাকেন, তার মেয়ে ছোটাছুটি করে অফিস তছনছ করে ফেলে। কখনো মনে হয় কষে চড় লাগাই। মানুষের মানসিক সমস্যা সব সময় আমাকে বুঝতে হবে কেন? 

আর বুঝলেইবা কী, এই পৃথিবীর খুন-জখম, যুদ্ধ, প্রতারণা আর ভোগান্তি, কিছুই থামানোর ক্ষমতা নেই আমার। আমি অতি তুচ্ছ, ক্ষুদ্র এক বিরক্তিকর আর অকাজের মানুষ, যার বেঁচে থাকা না-থাকায় কিছু যায়-আসে না। এমনকি গ্রামের বাড়িতেও, ছোট ভাই ব্যবসা করে মা–বাবাকে খাওয়াচ্ছে। আমার ওপরে নির্ভর করা যায় না, এ বিশ্বাস তাদের হয়ে গেছে। এ কথাটা মনে হতেই আমার কপালের শিরাগুলো দপদপ করে উঠল। ঠিক করলাম, আজই, রাত নামতেই আমি সোজা পানির দিকে নেমে যাব। 

সামান্য অন্ধকার হয়ে এলে চারপাশের সমস্ত কিছু আরও বেশি অর্থহীন হয়ে উঠল। নড়েচড়ে, সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে প্রত্যেকে যেন একই ধূসর পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। নিজের অবক্ষয়ের মোড়কে ধূসর নিবু নিবু আলো ক্রমেই সবখানে কালি লেপে দিচ্ছে। ইটের রাস্তায় পায়ের শব্দ প্রায় থেমে গেছে। পাশের বাতাসটা হঠাৎ নড়ে উঠল যেন। তাকিয়ে দেখি মেয়েটি উঠে চলে গেছে। আবছায়ার মধ্যে পরমুহূর্তে আবিষ্কার করলাম তার ফোন পড়ে আছে, যেখানে বসে ছিল। মনে হলো, থাক, পড়ে থেকে থেকে মরে যাক। কী টেকে, কী থাকে এই জীবনে!...খানিক পরে আমিও থাকব না। অথচ মনের মধ্যে মেয়েটির ঘন ঘন গালে হাত বুলিয়ে নেওয়ার দৃশ্যটা আনাগোনা করছিল। কয়েক মুহূর্ত পরে ভাবলাম, এমনিতেই বিপদে আছে বেচারি, ফোন হারিয়ে আরও বেশি ঝামেলায় পড়বে। আমার আর কী, মরতে মরতে কারও সামান্য উপকার করে যাই। ফোন হাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটলাম। অন্ধকারে এলোপাতাড়ি ছুটছি আর এর-ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছি, তার মুখ বা পোশাক কিছুই লক্ষ করিনি ভালোমতো। কেবল মনে আছে আমাদের রোগী, শ্রাবণীর মতো কোঁকড়ানো চুল আর উঁচু নাক, পাশ থেকে আড়চোখে দেখেছি। ওই স্মৃতিটুকু সম্বল করে ফোন হাতে দ্রুত পায়ে সাদৃশ্য খুঁজে বেড়াচ্ছি। 

খুঁজতে খুঁজতে গলিতে এসে উঠলাম। রাস্তার আলোয় দেখলাম মেয়েটি রিকশা খুঁজছে, পাশ থেকে দেখা স্মৃতি মিলে গেল। ‘আপনার ফোন?’ হাতে ধরা ফোন বাড়িয়ে জানতে চাইলাম। সে ধীরে ধীরে সরু হাত যন্ত্রের মতো বাড়াল, ফোনটা ফিরে পেয়েও মুখের বিষণ্ন অভিব্যক্তি বদলাল না। হয়তো কিছু বলার জন্য আমার মুখের দিকে চোখ ওঠাল। আর ঠিক তখনই ভয়ংকর কোনো শব্দে আমরা থমকে গেলাম। খানিক দূরের দ্রুতগামী মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে উল্টে চালক প্রায় তিরিশ ফুট পিছলে আমাদের পায়ের কাছে এসে থামল। রক্তে তার সারা শরীর মাখামাখি। কানের পাশ থেকে রক্ত চুইয়ে পড়ছে। মেয়েটা নিচু হয়ে কাতরাতে থাকা লোকটার মাথাটা তুলে ধরল, রক্ত পড়তে থাকা জায়গাটা ওড়নায় চেপে ধরল। খানিক আগে যাকে ডেকেছিল সেই রিকশাটা পাশেই দাঁড়ানো। আমি আর রিকশাওয়ালা মিলে লোকটাকে রিকশায় ওঠালাম। সিটে মেয়েটি তাকে ধরে বসল, আমিও লাফিয়ে উঠে পাশে দাঁড়ালাম। যেতে যেতে রাস্তায় জমে যাওয়া লোকদের উদ্দেশে দুর্ঘটনায় পড়া মোটরসাইকেলটা সরিয়ে রেস্তোরাঁর দিকে রাখতে বলে গেলাম। প্রায় অচেতন লোকটা যেন রিকশা থেকে পড়ে না যায়, কোনো রকমে নিশ্চিত করছিলাম। কাছেরই কোনো হাসপাতাল আমাদের লক্ষ্য। রিকশাগুলো ওই এলাকায় প্রায় গাড়ির বেগে চলে। সময় লাগেনি বেশি, রক্তাক্ত মানুষটিকে দ্রুত স্ট্রেচারে উঠিয়ে হস্তান্তর করা গেল। 

ক্লিনিকের উজ্জ্বল আলোয় দেখলাম মেয়েটির ওড়না আর জামায় রক্ত লেগে আছে। অবাক হলাম, মুখে তার সেই বিষণ্নতা নেই। বরং কোনো কাজের সফলতার ক্লান্তি যেন, ওড়না দিয়ে মুখের ঘাম মুছল। তারপর ফোনটা হাতে দুলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ধন্যবাদ’। দুর্ঘটনায় পড়া লোকটির অবস্থা বোঝার জন্য আমি কিছুক্ষণ থাকব ভাবছিলাম, কিন্তু মেয়েটির হয়তো তত সময় ছিল না। ক্লিনিকের সামনেই রিকশায় উঠল। আমি তার সমস্যা জানি না অথচ দেখে মনে হলো তা নিয়ে সে আর মোটেও বিচলিত নয়। চোখের সামনে থেকে রিকশাটা সরে গেলে মনে পড়ল নিজের কথা ধানমন্ডি লেকের দিকে আমি কি আবার ফিরে যাব? ভাবতেই শীতল পানির ঘেরাটোপে ডুবতে থাকা দমবন্ধ একটা অনুভূতি হলো। এই অনুভূতিটা তখন হয়নি যখন ডোবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। নিজেকে বললাম, জানি সবকিছু অর্থহীন, সব ধ্বংস হবে, কিছু করার সাধ্য নেই আমার, তবু কেন লোকটাকে বাঁচাতে চাইলাম? কেন তার মোটরসাইকেলটার সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলাম? ক্লিনিকের ভেতরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়া লোকটার চিকিৎসা চলছে ভেবে জোরে একটা শ্বাস নিলাম। মনে হলো দমবন্ধ অনুভূতির চেয়ে শ্বাস নেওয়া সহজ। পৃথিবীতে কত নদীর পানি উবে গেছে, কত যুদ্ধে কত ধ্বংস হয়েছে, কত মানুষ হিংসা-প্রতারণার শিকার হয়েছে, তবু, এখনো এখানে কত কিছু গড়ার আছে, করার আছে ছোট্ট কিছু আবারও বুক ভরে শ্বাস নিলাম।