দেশে-বিদেশে

সেলিনা হোসেন। ছবি: অন্য আলো
সেলিনা হোসেন। ছবি: অন্য আলো

কলকাতায় আজ ‘মতি নন্দী সাহিত্য পুরস্কার’ নেবেন সেলিনা হোসেন
পরপর দুই সপ্তাহে দুটি বড় পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আজ কলকাতায় তিনি গ্রহণ করবেন ‘মতি নন্দী সাহিত্য পুরস্কার’। ১৫ নভেম্বর সাতই মার্চের বিকেল উপন্যাসের জন্য তিনি ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। এদিন বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সপ্তাহ ঘুরতেই বাংলাদেশের বরেণ্য এই কথাশিল্পীর হাতে উঠবে আরেকটি পুরস্কার, যার নাম আগেই বলা হয়েছে—‘মতি নন্দী সাহিত্য পুরস্কার’। কলকাতার সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মতি নন্দীর নামে প্রবর্তিত পুরস্কারটি সেলিনা হোসেনকে দেওয়া হবে আজ বিকেল চারটায়। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পুরস্কার গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছেন সেলিনা হোসেন। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি সম্পর্কে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি পেলে আসলেই ভালো লাগে, আমি আনন্দিত।’

অতীশ তাসির। ছবি: সংগৃহীত
অতীশ তাসির। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় নাগরিকত্ব হারালেন তাসির
ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক অতীশ তাসিরের ওসিআই (ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া) স্ট্যাটাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। তাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বাবা পাকিস্তানের নাগরিক—এই তথ্য তিনি গোপন করেছেন। অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অতীশ তাসির। তিনি বলেন, ‘কী অদ্ভুত কথা! বিশ্বজুড়ে সবাই জানে আমার বাবা পাকিস্তানের নাগরিক, আর ভারত রাষ্ট্র তা জানত না?’

বলে রাখা ভালো, তাসিরের মা ভারতীয় ও বাবা পাকিস্তানি। তাঁদের নাম তভলিন সিং ও সালমান তাসির। ২১ বছর বয়স পর্যন্ত বাবার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না তাসিরের। মা ও নানির কাছে দিল্লিতেই বড় হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তাসিরের বাবা সালমান ছিলেন পাকিস্তানের সাংসদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের রাজ্যপ্রধান। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অধার্মিকতাবিরোধী আইনের (ব্লাসফেমি লজ) বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য সালমানকে হত্যা করেন তাঁরই দেহরক্ষী।

এ বছরের মে মাসে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিখ্যাত টাইম সাময়িকীতে ‘ইন্ডিয়াস ডিভাইডার ইন চিফ’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন অতীশ তাসির। ধারণা করা হচ্ছে, ওই লেখার কারণেই তাঁর ওপরে নেমে এল খড়্গ।

এদিকে অতীশের হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাহিত্যিকেরা। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা সিদ্ধান্তটি আরেকবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই সাহিত্যিকদের তালিকায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অরহান পামুক এবং জে এম কোয়ৎসি। আছেন সালমান রুশদি, মার্গারেট অ্যাটউড, অনিতা দেশাই, অমিতাভ ঘোষ প্রমুখ লেখকেরাও।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ও এএফপি

শার্ল বোদলেয়ার। ছবি: সংগৃহীত
শার্ল বোদলেয়ার। ছবি: সংগৃহীত

নিলামে উঠছে বোদলেয়ারের অগ্রন্থিত শ্লোক
বিশ্বখ্যাত কবি শার্ল বোদলেয়ারের ‘দ্য জুয়েল’ শিরোনামে কবিতার চারটি অগ্রন্থিত লাইন পাওয়া গেছে। ওই লাইন চারটিসহ বোদলেয়ারের কবিতার বই লা ফ্লোয়ার্স দ্যু মাল নিলামে তুলতে চাইছেন বইটির বর্তমান মালিক। আজ ২২ নভেম্বর নিলাম ডাকার কথা রয়েছে। এটির আনুমানিক দাম ধরা হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার পাউন্ড।

ফরাসি কবি বোদলেয়ারের কবিতার ওই বই প্রকাশের মাত্র দুই মাসের মাথায় ১৮৫৭ সালে নিষিদ্ধ করেছিলেন ফ্রান্সের আদালত। কিন্তু তার আগেই ‘দ্য জুয়েল’ কবিতার সঙ্গে অতিরিক্ত চারটি লাইন যুক্ত করে বইটির একটি কপি বোদলেয়ার পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বন্ধু গ্যাস্টন দ্য সেইন্ট ভ্যালরির কাছে। সেই বই ও অগ্রন্থিত চারটি লাইন আজ নিলামে তুলছেন গ্যাস্টন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
গ্রন্থনা: মারুফ ইসলাম