বইয়ের দুনিয়া

বার্নারডাইন এভারিস্তো। ছবি: সংগৃহীত
বার্নারডাইন এভারিস্তো। ছবি: সংগৃহীত

বিবিসির ওপর চটেছেন বুকারজয়ী লেখক বার্নারডাইন এভারিস্তো
বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী পুরস্কার জিতেছেন, যাঁর নাম বার্নারডাইন এভারিস্তো। আইরিশ এই লেখক এ বছর মার্গারেট অ্যাটউডের সঙ্গে যৌথভাবে বুকার পুরস্কার পান। কিন্তু সম্প্রতি বিবিসির এক অনুষ্ঠানে বুকার পুরস্কার নিয়ে আলোচনার সময় উপস্থাপক বলেন, এ বছর বুকার পুরস্কার জিতেছেন মার্গারেট অ্যাটউড ও ‘অন্য এক লেখক’। এ ঘটনায় বেজায় চটেছেন এভারিস্তো। তিনি তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘গতকাল বিবিসি আমাকে সাব্যস্ত করেছে ২০১৯ সালের বুকার পুরস্কারের “অন্য লেখক” বলে। কত দ্রুত এবং কত অবলীলায় তারা ইতিহাস থেকে আমার নাম মুছে ফেলেছে! অথচ আমি কিনা প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন। এটা হচ্ছে সেই আচরণ, যা আমাদের সঙ্গে সব সময়ই করা হয়।’এ ঘটনায় অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিবিসির একজন মুখপাত্র। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

‘এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’–এর প্রদর্শনী
লুইস ক্যারলের হাতে লেখা এবং জন টেনিয়েল, রালফ স্টিডম্যান ও ডিজনির আঁকা ‍চিত্রসংবলিত এলিসেস অ্যাডভেঞ্চারস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড-এর দুর্লভ পাণ্ডুলিপি নিয়ে প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। আসন্ন ২০২০ সালের ২৭ জুন থেকে ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট জাদুঘরে ‘এলিস: কিউরিসার অ্যান্ড কিউরিসার’ শিরোনামের এ প্রদর্শনী হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রদর্শনীটি দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের নাম ‘ক্রিয়েটিং এলিস’। এ অংশে এলিসের সত্যিকারের পরিবার, এলিসের গল্প লিখতে লুইস ক্যারলকে যেসব স্থান অনুপ্রাণিত করেছিল, যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভূমিকা রেখেছিলেন—এ সবকিছু ডিজিটাল মাধ্যমে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। আরও থাকবে জন টেনিয়েল, রালফ স্টিডম্যান ও ডিজনির হাতে আঁকা সত্যিকারের ছবি, যা এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড বইয়ের মূল পাণ্ডুলিপিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

প্রদর্শনীর দ্বিতীয় অংশের নাম ‘বিয়িং এলিস’। এখানে এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড কীভাবে শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও জনপ্রিয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠল, সেগুলো প্রদর্শিত হবে। এলিসের গল্পটি ১৫৮ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সব বয়সী মানুষের কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত ও পঠিত হয়ে আসছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

শাহাদুজ্জামান। ছবি: অন্য আলো
শাহাদুজ্জামান। ছবি: অন্য আলো

ইংরেজিতে অনূদিত হচ্ছে শাহাদুজ্জামানের ‘একজন কমলালেবু’
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের বহুল আলোচিত বই একজন কমলালেবু এবার ইংরেজিতে অনূদিত হচ্ছে। অনুবাদ করছেন ব্রিটেনের সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক এমি পারসনস ও ঢাকার লেখক মার্জিয়া রহমান। প্রায় দুই বছর ধরে তাঁরা যৌথভাবে এই অনুবাদকর্ম করছেন এবং অনুবাদও প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন এমি পারসনস। আগামী বছরের যেকোনো সময় বইটি প্রকাশিত হবে, তবে কোন প্রকাশনী থেকে বের হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এমি লিখেছেন, ‘আমি প্রায় হাল ছেড়ে দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু মার্জিয়া আমাকে সাহস জোগাল। অনুপ্রাণিত করল। আমি আবার শুরু করলাম একজন কমলালেবুনুবাদ।’

অন্যদিকে শাহাদুজ্জামান তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন বাংলা জানা ইংরেজ অনুবাদক আর একজন ইংরাজি জানা বাঙালি অনুবাদক মিলে লেখকের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে করা এই অনুবাদপ্রক্রিয়া আমার জন্য ছিল চমৎকার এক অভিজ্ঞতা।’

২০১৭ সালে শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস একজন কমলালেবু প্রথমা প্রকাশন থেকে বের হয়। প্রকাশের পরপরই তর্ক–বিতর্কের জন্ম দেয় বইটি।
গ্রন্থনা: মারুফ ইসলাম