শুধুই হেরে যাওয়া
আমি শুধুই হেরে যাই
ভালোবাসার কথা জানাতে গিয়ে তাকে
দেখি আগেই তা বলা হয়ে গেছে,
উজ্জ্বল যুবক এক দাঁড়িয়ে হাসে অট্টহাসিতে
বিজয়ের গৌরব তার চোখমুখে।
অধোবদন আমি পথের মানুষ,
নিকষ অন্ধকার পথই আমার সম্বল
চলতে চলতে হোঁচট খেতে খেতে
ভাবি নিয়তি আমার শুধুই কি হেরে যাবার!
আমি শুধুই হেরে যাই।
জোছনা রাতে হাঁটব বলে গিয়ে দেখি
তার হাত ধরা হয়ে গেছে অন্য হাতে।
বলা হয় না ওই হাত ধরতে চেয়েছিলাম আমিও,
আমিও রাখতে চেয়েছিলাম অধরে অধর তার,
নয়নে নয়ন।
হায়, সহজে কিছুই যে হয় না আমার—
তাই হয় না তার কাছে যাওয়া!
ফিরে ফিরে আসি ভগ্ন হৃদয়।
শুধুই হারি
হেরে যাওয়াই অমোঘ নিয়তি আমার।
নিয়তিও তাই ভ্রুকুটি করে বলে,
আঁধারকালো নয়নে হা করে হাসে:
ভাগ্য তোমার শুধুই হেরে যাওয়ার
কেন মনে থাকে না তোমার!
তাই তো মরমে মরে গিয়ে বলি:
আমি কি শুধু হেরে যাওয়ার ভাগ্য নিয়েই এসেছি!
তারপরও দীর্ঘ করিডোর হেঁটে নতুন ঠিকানায়
নতুন পথের শেষে দেখি প্রেয়সীর ক্ষীণ আভাস।
কিন্তু হায় ললাটের লিখন পিছু নিয়ে আসে
দুমড়ে–মুচড়ে গিয়ে দেখি—
আবারও উজ্জ্বল যুবক দাঁড়ায় তার পাশে,
আবারও দেরি হয়ে গেছে আমার!
হতাশায় কুঁকড়ে গিয়ে মানি, এই তো হবার কথা ছিল
এই তো নিয়তি—শুধুই হেরে যাওয়ার।
আমি শুধুই হেরে যাই
আমার শুধুই দেরি হয়ে যায়।