যে বরষায় ভিজে যায় বিষণ্ন ফুল

১.
পত্রিকার সব কটি পাতায় আগুন। মোদির আগুন, সু চির আগুন, ডানের আগুন, বামের আগুন। দেশের আগুন, ঘরের আগুন, পরের আগুন; সবচেয়ে বেশি আগুন অফিসে; রহমান ভাইয়ের ডেস্ক!

লোকটা অসহ্য রকম বিরক্তিকর। সারা দিন অফিসে পান চিবোয় আর সাপলুডু খেলে। চলতি যেকোনো ভাইরাল ইস্যুতে তার ঘুসঘুস-ফুসফুস। অদ্ভুত লোক। তাকে দেখলে ভুলেই যাই এটা কোনো করপোরেট অফিস। মনে হয় মহল্লার চায়ের টং। লোকটার ঠোঁটের দুগাল বেয়ে পানের রস গড়িয়ে পড়ে থুতনি অবধি। কাছে এলেই বিচ্ছিরি গন্ধ। কথা বলার সময় আমার শার্টে যখন লালা ছিটকে আসে, আমার মেজাজ যায় চড়ে, হাত–পা কেমন করে কিছু একটা ভাঙার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে আমি অফিস ফাইলের পাতা ছিঁড়ি, উল্টো করে ছাগল গুনি; এক শ নম্বর ছাগল, নিরানব্বই নম্বর ছাগল, আটানব্বই নম্বর ছাগল, সাতানব্বই, এক নম্বর পর্যন্ত এলে রহমান ভাইকে কুচিকুচি করা শেষ হয়। একবার অফিসের এক গুরুত্বপূর্ণ পেপার কুচি কুচি করার কারণে আমার চাকরি যায় যায় অবস্থা। এরপর রহমান ভাইয়ের সে কী হাসি, পান খাওয়ার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। আমি অক্ষম রাগে ফুসি শুধু। যাহোক এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের মাঝেও অনেক গুরুত্বহীন ঘটনা ঘটে যায় আমার। এই যেমন রানুকে নিয়ে এসেছে সোহেল, বিয়ে করবে তাকে। উঠেছে আমাদেরই ফ্ল্যাটে। আমি হতভম্ব হয়ে দেখছি, সোহেল রানুর হাত পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে আমার চোখের সামনে ঘরের এদিক-ওদিক ঘোরে। আরও হতভম্ব হয়ে দেখি, মা-বাবাও যেন কেমন করছেন তাকে নিয়ে। বউমা বউমা করে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন; কী প্রগাঢ় মমতা তাদের! আমি রাগে উল্টো দিক থেকে ছাগল গুনি এক শ নম্বর ছাগল নিরানব্বই নম্বর ছাগল, আটানব্বই নম্বর...। গোনার মাঝখানে রানু তিনবার হাত নাচায়, চারবার মুখ, পঞ্চমবারে সোফায় তুলে দেয় পা। আলতা পরে আয়েশ করে। আমার আর ধৈর্যের বাঁধ থাকে না। মুখ খুলতেই হলো: 

—রানু, এসব কী?
রানু তার গায়ের দুহাত ওড়না বিশ হাত বানিয়ে মাথায় বিশাল একটা ঘোমটা টেনে বলে:
—অ্যাকচুয়ালি ভাইয়া আমি আর ও মিউচুয়ালি বিবাহ করতে যাচ্ছি। হোস্টেল মামা রোজ রোজ ডেটিং শেষে মধ্যরাতে রুমে ফিরতে দিচ্ছে না! কী আর করা, চলে এলাম আপনাদের বাসায়। আসলে বয়স হলে স্বামী-সংসার-সন্তান কে-না চায় বলেন!
আমার মাথা চিড়বিড় করে।
—চা খাবেন, ভাইয়া? রানুর ডাকে তিন আলিফ টান। মাথা গরমের পারদ উঠছে!
—দিই একটু ঢেলে?
একটা ফ্লাওয়ার ভাস ছুড়ে মারি দূরে। বিক্ষিপ্ত টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যায় এখানে-সেখানে। রানু মুহূর্তমাত্র দেরি না করে আরেকটা জার তুলে নেয় হাতে, ঠিক আমারই মতো আমারই ভঙ্গিমায় থ্রো করে দেয়ালে, সমান যোগ্যতায়! যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। আমি নিজেকে কাশ্মীরি মজলুম ভেবে পা বাড়াই অফিসের পথে। অফিসে এসে আবার সেই রহমান ভাই!

—আরিফ সাহেব, শুনেছেন নিশ্চয়ই? মাত্র গতকালের গরম ঘটনা!
—কিসের গরম?
—আরে ভাই শরমের!
—কিসের শরমের?
—ওই যে নরম নরম বাঁশ!
—কে কাকে বাঁশ দিল, না ফাঁস নিল, পূর্বেকার ইতিবৃত্ত না জেনে লোকটার হাঁসের মতো প্যাঁকপ্যাকানি শুনতে ইচ্ছে হলো না। চোখে ভাসছে রানুর গোড়ালির মধ্যে ঝুলে থাকা ঝুনঝুনি মার্কা পায়েলের শব্দ। আলতার রং। ওগুলো ভ্যালেন্টাইন গিফট ছিল। আর্চিজ থেকে নেওয়া, সোহেলের পছন্দ!

মা কেন এমন করলেন? তিনি কি জানেন না সব? মাকে আমার নেপালের কূটনীতিক সরকারপ্রধান মনে হয়, সোহেলকে মনে হয় মোদি। বাবা বাংলাদেশ। যাক এখন তেল-নুন দিয়ে রানুকে পুষুক। আমার আবার বায়ু চড়ে। ছাগলের তিন নম্বর পর্যন্ত সংখ্যায় এসে নিজের চেহারাটা মনে করে উদ্ভট জন্তুসদৃশ অনুভূত হয়। বুঝে যাই আমাদের পরিবারে এখন রানু নয়, আমিই রোহিঙ্গা। ঝনঝন করে পেপারওয়েটের হেভি ওয়েটে ল্যাপটপ গুঁড়ো হয়ে যায়। আমি ভাঙাচোরা ল্যাপটপ নিয়ে তাকিয়ে দেখি, রহমান ভাই হাসছে। ঠোঁটে কুৎসিত পানের পিক!

বাধ্যতামূলক ছুটিতে বাসায় পাঠানো হয় আমায়। চাকরিটা টিকবে কি না এখনো অনিশ্চিত। রানু স্যুপের বাটিতে পানি নিয়ে আসে, যথারীতি মাথায় বিশ হাত কাপড়।
—ভাঁ-ইঁ-য়াঁ পানি!
—এ বাটিতে কেন?
—ঘরে পানি খাওয়ার আর কোনো গ্লাস নেই, সব আপনি কুচি কুচি করে ভেঙেছেন ভাঁ ইঁ য়াঁ, তিন আলিফ! আর শোনেন পানি খাওয়ার মতো এইটাই শেষ বাটি, ভাঙবেন না তো! খবরদার, এই ঘরের বউ হয়ে আসছি আমি, এসব সামলে রাখার কঠিন দায়। রানু আঙুল তুলে শাসায় এরপর ‘বন্ধু রঙিলা রঙিলা রঙিলা রঙিলারে আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কই গেলারে’ গাইতে গাইতে রান্নাঘরের দিকে চলে যায়, ঝনঝনাৎ শব্দে কেউ ছুটে না এলে তার এই রঙিলা নাচন-কুদন হয়তো আর কখনোই থামতই না; অনন্তকাল চলত।
বউমা, কী ভাঙল? কে ভাঙল? কেন ভাঙল?
আদেখলাপনা নিয়ে ছুটে আসেন ঘরের দুই সিনিয়র সিটিজেন। মা-বাবা। ‘বউমা তোমার লাগল?’ আহা মিহি মিছরির দানার মতো বাবার রিনরিনে আহ্লাদী গলা! আমি উল্টো করে ছাগল গোনার প্রস্তুতি নিতে নিতে বাবার দ্বিতীয় আহ্লাদ শুনি ‘চোখের কথা না হয় হয় বাদই দিলাম বউমা, এ সময় হাত-পাগুলোও একটু সামলে রেখো মা, চারপাশে এত এত উন্মাদ!’
বাবা ফোঁস করেন।
—সামনে তোমার মুখেভাত, সরি বউভাত; ভাবছি শাজাহান ভাইকেও দাওয়াত করব। তিনি এসে ল্যাংড়া-লুলা বউ দেখলে কেমন হবে, এমনিতে অবশ্য তিনি হাসিখুশি মুখ, মন্ত্রী মানুষ। শিডিউলটা দিয়ে দিলেই প্রোগ্রাম।
—মা কাগজ দাও, কিছু একটা দাও, এক্ষুনি দাও!
—এ কী খোকা, অমন করছিস কেন, তোর ছোট ভাইয়ের বিয়ে আর তুই দাঁত কিড়মিড় করছিস? ছি বাবু, অমন করে না।
—মা, তোমাদের এই রঙিলা বউ নিয়ে এ ঘর থেকে যাবে, নাকি ঘরের দেয়ালটাকেই আছাড় মারব আমি। এ বাড়ির সবাই এই চন্দ্রবিন্দু মার্কা যাত্রাপালা শিখল কবে, তাই তো বুঝতে পারছি না।
—শোন বাবু, রাগ করিস না। রানু মেয়েটা ভালো, তার বাবা-মা তাকে প্রেম করার অপরাধে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে, আপাতত এতিম, কোনো গোমড়া মুখের রামছাগল ওর বাবা-মা বর হিসেবে মানবে না বলেই তো সোহেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাচ্ছি, তুই বল আমাদের সোহেল কেমন রাজপুত্রের মতো না?
—হু, হু তোমাদের সোহেল রাজা চন্দ্রকেতু, সোনাভান!
—ছি ছি, ও কী বলিস? ও চন্দ্রকেতু হোক, সোনাভান কেন হবে, ও কি মেয়ে? বালাই ষাট!
—না না গাণ্ডু। আমার সামনে যদি পড়ে হারামজাদা। হাড়গোড় গুঁড়া করে দেব। আরে কাজল দিলেই তাজলের পাট হয় না উজবুক।
মা আর কথা বাড়ায় না, রানুকে নিয়ে কেটে পড়ে, রানুর চোখে-মুখে ফুটে ওঠা ছেনাল মার্কা হাসি আবার আমার আত্মা জ্বালিয়ে দেয়, ওর হাসিতে আমি স্পষ্ট শুনতে পাই সে মনে মনে গাইছে ‘নিশি রাইতে আইসো বন্ধু বনে, পাতিলে নাই ভাতরে, এক বালিশে শুয়ে থাকব দুজন, গায়ে দিয়ো না হাত রে!’ আমি আর স্থির থাকতে পারি না, রাতের অন্ধকারে সোহেল আর রানুর শ্লীল-অশ্লীল দৃশ্য কল্পনায় ঘেমে উঠি, জ্বর আসে গায়। ওয়াশরুমে শাওয়ার ছেড়ে ভিজতে থাকি, ভিজতে থাকি, ভিজতেই থাকি।

২.
রানুর বিয়ে পয়লা শ্রাবণ। বর্ষার শুরুতেই। আশা করা যায় সেদিন তুমুল বর্ষণে ভিজে যাবে পৃথিবী। রানুর জন্য সেদিন হয়তো বড় করে চাঁদ উঠবে না, বিরহে থাকবে ঘোলাটে আকাশ, তবু রানুর ওই দিনটাই পছন্দ। এমনই এক দিনে খুব শৈশবে খেলতে গিয়ে এক চোখ হারিয়েছিল রানু, সেই বিভীষিকার দিনই ধার্য! নিতান্তই কদম ফুল নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল দুই খুদে বালক-বালিকার! তারপর! উফ্‌ ভয়ংকর! থানা-পুলিশ সেদিন হয়তো হয়নি, কিন্তু তার পরের ঘটনাগুলো ভেবে ভেবেই আমার কত শ্রাবণ অকূলে গেল তার হিসাব কোথাও লেখা নেই। এক চোখের রানু তবু সুন্দর; অবিশ্বাস্য সুন্দর। ও যখন কাঁদে, তখন পৃথিবী ভিজে যায়, আমি ভিজে যাই, সোহেল ভিজে যায়, ভিজে যায় আমার মা আর বাবা। আশপাশের করুণার চোখ উপেক্ষা করে করেই রানু বড় হয়েছে, রানু ঠিক রানুর মতো, কখনো চোখ ঢাকেনি, কখনো মুখ ঢাকেনি লজ্জায়! কতই–বা বয়স ছিল, সোহেল আর ও, একই। এমনকি এক বাসায়ই থাকতাম আমরা। আর আজ? পথ বেঁধে দিয়েছে দূরত্বের গণ্ডি। রানুকে রোজ দেখতে যেতাম আমি। ও যেদিন প্রথম শাড়ি পরেছিল, সেদিন আমি হাত-পা কামড়ে মড়ার মতো পড়ে ছিলাম বিছানায়, এই সুন্দর আমার জন্য নয়, দানব আমি। হ্যাঁ আমিই। মৃগী রোগের মতো এক অদ্ভুত গোঁয়ার্তুমি রাগ আমার, কত ডাক্তার-কবিরাজ দেখল, কত তাবিজ-কবচ ঝোলালাম কোমরে, বাজুবন্ধে—কিছুতেই কিছু হলো না। নিজেরই অবাক লাগে কেন সেদিন ফেলে দিয়েছিলাম ওই ছোট্ট পুতুল, আছড়ে মেরেছিলাম ছুড়ে। কেন? এত রাগ ওইটুকু বয়সে করা যায়! কী করেছিল সে? সোহেলের সঙ্গে ঝগড়া করে আমার দিকে তাকিয়ে একটু ভেঙচিই তো কাটছিল! পড়ল তো পড়লই; ফুলের টব ভেঙে একদম গলে গেল চোখ। আমি এমন কেন? কেন আমার এমন হয় জানি না, শুধু ভাঙতে ইচ্ছে হয় ফুল পাখি আর নদী। ঘরের বাসন-কোসন। এক অস্থির বিষ বয়ে যাই শরীরে। ছিঁড়েছুড়ে তছনছ করে দিই কত মমতা-প্রেম-স্নেহ! এরপর হাত কাটি, পা কাটি, মাথা কুটি। মা বাঁচায়, বাবা বাঁচায়, বাঁচায় রানুও। ওকে আমি দুহাতে সরাই তবু আসে। বারবার আসে। কতবার রানুর পায়ে পড়েছি, ‘রানু আমাকে মরতে দাও’ দেয় না। কতবার জড়িয়ে ধরেছি হাত, করুণা ভিক্ষা করেছি ‘রানু, আমায় মেরে ফেলো, শান্তি দাও’
—মারব, দেব, তুমি আমায় বিয়ে করো তারপর। তার আগপর্যন্ত মরণ নেই তোমার!
—না, আমি দানব তুমি ফুল, বিয়ে করব না, ঘুমের ঘোরে যদি মেরে ফেলি তোমায়? এসো না আমার কাছে। আমার ঘরে।
—আসব, মারবে না জানি, বিয়ে করেই দেখো না, দেখবে তোমার ভেতরে কেমন এক নতুন তুমির জন্ম দিচ্ছি আমি; দেখো।
—উঁহু, বিশ্বাস করি না, করি না।
—করবে, কারণ আমি জানি পৃথিবীর একমাত্র তুমিই আমায় করুণা করো না, ভালোবাসো!
—না বাসি না, একদম না!
—বাসো। ভালোবাসা খুব বিশ্রী ব্যাপার। হাড়-মাংস-রক্ত ছাপিয়ে ভেসে ওঠে চোখে। এই যে তুমি আমায় দেখতে ছুটে ছুটে যাও রোজ, আমিও আসি; ওটা প্রেম, এই যে আমার হাত ধরতে গিয়েও গুটিয়ে নাও হাত, আমিও যাই সরে, ওটা দ্বিধা। এই যে আমায় নিয়ে ঝুম বরষায় ভিজতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, আমিও ভিজি সমান; ওটাই কান্না। অনুতাপ বা করুণা দিয়ে প্রেম হয় না, প্রেম হয় শুধু প্রেমে। চলো যেকোনো এক জায়গা থেকে শুরু করে দিই জীবন। আমরা আমাদের ভেতর-বাইরের অসুন্দরের সংক্রমণ হটিয়ে দিই ভালোবাসায়। চলো এক হই দুজন; একসঙ্গে।
আমি রাজি হইনি, আমার শুধু মনে হয়েছে ‘আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম!’

৩.

—এত নাটক করার কী প্রয়োজন ছিল, রানু?
—ছিল তো, ভাশুরের সঙ্গে অসুর না হলে ঠিক জমে না।
—তা ভাশুর ঘরে এমন করে বসে থাকতে কসুর হয় না?
—উঁহু, এটা আমার শ্বশুরেরও ঘর।
—আর দেবর?
—ও আর বোলো না। তুমি সেই ঘাতক, তুমি সেই পাতক, যার জন্য খুঁড়তে হলো দেবর-ভাবির প্রণয়-কবর! মাইরি, কী ডায়ালগ দিলাম বস!
—ছি, বস্তাপচা সিরিয়াল দেখে এসব শেখো।
—ওরে না না না বলিসনে, বলিসনে আজ। রানুর পরমপতির পদচরণে সব জায়েজ, বাধা দিসনে, বাধা দিসনে!
—রানু চুপ!
—আচ্ছা চুপ!
—ঘর!
—হুঁ ঘর!
—বর!
—হুঁ বর!
—বউ!
—হুঁ বউ!
—সুন্দর!
—হুঁ সুন্দর!
—বর্ষা!
—হুঁ বর্ষা!
—শ্রাবণ!
—হুঁ শ্রাবণ!
—বৃষ্টি!
—হুঁ বৃষ্টি!
—কান্না!
—উঁহু জল!
—পানি?
—নাহ, পানিও না পান!
—পান? এখানে? কে দিল? কখন?
—তোমার অফিস কলিগ রহমান ভাই; বিয়ের স্পেশাল গিফট, খাবে?
—এখানেও...গুনতে শুরু করেস সে এক শ নম্বর ছাগল, নিরানব্বই নম্বর ছাগল, আটানব্বই, সাতানব্বই
রানু পান মুখে হাসছে, হাসছে তো হাসছেই; এই হাসে তো এই কাঁদে!

—আহা, এক চোখের কান্না এত সুন্দর!
আমার চোখ ভিজে যায় জলে। এই তো কান্নার জলে ছাগলগুলো হয়ে যাচ্ছে কদম!
এক শ নম্বর ফুল!
নিরানব্বই নম্বর ফুল!
আটানব্বই নম্বর ফুল! ...