গোপন কথাটি

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

এই বুড়ি, হাসছ কেন?

কোথায় হাসছি?

হ্যাঁ, হাসছ। প্রায়ই দেখি একা একা হাসো। কখনো দেখি মুখটা কাঁদো কাঁদো। একদিন কাঁদতেও দেখেছি। আর আনমনা হয়ে কী যেন ভাবো। কী ভাবো গো?

ঐশীর হাতে চকবার আইসক্রিম। কামড় দিয়ে দিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে। স্বাস্থ্যবতী মেয়েরা সারাক্ষণ একধরনের আনন্দে থাকে। ঐশীর আনন্দ একটু বেশি।

সুরমার বয়স উনসত্তর। শরীরভর্তি অসুখ। ডায়াবেটিস, প্রেসার। থাইরয়েডের সমস্যা আছে, স্পন্ডিলাইসিস আছে। গাদা গাদা ওষুধ হাতের কাছে। সারাক্ষণ শুয়েই থাকেন। সামান্য হাঁটাচলায় ক্লান্ত হয়ে যান। এখনো শুয়েই ছিলেন। নাতনিকে দেখে উঠলেন। পুরোপুরি বসলেন না। পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে খাটে হেলান দিলেন। তুই এলি কখন?

বেশিক্ষণ না। ভাত খেয়ে পেট ভরেনি। শোল মাছটা আমার সবচেয়ে অপছন্দ। বুয়া রোজ সেটাই রাঁধছে।

রোজ কোথায় রাঁধছে? পাঁচ–সাতদিন আগে রেঁধেছিল, আর আজ। 

আইসক্রিম শেষ দিকে। বাকি অংশ ভেঙে পড়তে পারে। এ জন্য কামড় দেওয়ার সময় বাঁ হাত আইসক্রিমের তলায় ধরে রাখছে ঐশী। বিকেলবেলার এক টুকরো আলো এসে ঢুকেছে ঘরে। সেই আলোয় শ্যামলা মেয়েটিকে ভারি সুন্দর লাগছে!

আইসক্রিম শেষ করে ওড়নায় মুখ মুছল ঐশী। সুরমার পাশে বসল। বললে না, কেন হাসো? কেন কাঁদো?

অনেক কথা মনে হয় রে বোন। ফেলে আসা জীবনের কথা। পুরোনো কথা।

তবে যে মাঝেমধ্যে বলো, তুমি অনেক কিছু ভুলে যাও। চেনা মানুষের নাম মনে করতে পারো না। বাবাকে কী কথা বলার জন্য ডেকেছ, ডেকেই ভুলে গেছ। কী বলবে?

এই একটা আজব কারবার, বুঝলি! এখনকার অনেক কথা ভুলে যাই। অতীতের সব কথা মনে পড়ে। কিচ্ছু ভুলি না।

ডায়াবেটিস রোগীদের এমন হয়। তবে তুমি এই সংসারে একটা ভেজাল লাগিয়ে দিয়েছ।

সুরমা চমকালেন। কিসের ভেজাল?

এই যে ডায়াবেটিস আমদানি করেছ! তোমার ডায়াবেটিস মানে বাবার হবে। বাবার হওয়া মানে আমার হবে। 

সুরমা হাসলেন। তার মুখভর্তি এখনো দাঁত। হাসলে দারুণ লাগে। ধবধবে ফর্সা মানুষ। মাথায় কাঁচাপাকা ঘনচুল। বেশ লম্বা। পেছন থেকে দেখলে বয়স বোঝা যায় না। ঐশী মুগ্ধ হয়ে সুরমাকে দেখে।

বয়সকালে তুমি জিনিস ছিলে বুড়ি। মানুষ তোমার জন্য পাগল হতো না?

সুরমাকে ধাক্কা দিল ঐশী। বলো না।

তোর দাদা তো পাগলই ছিল।

শুধু দাদা? আর কেউ না?

সুরমা তীক্ষ্ণèচোখে ঐশীর দিকে তাকালেন। তোর চোখের কোলে কালি পড়েছে কেন রে? মুখটাও শুকনা। কী হয়েছে?

রাতে ঘুম হয় না।

রাতভর ল্যাপটপ নিয়ে থাকলে ঘুম হবে কী করে? এই রুম থেকে আমি সব টের পাই। হয় শুনি রাতদুপুরে গান শুনছিস, না হয় সিনেমা দেখছিস।

তুমি টের পাও কী করে? ঘুমাও না?

বয়স হলে ঘুম কমে যায়। এক–দুঘণ্টা ঘুমাই, জেগে যাই, আবার ঘুমাই। যখনই জাগি, তখনই দেখি তোর রুমে আলো জ্বলছে। গানের সুর, সিনেমার শব্দ।

আমি রোজ রাতে একটা করে মুভি দেখি। টাইটানিক কতবার দেখলাম। জোস একটা মুভি। বুড়ি, এই মুভিতে একটা ডায়লগ আছে, নারীর মন আটলান্টিক মহাসাগরের চেয়েও গভীর। সেখানে কত কী লুকিয়ে থাকে। তোমার মনেও কি অনেক কিছু লুকিয়ে আছে? দুয়েকটা বলো না। ওসব ভেবেই কি একা একা হাসো? কাঁদো?

সুরমা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। আমার জীবন মানে উনিশ শ একাত্তর। আমার জীবন মানে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস।

তা জানি। তোমার মুখে শুনেছি। তোমাদের রাজীবপুর গ্রামে প্রায়ই পাকিস্তানিরা হানা দিত। মিলিটারি আসার কথা শুনলেই তোমরা পালিয়ে যেতে। তোমার মা ছিল না। বাবা তোমাকে জান দিয়ে আগলে রাখতেন। তারপরও একদিন মিলিটারিরা বাড়ি ঘেরাও করে ফেলল ভোররাতে। তিনজন মিলিটারি তোমাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল জিপের কাছে। সেই তিনজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন তোমার বাবা। তোমাকে ছেড়ে মিলিটারিরা ধরল তাঁকে। সেই ফাঁকে তুমি দিলে দৌড়। বেঁচে গেলে। তোমার বাবা বাঁচতে পারলেন না। রাইফেলের বাঁট দিয়ে তাকে বেদম মারল মিলিটারিরা। বেয়নেটের পর বেয়নেট চার্জ করল। শেষ পর্যন্ত গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝরা।

ঐশীর কথা শুনতে শুনতে উদাস হয়ে গিয়েছিলেন সুরমা। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এমন সাহসী মানুষ দেখা যায় না। নিজের জীবন দিয়ে মেয়েকে রক্ষা করলেন। রাস্তার ধারে বাবার লাশ পড়ে ছিল। রাজীবপুরের জালাল মুন্সি ওই রাস্তার ধারেই একা একা কবর খুঁড়ে বাবাকে দাফন করেছিলেন। কেউ তাকে সাহায্য করেনি। যুদ্ধ মানুষকে যেমন অমানুষ করে ফেলে, আবার অমানুষকেও মানুষ করে। জালাল মুন্সিকে বাবা পছন্দ করতেন না। জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই মানুষটাই বাবাকে কবর দিল। গ্রামে বাবার দুয়েকজন বন্ধু ছিল। স্কুলের সহকর্মীরা ছিল। কেউ লাশের কাছে আসেনি। 

এসব জানি। অনেকবার বলেছ। আমি শুনতে চাই অন্য কথা। তোমার চক্করটক্করের কথা। কারও সঙ্গে ওসব ছিল না?

চুপ কর ফাজিল মেয়ে।

ঐশী উঠল। দাঁড়াও, চা নিয়ে আসি। চা আর সুগার ফ্রি বিস্কুট খাও। আর গোপন কথাটি বলো। যা কখনো কাউকে বলোনি।

আমার ও রকম কোনো কথা নেই।

আছে আছে। তোমার মতো জিনিসের ওসব না থেকে পারে না। 

ঐশী ছুটে বেরোল। সুরমা আনমনা হলেন। আর কতকাল ঘটনাটা চেপে রাখবেন। বুক ভার হয়ে আছে। আজ নাতনিকে বলে বুক হালকা করাই ভালো। আয়ু ফুরিয়ে আসছে।

ঐশী নিজের জন্যও চা এনেছে। ঘন দুধের চা আর বড় সাইজের দুখানা টোস্ট বিস্কুট। সুরমার জন্য এনেছে সুগার ফ্রি বিস্কুট আর রং চা। সুরমা এক কামড় বিস্কুট খাচ্ছেন, আরেক চুমুক চা। ঐশী চায়ের মগে টোস্ট বিস্কুট চুবিয়ে কামড় দিচ্ছে।

আমি একটা খুন করেছিলাম।

ঐশীর মুখে চায়ে ভেজানো টোস্ট বিস্কুট। গিলতে ভুলে গেল।

কোনো দিন কাউকে বলা হয়নি। কদিন আর বাঁচব। একজনকে বলে যাই।

মুখের খাবার গিলল ঐশী। কোনোরকমে বলল, খুন, তুমি?

হ্যাঁ। আমি, নিজ হাতে।

ঐশী সাবধানি চোখে এদিক–ওদিক তাকাল। সুরমা গম্ভীর। এত সাবধানের কিছু নেই। তোর মা–বাবার আসতে দেরি হবে। ছুটির পর বীথির কলেজে যাবে রবি। তাকে নিয়ে কলিগের ছেলের আকদে যাবে।

বাবার কলিগ না। মায়ের কলিগ। সোশ্যাল সায়েন্সের রওশন আন্টির ছেলের আকদ।

হ্যাঁ তা–ই। আমার অনেক কিছুই এখন উল্টাপাল্টা হয়ে যায়।

ঐশী চায়ে চুমুক দিল। তাড়াতাড়ি বলো। সত্যি, তুমি খুন করেছিলে? আমি ভাবতেই পারছি না। তোমার মতো নরম নিরীহ সুন্দর একজন মানুষ খুন করতে পারে?

মেয়েরা ভয়ংকর হলে পুরুষদের চেয়ে শতগুণ বেশি হয়। বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। ফুলন দেবীর ঘটনা আমি পড়েছিলাম। গ্রামের অসহায় মেয়েটি কী কারণে এমন ভয়ংকর হয়ে উঠল? কেন অতগুলো মানুষ খুন করল? যখনই ফুলনের ঘটনা পড়তাম, তখনই নিজের কথা মনে হতো। ফুলনের মতো গুলি করে মারার সুযোগ পাইনি। পেলে তা–ই করতাম। আমাকে ধরতে হয়েছিল অন্য পথ। সেই পথও প্রতিশোধেরই।

চায়ে চুমুক দিলেন সুরমা। আমি বাবার ধাঁচ পেয়েছি। বাবা সুপুরুষ ছিলেন। ভদ্রলোক মানুষ। স্কুলের হেডমাস্টার। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। মেয়ের ইজ্জত রক্ষার জন্য সেই বাবা ভয়ংকর হয়ে উঠলেন। খালি হাতে তিনটা পাকিস্তানি জন্তুর সঙ্গে লড়াই করলেন। আমাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন। পালা সুরমা, পালা। আমি প্রাণপণে দৌড় দিলাম। ওদিকে আমার বাবাকে ওরা...

সুরমা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। একটা সময়ে মনে হলো, বাবাকে শেষ করে ওরা আমাকে আবার ধরতে আসবে। আমি দৌড়াচ্ছি। কোথায় কোন দিকে চলে যাচ্ছি, বুঝতে পারছি না। বোধ হয় এক–দেড় ঘণ্টা দৌড়েছি...

এসব তুমি বলেছ। দৌড়াতে দৌড়াতে বিকেলবেলা গিয়ে পৌঁছালে তিন–চার গ্রাম পরের গ্রাম ফুলপুরে। হোসেন মীরের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলে। 

হ্যাঁ, সেই বাড়িতে উঠে অজ্ঞান হয়ে উঠানে পড়ে গেলাম। জ্ঞান ফেরার পর দেখি বাড়ির মহিলারা আমার দেখভাল করছে। পেটমোটা টুপি পরা একজন লোক আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

ওটাই হোসেন মীর?

সুরমা মাথা নাড়লেন। চোখ মেলার পর লোকটা বলল, ঘটনা আমি বুঝেছি, মা। ভয় পেয়ো না। নিশ্চিন্তে আমার বাড়িতে থাকো। সেই বাড়িতে রয়ে গেলাম। তখনো জানি না লোকটা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। রাজাকাররা তার দোসর। সদরে গিয়ে মিলিটারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। মেয়ে সাপ্লাই দেয়। আমাকে মা মা করে এমন একটা অবস্থা সে করল, যেন আমি তার সত্যিকার মেয়ে। নভেম্বরের প্রথম দিককার কথা। মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। মিলিটারি আর রাজাকাররা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এই বাড়িতে প্রায়ই তাদের আনাগোনা। হোসেন মীর বলল, ওদের বিশ্বাস নেই। এদিকে আসার আগেই আমি খবর পাব। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মেয়েরা লুকিয়ে যাবে। সেই অবস্থায় পড়ার আগেই লোকটার হাতে পড়ে গেলাম। তিন দিন পরের এক রাতে সে আমার ঘরে এল। দরজার বাইরে তিনজন রাজাকার পাহারায় রাখল। আলমারি থেকে মদের বোতল বের করল। মাতাল হয়ে ধরল আমাকে। মুখে তখনো মা ডাক। মানুষ এত ভণ্ড হতে পারে? এত ভণ্ড? মিলিটারিদের হাত থেকে বাবা আমাকে বাঁচালেন। হোসেন মীরের হাত থেকে কেউ বাঁচাল না। 

ঐশী ফ্যাল ফ্যাল করে সুরমার দিকে তাকাল। এসব তো কখনো বলোনি! বলেছ লোকটা তোমাকে আশ্রয় দিয়ে বাঁচিয়েছে!

ওভাবে না বলে উপায় ছিল না। বাড়ির মহিলারা, হোসেন মীরের দুই বউ আর ছেলেমেয়েরা বুঝে গিয়েছিল লোকটা কী করছে আমার সঙ্গে। তাদের মুখে কুলুপ। তারা জানত, লোকটা চূড়ান্ত ভণ্ড। আল্লাহর নাম নিয়ে লোকের গলা কাটে, মেয়েদের ইজ্জত নেয়। আমি যে ওই বাড়ি থেকে পালাব, উপায় নেই। বাড়ির ভেতর আর চারপাশে পাহারা। লোকটা সবার সামনে মা মা ডাকে। রাতের বেলা আমার ঘরে এসে ঢোকে। মদ খায়। অসুরের মতো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ঐশীর চোখ ছলছল করছে। কাপ–পিরিচ সরিয়ে সুরমার গা ঘেঁষে বসল। দাদির ডান হাতটা ধরে রাখল। তাঁর উনিশ বছর বয়সের মুখটা যেন দেখতে পেল। অসহায়ত্ব দেখতে পেল। কিন্তু সুরমার চোখ দুটো জ্বলছে। বললেন, লোকটার বিশাল অবস্থা। প্রচুর জায়গা–সম্পত্তির মালিক। টাকার অভাব নেই। বাড়িতে কামলা–মজুর জনা চল্লিশেক। ধানের জমি বিস্তর। এনড্রিন নামের একটা কীটনাশক দিয়ে ধানক্ষেতের পোকা মারে কামলারা। এই এনড্রিন এক বোতল নিজের ঘরে এনে রাখলাম। এক রাতে বললাম, আমি আপনার মদ ঢেলে দিই? সে মহাখুশি। দাও মা, দাও। আমি আধা গ্লাস করে ঢালি আর সে ঘাট করে খেয়ে ফেলে। চার–পাঁচবারের বার দিয়ে দিলাম এনড্র্রিন। লোকটা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা গেল। রাতদুপুরে বাড়িতে হইচই, কান্নাকাটি। সেই ফাঁকে পালালাম। তখন ওই এলাকা ধীরে ধীরে স্বাধীন হচ্ছে। রাতদুপুরে আকাশে চাঁদ উঠেছে। পাতলা জ্যোৎস্নায় মাইল দেড়েক দৌড়ে এলাম। হোসেনপুর হাইস্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প।

সেই ক্যাম্পে নাটকীয়ভাবে দাদার সঙ্গে দেখা। তোমাদের গ্রামের ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ত, তোমাকে পছন্দ করত। এসব বলেছ। হোসেন মীর খারাপ লোক। তবে তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। মা ডাকত। রাতে মদ খেয়ে তার হার্ট অ্যাটাক হয়, এসব বলেছ।

আসল ঘটনা আজ বললাম। বুকটা হালকা হলো।

গভীর আবেগে সুরমাকে জড়িয়ে ধরল ঐশী। তোমাকে নিয়ে আমার খুবই গর্ব হচ্ছে দাদি। কাজের কাজ একটা করেছিলে তুমি। ও রকম একটা হারামজাদাকে খতম করেছিলে।

সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়েছে চারদিকে। ঐশীর হাত ছাড়িয়ে বিছানা থেকে নামলেন সুরমা। ঐশী বলল, তোমার জায়গায় আমি হলে আরেকটা কাজ করতাম দাদি। এনড্রিন দিয়ে মারার আগে ব্লেড দিয়ে শালার ওইটা কেটে দিতাম।

সুইচবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে সুরমা ভাবলেন, এখনকার মেয়েরা কত সহজে ছেলেদের গালগুলো দেয়। তাদের সময়ে এমন ছিল না। তিনি সুইচ টিপলেন। ঘর আলোয় ভরে গেল।