অসম্ভব ঘটে গেছে, চেনা পৃথিবী থমকে গেছে

স্ল্যাভয় জিজেক
স্ল্যাভয় জিজেক

অসম্ভব ঘটনাটি ঘটে গেছে এবং আমরা যে পৃথিবীর কথা জানি তার পরিবর্তন বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার শেষ হয়ে গেলে কোন বৈশ্বিক বিন্যাসের অভ্যুদয় ঘটবে—ধনীদের জন্য সমাজতন্ত্র, বিপর্যস্ত পুঁজিবাদ অথবা একদম নতুন কিছু?

এই দিনগুলোতে আমি আমাকে স্পর্শ করে অনুভব করতে চাই যে আমাকে ভাইরাসটি আক্রান্ত করেছে কি না—এই পদ্ধতিতে অন্তত আমার দুর্বলতাসম্পন্ন অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে আমার ঘুম সম্পর্কিত উদ্বেগ বেড়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও আমি সাগ্রহে সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম, যাতে আমি যেন ঘুমের মাধ্যমে পলায়ন করতে পারি এবং আমার প্রাত্যহিক জীবনের ভয়কে ভুলে যেতে পারি। এখন যে বিপরীতটা ঘটছে—আমি দুঃস্বপ্নের ভয়ে ঘুমাতে পারছি না এবং এ দুঃস্বপ্নগুলো আমাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে। বাস্তব এ দুঃস্বপ্ন আমাকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার দিকে ধাবিত করছে।

বাস্তবতাটা কী? আলেঙ্কা জুইপানকিক এটার যথার্থ সূত্রায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তার চিন্তার সারসংক্ষেপ আমাকে দিয়েছেন। এই দিনগুলোতে আমরা মাঝেমধ্যে শুনতে পাই যে র‌্যাডিকাল সামাজিক পরিবর্তনগুলোর জন্য আমাদের চলমান ফলাফল সামলাতে হবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই র‌্যাডিকাল পরিবর্তনগুলো জায়গা করে নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের এমন কিছুর মুখোমুখি করেছে যাকে আমরা অসম্ভব বলে বিবেচনা করি। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এমন কিছু ঘটবে তা আমরা কল্পনা করতে পারিনি—আমরা যে পৃথিবীকে জানতাম, তা থমকে গেছে। সব দেশ লকডাউনে রয়েছে, আমাদের অনেকেই নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে (কিন্তু তাদের কী হবে, যাদের এই নিরাপত্তা নেওয়ার সামর্থ্য নেই?), এমনিতেই একটা বৃহৎ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করার পাশাপাশি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবমান জীবন…

এর অর্থ হলো আমাদের প্রতিক্রিয়াও হবে অসম্ভবকে সাধিত করা, যা আমাদের বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে অসম্ভব করে তুলবে।

অসম্ভব ঘটে গেছে, আমাদের চেনা পৃথিবী থমকে গেছে এবং এখন আমাদের ভয়াবহতাকে কাটাতে সবচেয়ে অসম্ভব কাজ করতে হবে। কিন্তু এ অসম্ভবটা কী?

আমি কখনো চিন্তা করি না যে উন্মুক্ত বর্বরতার দিকে পশ্চাদপসারণই বড় হুমকি নয়, নিষ্ঠুর অস্তিত্ব রক্ষাকারী সহিংসতা যা জনবিশৃঙ্খলা, আতঙ্ক সৃষ্টি ইত্যাদিতে মদদ জোগাবে (অবশ্য, স্বাস্থ্য এবং আরও কিছু গণপরিষেবার পতন ঘটবে)। আমি উন্মুক্ত বর্বরতার চাইতে বেশি ভয় পাই, মানবিকতার নামে বর্বরতা-নিষ্ঠুর অস্তিত্ব রক্ষাকারী পদক্ষেপগুলো অনুতাপের সঙ্গে জারি হবে এবং এমনকি সমবেদনাও বিশেষজ্ঞ মতামত দ্বারা বৈধতা পাবে।

বীরভোগ্যা বসুন্ধরা
একজন সচেতন পর্যবেক্ষকমাত্র খুব সহজেই লক্ষ করতে পারবে যে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা আমাদের কী বার্তা দিচ্ছে: তারা শুধু শান্ত এবং আত্মবিশ্বাস রাখার প্রদর্শনীর প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে না, তারা নিয়মিত ভয়ানক ভবিষ্যৎ বাণী উচ্চারণ করছে—এ মহামারি দুই বছর তার বিস্তার ঘটাবে এবং এ ভাইরাস বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬০-৭০ শতাংশকে আক্রান্ত করবে। লাখ লাখ মানুষ এর ফলে মারা যাবে।

সংক্ষিপ্তভাবে, তাদের সত্যিকার বার্তায় আমরা আমাদের সামাজিক নৈতিকতার মূল প্রতিজ্ঞাই বর্জন করছি: বয়স্ক আর দুর্বলদের প্রতি যত্ন নেওয়া। ইতালিতে ভাইরাস ভয়ংকর সংক্রমণ ঘটিয়েছে, অন্যান্য মারাত্মক রোগে আক্রান্ত ৮০-এর বেশি বয়স্ক মানুষকে মৃত্যুর জন্য ফেলে রাখা হচ্ছে। ‘বীরভোগ্যা বসুন্ধরা’র মতো যুক্তি কীভাবে সামরিক নৈতিকতাকেও বর্জন করছে, তা যে কেউই অনুধাবন করতে পারবেন। সামরিক নৈতিকতা শিক্ষা দেয়, যুদ্ধের পর যদি কেউ মারাত্মক আহত হন এবং তার বাঁচার সামান্য সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাকে প্রথমেই সেবা দিতে হবে।

ভুল বোঝা থেকে রেহাই পেতে আমি এখানে বাস্তবতাবাদী কথা উচ্চারণ করতে চাই—প্রত্যেকের উচিত যারা মরণাপন্ন, তাদের অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া। কিন্তু আমাদের প্রথম কর্তব্য হলো শর্তহীনভাবে সাহায্য করা, তার পেছনে খরচের কথা চিন্তা না করে, তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সেবা প্রদান করা।

সুতরাং, আমি ইতালিয়ান দার্শনিক গিয়ার্গো অ্যাগাম্বেনের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করি। তিনি বলছেন, ‘আমাদের সমাজ একটা নগ্ন জীবনে প্রবেশ করছে। ইতালিয়ানদের জন্য প্রত্যেকের কিছু উৎসর্গ করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে—জীবনযাত্রার সাধারণ পরিস্থিতি, সামাজিক সম্পর্ক, কাজ, এমনকি বন্ধুত্ব, সম্পর্ক এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিশ্বাস-রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে তারা এটা করছে। নগ্ন জীবন এবং একেও হারানোর বিপদ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করছে, কিন্তু তাদের অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।’

বিষয়গুলো আরও দুর্বোধ্য হচ্ছে: এটা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করছে পরস্পর থেকে দৈহিক দূরত্ব রাখার মাধ্যমে মনে হচ্ছে যেন আমিও ভাইরাস বহনকারী হতে পারি। আমার সন্তানেরা আমার কাছ থেকে দূরত্ব রেখে চলছে, আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে, কেন তারা মনে করছে তাদের মাধ্যমে আমি সংক্রমিত হতে পারি।

ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আমরা বারবার শুনতে পাচ্ছি যে আমাদের প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ এবং নতুন শাসন মেনে নিতে আমরা বাধ্য। গণমাধ্যম সেই সব ব্যক্তির কথাই প্রচার করছে যারা অসদাচরণ করছে এবং নিজেদের ও অন্যদের বিপদে ফেলছে (একজন তরুণ একটি দোকানে প্রবেশ করেছিল এবং কাশি দেওয়া শুরু করেছিল প্রভৃতি)। সমস্যাটা আসলে বাস্তুসংস্থানগত যেখানে গণমাধ্যম আমাদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার ওপর গুরুত্বারোপ করছে (আপনি কি সব ব্যবহৃত সংবাদপত্র রিসাইক্লিং করবেন প্রভৃতি)।

এ ধরনের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার চেয়ে জরুরি হলো কীভাবে আমাদের সমগ্র অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা যাবে, সে বিষয়টি নির্ধারণ করা। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তখনই সম্মিলিতভাবে লড়াই করা যাবে যখন মতাদর্শিক অতীন্দ্রিয়করণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা যাবে এবং একে একটি সাধারণ বাস্তুসংস্থানগত লড়াই হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ইউসিএলের বাস্তুসংস্থান এবং জীববৈচিত্র্যের চেয়ার কেট জোনস বন্য প্রাণী থেকে মানবদেহে এ রকম রোগের সংক্রমণকে ‘মানবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লুকানো মূল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলছেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই এ রকম আছেন প্রতিটি পরিবেশে। আমরা বেশিমাত্রায় বিরক্তিহীন জায়গায় যাই এবং সেখানেই বারবার যেতে থাকি। আমরা এমন অভ্যাস তৈরি করি যেখানে ভাইরাসরা খুব সহজেই প্রেষিত হয় এবং তখন আমরা নতুন একটাকে দেখে বিস্মিত হই।

সুতরাং আমাদের কেবল একসঙ্গে মানুষের জন্য একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা নির্মাণ করলেই চলবে না, প্রকৃতিকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—ভাইরাসগুলো আমাদের প্রধান খাদ্য উৎস যেমন আলু, গম ও জলপাইকেও আক্রান্ত করতে পারে। আমরা সব সময় যে বিশ্বে বাস করছি, সেই সব আপাতবিরোধী মতের বহিঃপ্রকাশ সংযুক্ত বৈশ্বিক চিত্রকে মানসপটে আনতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, চীনে করোনাভাইরাসের কারণে যে লকডাউন করা হয়েছে, তা যত মানুষ ভাইরাসে মরতে পারত তার চেয়ে অনেক মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে পেরেছে (অনেকে আবার বলছেন সরকারি পরিসংখ্যান ভুল)। পরিবেশগত সংস্থানবিষয়ক অর্থনীতিবিদ মার্শাল বার্কি বলেছেন, ‘সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা থেকে সৃষ্ট দূষণকে কমিয়ে আনার ফলে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃত্যুর হারকে কমিয়ে আনা গেছে। এমনকি সবচেয়ে রক্ষণশীল পূর্বধারণা থেকেও বললে ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যাবে।’ তার মতে দুই মাসের দূষণ কমানোর মধ্য দিয়ে চীনে অন্তত পাঁচ বছরের নিচের বয়সী ৪ হাজার শিশু এবং সত্তরোর্ধ্ব ৭৩ হাজার বয়স্ক মানুষকে বাঁচানো সম্ভবপর হয়েছে।

ত্রিমুখী সংকট: স্বাস্থ্যগত, অর্থনৈতিক এবং মানসিক
আমরা তিন ধরনের সংকটে রয়েছি: স্বাস্থ্যগত (স্বয়ং মহামারি), অর্থনৈতিক (যা মহামারির পরিণতি হিসেবে দেখা দিচ্ছে) এবং এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য (অবহেলা করা যাবে না)। এর ফলে লাখ লাখ মানুষের সংহতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং এ পরিবর্তন প্রতিটি বিষয়কে আক্রান্ত করছে, ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়া থেকে প্রতিদিনকার জীবন এর মধ্যে রয়েছে। যেভাবে স্টক মার্কেটের বাইরে থেকে পুঁজির সঞ্চারণ ঘটানো হচ্ছে এবং মুনাফার জন্য অন্যভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে এবং অন্যভাবে প্রয়োজনীয় সম্পদের বণ্টন ঘটানো হচ্ছে। যখন কর্তৃপক্ষ দেখছে একটি কোম্পানি মিলিয়ন মিলিয়ন মাস্ক জমা করে রাখছে, সেগুলোকে ‍উপযুক্ত সময়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, তখন কোম্পানির সঙ্গে কোনো সমঝোতা করা উচিত নয়, মাস্কগুলোর ব্যাপারে প্রশ্ন করা প্রয়োজন।

সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে ট্রাম্প তুবিনগানভিত্তিক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কিউরভ্যাককে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছেন, যাতে তারা তাদের প্রতিষেধককে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ দিতে পারে। জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, কিউরভ্যাক সমগ্র বিশ্বের জন্য প্রতিষেধক তৈরি করবে, কেবল কোনো একক রাষ্ট্রের জন্য নয়। এখানে আমরা বর্বরতার সঙ্গে সভ্যতার লড়াইয়ের একটা দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। কিন্তু সেই একই ট্রাম্প একটি ডিফেন্স প্রডাকশন অ্যাক্ট জারি করার আহ্বান করেছে যাতে বেসরকারি খাত মেডিকেল সাপ্লাইয়ের ব্যাপারে ডাকাতি করে, তাহলে সরকার তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে। সম্প্রতি ট্রাম্প বেসরকারি খাতকে অধিগ্রহণের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে আমি ‘কমিউনিজম’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম, তখন অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছিলেন। কিন্তু এখন ট্রাম্পের বেসরকারি খাত অধিগ্রহণের প্রস্তাবের কথা শুনে কী বলবেন?

এটা কেবল শুরু। এ রকম আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে সম্প্রদায়গত স্থানীয় নিজ সংগঠনের প্রয়োজন পড়বে। শুধু বিচ্ছিন্নকরণ এবং টিকিয়ে রাখলেই চলবে না, আমাদের কিছু রাষ্ট্রীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে: বিদ্যুৎ, খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী প্রভৃতি।

এগুলো কোনো ইউটিপিয়ান কমিউনিজম নয়। এটি এমন এক ধরনের কমিউনিজম যা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন। এ রকমটা ১৯১৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রয়োগ করা হয়েছিল, যাকে ‘ওয়ার কমিউনিজম’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

এই সংকটে আমরা সমাজতন্ত্রীরা কোন বিশ্বের জন্য অপেক্ষা করছি, এমনকি ট্রাম্প প্রশাসন প্রত্যেক বয়স্ক ব্যক্তির জন্য ১ হাজার ডলারের চেক প্রদান করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রিলিয়ন ডলার বাজারের সমস্ত নিয়ম ভেঙে ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু কেন, কোথায় এবং কাদের জন্য? এগুলো কি ধনীদের জন্য সমাজতন্ত্র তৈরি করছে (মনে করে দেখুন ২০০৮ সালে যখন সাধারণ জনগণ তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় হারিয়ে ফেলেছে তখন ব্যাংকগুলোকে বেল আউট করা হয়েছিল)? এই মহামারির ফলে কি কানাডিয়ান লেখক এবং সমাজকর্মী নাওমি ক্লেইনের ভাষা অনুযায়ী ‘বিপর্যস্ত পুঁজিবাদ’ আসবে? নাকি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েম হবে (আরও শালীন, এমনকি আরও ভারসাম্যপূর্ণ)?

[লেখক: বহুবিদ্যা-বিশ্লেষক স্লোভেনীয় দার্শনিক। তিনি লিউব্লিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজি অ্যান্ড ফিলসফির জ্যেষ্ঠ গবেষক, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডিসটিংগুইশড প্রফেসর অব জার্মান এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কব্যাক ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যানিটিজের আন্তর্জাতিক পরিচালক।]

সূত্র: আরটি ডটকম

ভাষান্তর: অনিন্দ্য আরিফ