দ্য ইনভেন্টর

ড. মুস্তাফিজ বসে আছেন অসুস্থ কন্যা আর জামাইয়ের পাশে, যারা তারই আবিষ্কৃত বায়ুব্যবস্থায়। পাশে ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজির কয়েকটা বই। অবসরে যাওয়া মুস্তাফিজ খুব কাশছেন, হাতে সিগারেট। স্ত্রী বলছেন, বুকে কফ, না খেলেই কি নয়? তিনি পাত্তা দিলেন না, তার সামনে কয়েকটা ভায়াল, যেগুলোতে বিভিন্ন অনুপাতে মেশানো সেফিওরাক্সিম এক্সিটিল, ক্ল্যাভুল্যানিক অ্যাসিড, ইবাস্টিন, ফেক্সোফেনাডিন আর ওসাল্টামাভির ফসফেট। কবিরাজের মতোই তিনি বিভিন্ন মিশ্রণ থেকে বড়ি তৈরি করে মেয়ে আর জামাইকে খাওয়াচ্ছেন আর একটু পরপর তাদের জ্বর-হৃৎস্পন্দন মাপছেন।

বারান্দায় গিয়ে হুইস্কির গ্লাসে কয়েকটা চুমুক দিয়ে তিনি দৃষ্টি দিলেন কালপুরুষে, বিপরীতেই বৃশ্চিক। স্ত্রী এসে বললেন, জামাই তো ছটফট করছে! মুস্তাফিজ নির্লিপ্ত, বললেন, তুমি ঘুমাও তো! সিগারেটটা শেষ, ঘরে এসে ১৫ নম্বর ভায়ালের পাউডার ডায়লুয়েন্টে গুলিয়ে মেয়ে ও জামাইয়ের শিরায় পুশ করে ডায়রিতে লিখলেন, ‘হলে এতেই হবে, নয়তো নয়’।

মিথিলা জাগল, খুব দুর্বল। পাশে জান ঘুমায়, বিরক্ত না করে সে গেল মা-বাবার ঘরে, তারাও ঘুমাচ্ছে। কিচেনে গিয়ে কফি বানিয়ে খেয়ে একটু স্বাভাবিক হতেই মনে পড়ে গেল সব। ফোনটা নিয়ে ডায়াল করে সে বলল, হ্যালো...

ওরা এল এলিয়েনদের মতো। মিথিলা নিশ্চল। তিনটি লাশ চলে যাবে, মুস্তাফিজ সাহেবের হাতে থাকা সাদা পাউডারপূর্ণ ভায়ালটিকে একজন বের করে পাশের বিনে ফেলে দিয়ে সহকর্মীকে বললেন, এ ঘরের সবকিছু পুড়িয়ে ফেলতে হবে।


[নিয়ম:
১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট‌্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলোডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...।

কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন:
[email protected]
[email protected] ]