আশ্রয়: আক্তারুজ্জামান

‘একলা ওই মাটির ঘরে তোমার আর থাকার দরকার নেই। তোমাকে ঢাকা নিয়ে আসব। এখন থেকে আমার সঙ্গেই থাকবে, আমার বাসায়। কেয়ারটেকার যাচ্ছে, তুমি এসো।’

দশ বছর পর ছেলের ফোন, এবং তার এই ডাক শুনে মায়ের শুকনো চোখ দুটো ছলছল করে উঠল। করিমন বিবির কাছে ছেলের এই আমন্ত্রণ স্বপ্নের মতো মনে হলো। কত বছর হয়ে গেছে, ছেলে বছরে একবার–দুবারের বেশি খোঁজও নেয় না। বড় সরকারি চাকরি আর বউ হওয়ার পরে ছেলে তার পর হয়ে গেছে। অনেক বড়, ক্ষমতাওয়ালা লোক শুনেছে তার ছেলে। কর্মকর্তা। কিন্তু তার কাছে কোলে–পিঠে করে মানুষ করা মাসুদ একই রকম রয়ে গেছে।

তাই ছেলেকে একনজর দেখার জন্য মায়ের আর তর সইছিল।

দুই.
এ বাড়িতে কবে এসেছিল মনে করতে পারবে না। বাড়ির চেহারাও পাল্টে গেছে, আর কেমন মরুভূমির মতো খাঁ খাঁ করছে যেন।
ঘরে ঢুকে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে করিমন বিবি। ছেলেকে জিজ্ঞেস করে, আমার নাতি-নাতনি, বউমা? কাউকে দেখছি না কেন, বাবা?

করুণ মুখে শুকনো হাসার চেষ্টা করে মাসুদ খান। বলতে পারে না, টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেছে।

নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট‌্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলো ডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...।

কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন:
[email protected]
[email protected]